স্টাফ রিপোর্টার ॥ হেফাজতে ইসলামের দেয়া ১৩ দফা দাবি অযৌক্তিক ও অন্যায়।
তাদের কাছে ইসলাম, দেশ এবং গণতন্ত্র কোনটিই নিরাপদ নয়। এ দাবিগুলো সংবিধান,
আইনের শাসন ও ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। রাষ্ট্র ও প্রশাসনযন্ত্রকে অস্বীকার
করা এ দাবিগুলো রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তাদের দাবি নারীদেরকে মধ্যযুগীয়
বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। তারা নারী সমাজের স্বাধীনতা ও
অধিকারকে খর্ব করে গৃহবন্দী করে রাখতে চায় যা এদেশের নারী সমাজ কোন দিনই
মেনে নেবে না। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ
সম্মেলনে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এস এ মালেক এসব কথা বলেন।
দেশের সংবিধান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি নামার বিরুদ্ধে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে মালেক বলেন, হেফাজতে ইসলাম মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কোমলমতি যুবকদের পথভ্রষ্ট করে জঙ্গীবাদ সৃষ্টি ও সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করছে।
সম্মেলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, হেফাজতে ইসলাম কোন অরাজনৈতিক সংগঠন নয়। তারা জামায়াতের সহযোগী সংগঠন আর সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিএনপি। আগে জামায়াতের যারা জিন্স প্যান্ট আর শার্ট পরে মারামারি করেছে তারা এবার পোশাক পাল্টে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। হেফাজতের নেতার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশান ইন্টারনেটে আমরা দেখেছি। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগের পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে তাদের কাজে অংশগ্রহণ করা ও সহায়তা করা। বাংলাদেশকে মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠন করতে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা। সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন মাহবুব উদ্দিন বীর বিক্রম, বিএফইউজে সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রফেসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতা ড. আক্তারুজ্জামান, সাংবাদিক মতিউর রহমান লাল্টু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আব্দুল অদুদ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষালসহ আরও অনেকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন