বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে আগামী ২০ এপ্রিল থেকে তৃণমূল পর্যায়ে যাচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চ।
গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মারুফ রসুল বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে দেশের প্রতিটি জেলা, থানা এবং ইউনিয়নে জনসংযোগ চালাবেন তারা।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে আগামী ২০ এপ্রিল থেকে তৃণমূল পর্যায়ে যাচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চ।
গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মারুফ রসুল বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে দেশের প্রতিটি জেলা, থানা এবং ইউনিয়নে জনসংযোগ চালাবেন তারা।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধসহ ছয় দাবিতে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের এই পর্যায়ে তাদের বিরোধিতা করে ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের শাস্তি দাবিতে বিভিন্ন জেলায় সক্রিয় রয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ আন্দোলন শুরুর পর বিভিন্ন জেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে ওঠে, যার কয়েকটি জামায়াত-শিবিরের হামলার সম্মুখীনও হয়েছে।
মারুফ বলেন, প্রচার চালানোর জন্য ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চগুলোর সঙ্গে কেন্দ্র থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে।
“ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তাদের তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়তে বলা হয়েছে। দেশের তৃণমুলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে জনসমর্থন তৈরি করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”
যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির দাবিসহ মঞ্চের ছয় দফা দাবি সম্বলিত প্রচারপত্র ও পোস্টার নিয়ে সারাদেশে ৪ মে পর্যন্ত জনসংযোগ চলবে।
এছাড়া গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকে সামনে এগিয়ে নিতে আরো কিছু কর্মসূচি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে জানান মারুফ রসুল। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল শাহবাগে সমাবেশ থেকে আগামী ৪ মে জাতীয় সংসদের সামনে মানববন্ধনসহ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে গণজাগরণ মঞ্চ।
এরই মাঝে ২৭ এপ্রিল সারা দেশে গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিনিধিদের নিয়ে ঢাকায় মতবিনিময় করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
জামায়াত নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরুর দাবিতে ২৯ এপ্রিল সকাল ১১টায় আইন মন্ত্রণালয়ের সামনে গণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। আর পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক অধিকার দিবসে শাহবাগে হবে শ্রমিক মহাসমাবেশ।
এদিকে, বুধবার সকালে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাগরণের একাত্তরতম দিন শুরু হয় শাহবাগে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন