বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফায় নারী অধিকার খর্বের
চক্রান্ত করা হচ্ছে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
বলেছেন, পুরুষ-নারীর সমন্বিত প্রয়াসে দেশ যখন অগ্রগতির পথে হাঁটছে তখন একটি
গোষ্ঠী নারীকে পেছনে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। তাদের এ চক্রান্ত কোনভাবে
সফল হতে দেয়া যাবে না। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ছাত্রী হলের আয়োজনে
টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে এক সমাবেশে তাঁরা এসব কথা বলেন।
সকাল ১০টার সমাবেশ শুরুর আগে রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল, কুয়েত মৈত্রী হল, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে টিএসসিতে আসে। সমাবেশশেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল টিএসসি থেকে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে কর্মজীবী নারী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, রেডিয়েন্ট বাংলাদেশ, নারী মুক্তি সংসদ, নারী সাংবাদিক কেন্দ্র প্রভৃতি সংগঠন সংহতি প্রকাশ করে।
সমাবেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “মানব সভ্যতার এগিয়ে আসার পেছনে নারী-পুরুষ সবারই সমান অবদান রয়েছে। যারা নারীদের অবরুদ্ধ করতে চায় তারা আসলে দেশের প্রগতি এবং উন্নয়নের পরিপন্থী। স্বাধীনতার ৪২ বছর পরে দেশের সব অর্জিত সফলতা আমরা বিফলে যেতে দিতে পারি না। তাই নারীর অধিকারের বাস্তবায়নে অতীতের মতো আমাদের অবদান রাখতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ প্রশ্ন রেখে বলেন, অগ্রগতিতে নারী-পুরুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সমৃদ্ধির পথে উভয়ে সমন্বিত প্রয়াসে চলছে সব কর্মকা-। হেফাজতের কাছে কি এটা বেহায়াপনা?
নারীর বিরুদ্ধাচার মানসিকতা পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হেফাজত কি ভুলে যাচ্ছে একজন নারী তাদের জন্ম দিয়েছে। একজন নারী তার স্ত্রী এবং একজন নারী তার সন্তান কিংবা তার ছেলের স্ত্রী হবে। নারী হিসেবে আমাদের প্রাপ্য অধিকার খর্ব করার অধিকার আমরা কাউকে দেইনি। রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমা শাহীনের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ, শিক্ষক নেতা আ ব ম ফারুক, শামসুন নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাজেদা বানু, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফরিদা বেগম, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক গুলশান আরা লতিফা, কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নীলুফার নাহার, সঙ্গীতশিল্পী মিতা হক, দেশের প্রথম দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পিএইচডি গবেষক সারোয়ার হোসেন খান, ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন