মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৩

জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী গ্রেফতারের তালিকা চূড়ান্ত

ঢাকা: দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতায় জামায়াত-শিবিরের পরিকল্পনাকারী, সংগঠক এবং ইন্ধনদাতাদের গ্রেফতারের জন্য তালিকা চূড়ান্ত করেছে সরকার।

গ্রেপ্তারের তালিকাভুক্ত অধিকাংশই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী হলেও বিএনপি, খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলন, হেফাজতে ইসলামের অনেক নেতাকর্মীও এ তালিকায় আছেন। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক এবং একজন জাতীয় পার্টির নেতাও রয়েছেন এই তালিকায়। রয়েছেন দৈনিক নয়া দিগন্ত, দৈনিক সংগ্রাম, দিগন্ত টেলিভিশন এবং ইসলামিক টেলিভিশনের স্থানীয় কয়েকজন প্রতিনিধিও।

মোট ৭৫৭ জনের গ্রেপ্তারের এই তালিকায় রাজশাহী বিভাগের ১২৪ জন, খুলনা বিভাগের ৯৩ জন, রংপুর বিভাগের ১০০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩৯ জন, ঢাকা বিভাগের ১৭২ জন,  বরিশাল বিভাগের ৫৪ জন এবং সিলেট বিভাগের ৭৫ জন রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে।

গত ২৮ মার্চ স্বরাষ্ট্র সচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমেদের কাছে পাঠানো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ওয়াহিদা আক্তার স্বাক্ষরিত এক বিশেষ প্রতিবেদনের সঙ্গে ৩২ পৃষ্ঠার ওই তালিকা সংযুক্ত করে দেয়া হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পরে জামায়াত শিবির দেশব্যাপী হরতাল, অবরোধ, সশস্ত্র মিছিলের নামে ব্যাপক মাত্রায় সহিংস ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায়। এর প্রেক্ষিতে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা এসব সহিংস ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী, সংগঠক এবং ইন্ধনদাতা সম্পর্কে গোপন অনুসন্ধান চালিয়ে তাদের তালিকা তৈরি করে।

প্রতিবেদনের শেষাংশে মন্তব্য করা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে জামায়াত-শিবিরের চলমান নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রয়েছে এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্যেএই দুটি দলের নেতাকর্মীরা ভবিষ্যতে চরম অরাজকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারে। তাই এসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী, সংগঠক ও ইন্ধনদাতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক বলে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়।

রাজশাহী বিভাগ
৩২ পৃষ্ঠার এ তালিকায় প্রথমেই রয়েছে রাজশাহী বিভাগের ১২৪ জনের নাম। যার মধ্যে নওগাঁ জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছেন সাতজন। যারা সবাই স্থানীয় জামায়াতের নেতা। সংগঠক হিসেবে তালিকায় আছেন পাঁচজন, যাদের সকলেই জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা। আর ইন্ধনদাতাদের তালিকায় আছেন ছয়জন, যাদের সবাই স্থানীয় জামায়াতের নেতা।

পাবনা জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে তালিকায় আছে তিনজনের নাম, যাদের তিনজনই জেলা জামায়াতের শীর্ষ নেতা। সংগঠক হিসেবে আছে সাতজনের নাম, যাদের মধ্যে পাঁচজন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এবং বাকি দুজন জামায়াতের নেতা। এ জেলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে নাম আছে তিনজনের। এদের মধ্যে দুজন জামায়াত নেতা।  অন্যজন স্থানীয় শ্রমিক নেতা।

সিরাজগঞ্জ জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আছে তিনজনের, যারা যথারীতি স্থানীয় জামায়াতের শীর্ষ নেতা। সংগঠক হিসেবেও তিনজনের নাম আছে, যারাও জামায়াত নেতা। আর ইন্ধনদাতা হিসেবে আছে আরও চারজন জামায়াত নেতার নাম।

বগুড়া জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে ছয়জনের নাম। যাদের মধ্যে চারজনই জামায়াত নেতা। বাকি দুজন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এ দুই বিএনপি নেতার একজন পৌর মেয়র এবং অন্যজন একটি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান।

বগুড়ায় সংগঠক হিসেবে নাম আছে সাতজনের। যাদের মধ্যে পাঁচজন স্থানীয় জামায়াত নেতা এবং একজন একটি মাদরাসার শিক্ষক। অন্যজন একটি মসজিদে কাজ করেন। তার রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। বগুড়ায় ইন্ধনদাতা হিসেবে নাম আছে ছয়জনের। দুজন জামায়াত নেতা, দুজন ছাত্রশিবির নেতা এবং একজন স্থানীয় বিএনপি নেতা এবং অন্যজন বিএনপির সদস্য।

রাজশাহী জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে আটজনের নাম। যাদের সকলেই জামায়াত ও শিবিরের নেতা। সংগঠক হিসেবে আছে পাঁচজনের নাম। তারাও জামায়াত ও শিবিরের নেতা। ইন্ধনদাতা হিসেবে আছে পাঁচজনের নাম, তারাও সকলে জামায়াত ও শিবির নেতা।

নাটোর জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে ছয়জনের নাম, যারা সকলেই জামায়াত ও শিবির নেতা। সংগঠক হিসেবে আছেন চারজন, তারাও সকলে জামায়াত ও শিবির নেতা। ইন্ধনদাতা হিসেবে আছে চারজনের নাম, তারা সকলে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মী।

জয়পুরহাট জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে পাঁচজনের নাম, যারা সকলেই স্থানীয় জামায়াতের শীর্ষ নেতা। সংগঠক হিসেবে যে চারজনের নাম আছে তারাও সকলে জামায়াত ও শিবির নেতা। আর ইন্ধনদাতা হিসেবে যে চারজনের নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে একজন দৈনিক নয়া দিগন্ত, একজন দিগন্ত টেলিভিশন এবং অন্যজন ইসলামিক টেলিভিশনের স্থানীয় প্রতিনিধি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে রয়েছে সাতজনের নাম। যাদের সকলেই জামায়াত নেতা। সংগঠক হিসেবে আছে পাঁচজনের নাম। যাদের মধ্যে চারজনই জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মী। অন্যজন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা। ইন্ধনদাতা হিসেবে যে ছয়জনের নাম রয়েছে তারা সকলেই জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মী।

খুলনা বিভাগ
খুলনা জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে পাঁচজনের নাম, যাদের মধ্যে চারজন জামায়াত ও শিবিরের নেতা। তবে একজনের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। সংগঠক হিসেবে এ জেলায় আছে তিনজনের নাম, যাদের সবাই জামায়াত ও শিবিরের নেতা। ইন্ধনদাতা হিসেবে আছে চারজনের নাম, যাদের মধ্যে একজন হেফাজতে ইসলামের নেতা, দুজন খেলাফত মজলিশের নেতা এবং একজন জেলা ইমাম পরিষদের নেতা।

যশোর জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে পাঁচজনের নাম, যাদের মধ্যে চারজন জামায়াত নেতা এবং একজনের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ নেই। সংগঠক হিসেবে আছে পাঁচজনের নাম, যাদের মধ্যে চারজন জামায়াত নেতা এবং একজন মাদরাসার শিক্ষক। ইন্ধনদাতা হিসেবে আছে ছয়জনের নাম। এর মধ্যে চারজন জামায়াত নেতা, একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।

ঝিনাইদহ জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে পাঁচজনের নাম, যাদের সকলে জামায়াত নেতা। সংগঠক হিসেবে আছে পাঁচজনের নাম, যাদের চারজন জামায়াত নেতা। একজনের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। আর ইন্ধনদাতা হিসেবে এ জেলায় আছে পাঁচজনের নাম। যাদের মধ্যে চারজনই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান। অন্যজন জামায়াত নেতা।

নড়াইল জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে রয়েছে দুজনের নাম, যারা স্থানীয় জামায়াতের নেতা। সংগঠক হিসেবে আছে তিনজনের নাম। যাদের একজন জামায়াত নেতা এবং বাকি দুজন শিবিরকমী। ইন্ধনদাতা হিসেবে এ জেলায় আছে দুজনের নাম, যাদের একজন জামায়াত নেতা এবং একজন শিবিরকর্মী।

কুষ্টিয়া জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে পাঁচজনের নাম, যাদের মধ্যে তিনজন জামায়াত নেতা এবং দুজন কর্মী। সংগঠক হিসেবে আছেন পাঁচজন, যাদের মধ্যে দুজন জেলা যুবদল নেতা, একজন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা, একজন ছাত্রদল নেতা এবং একজন জামায়াত কর্মী ও মাদরাসার শিক্ষক। ইন্ধনদাতা হিসেবে এ জেলায় আছে পাঁচজনের নাম, যাদের মধ্যে দুজন ছাত্রদল নেতা এবং বাকি তিনজনের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।

সাতক্ষীরা জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে চারজনের নাম, যাদের মধ্যে তিনজন জামায়াত নেতা এবং একজন আইনজীবী। সংগঠক হিসেবে আছে পাঁচজনের নাম, যাদের মধ্যে চারজন জামায়াত ও শিবিরের নেতা। একজনের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। ইন্ধনদাতা হিসেবে আছে ছয়জনের নাম, একজন ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা, দুজন মাদরাসার শিক্ষক, দুজন মসজিদের ইমাম এবং একজন জামায়াত নেতা।


বাগেরহাট জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে চারজনের নাম, যাদের সবাই স্থানীয় জামায়াত নেতা। সংগঠক পাঁচজনের সকলেই জামায়াত ও শিবিরের নেতা। ইন্ধনদাতা হিসেবে এ জেলায় নাম আছে পাঁচজনের, যাদের চারজন জামায়াত নেতা এবং একজন মাদরাসার শিক্ষক।

রংপুর বিভাগ
রংপুর জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে ছয়জনের নাম, যাদের সকলেই জামায়াত নেতা। সংগঠক পাঁচজন, তারা সকলেই জামায়াত ও শিবিরের নেতা। ইন্ধনদাতা তিনজন, তারাও জামায়াত নেতা।

কুড়িগ্রাম জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে তিনজনের নাম, যাদের সকলেই জামায়াত নেতা। এর মধ্যে একজন দৈনিক সংগ্রামের স্থানীয় প্রতিনিধি। সংগঠক হিসেবে এ জেলায় নাম আছে ছয়জনের। তারা সকলেই জামায়াত ও শিবিরের নেতা। ইন্ধনদাতা ছয়জনের মধ্যে একজন ইউপি চেয়ারম্যান, একজন বিএনপি নেতা এবং বাকি চারজন জামায়াত নেতা।

গাইবান্ধা জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে সাতজনের নাম। যাদের মধ্যে পাঁচজন জামায়াত ও শিবিরের নেতা এবং দুজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর। এ জেলায় সংগঠক হিসেবে নাম আছে চারজনের। যারা সকলেই জামায়াত নেতা। আর ইন্ধনদাতা হিসেবে নাম আছ নয়জনের। এর মধ্যে একজন সাবেক সংসদ সদস্য, একজন কলেজ অধ্যক্ষ, দুজন কলেজ শিক্ষক, দুজন মাদরাসার সুপার, একজন সহকারী সুপার এবং দুজন জামায়াত নেতা।

দিনাজপুর জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে সাতজনের নাম, যাদের মধ্যে ছয়জন জামায়াত নেতা এবং একজন বিএনপি নেতা ও উপজেলা চেয়ার‌ম্যান। সংগঠক হিসেবে আছে পাঁচজনের নাম যারা সকলেই জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মী। এ জেলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে আছে পাঁচজনের নাম, যার মধ্যে দুজন জামায়াত নেতা, একজন বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান, একজন যুবদল সদস্য এবং একজন ছাত্রদল নেতা।

ঠাকুরগাঁও জেলায় পরিকল্পনাকারী পাঁচজনের সকলেই জামায়াত নেতা। সংগঠক তিনজনও জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মী। আর ইন্ধনদাতা তিনজনের দুজন জামায়াত নেতা এবং একজনের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।

লালমনিরহাট জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে তিনজনের নাম, যাদের সকলেই জামায়াত নেতা। সংগঠক হিসেবে যে পাঁচজনের নাম আছে তাদের সকলেই স্থানীয় জামায়াতের সূরা সদস্য। ইন্ধনদাতা দুজনই জামায়াত নেতা।

নীলফামারী জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে চারজনের নাম, যাদের সকলেই জামায়াত নেতা। সংগঠক হিসেবে চারজনও জামায়াত নেতা এবং ইন্ধনদাতা হিসেবে যে পাঁচজনের নাম আছে তারা সকলেই স্থানীয় শিবিরের নেতা।

চট্টগ্রাম বিভাগ
চট্টগ্রাম জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে ছয়জনের নাম, এদর মধ্যে জামায়াতের সংসদ সদস্য শামসুল ইসলামও রয়েছেন। বাকি পাঁচজনও স্থানীয় জামায়াত নেতা। সংগঠক হিসেবে আছে ছয়জনের নাম, এদের মধ্যে চারজন জামায়াত ও শিবিরের নেতা এবং দুজন মন্দির ভাঙচুর মামলার আসামি। ইন্ধনদাতা হিসেবে আছে সাতজনের নাম, যাদের সকলেই জামায়াত নেতা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে চারজনের নাম, যাদের সকলেই জামায়াত ও শিবিরের নেতা। সংগঠক আটজনের মধ্যে একজন একজন মাদরাসার প্রধান শিক্ষক, একজন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, একজন মাদরাসার অধ্যক্ষ, দুজন ইউপি চেয়ারম্যান এবং বাকি তিনজন জামায়াত নেতা। এ জেলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে কারো নাম তালিকায় নেই।

ফেনী জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে তিনজনের নাম, যারা সকলেই জামায়াত নেতা। সংগঠক হিসেবে আছে  ছয়জনের নাম, চারজন জামায়াত ও শিবির নেতা, একজন মাদরাসার শিক্ষক এবং একজন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য। এ জেলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে আছে সাতজনের নাম, একজন ইউপি চেয়ারম্যান, চারজন জামায়াত সমর্থক, এবজন মসজিদের ইমাম, একজনের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।

লক্ষীপুর জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে ছয়জনের নাম, যার মধ্যে চারজন জামায়াত নেতা এবং দুজন বিএনপি নেতা। সংগঠক হিসেবে আছে  পাঁচজনের নাম, যাদের সকলেই জামায়াত ও শিবির নেতা। ইন্ধনদাতা হিসেবে আছে আটজনের নাম, যাদের মধ্যে দুজন  বিএনপি নেতা, তিনজন যুবদল নেতা, একজন ছাত্রদল নেতা এবং বাকি দুজন জামায়াত নেতা।

কুমিল্লা জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে ছয়জনের নাম, যারা সকলেই জামায়াত নেতা। সংগঠক হিসেবে আছে  আটজনের নাম, যারা সকলেই জামায়াত ও শিবিরের নেতা। এ জেলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে আছে আটজনের নাম, যাদের মধ্যে ছয়জন জামায়াত নেতা। একজন মাদরাসা শিক্ষক এবং একজনের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।

চাঁদপুর জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে দুজনের নাম। যারা জাময়াত ও শিবিরের নেতা। সংগঠক হিসেবে আছে একজনের নাম। যিনি স্থানীয় বিএনপি নেতা। আর ইন্ধনদাতা হিসেবে আছে তিনজনের নাম, যাদের সকলেই শিবির নেতা।

কক্সবাজার জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে সাতজনের নাম, যাদের মধ্যে জামায়াতের সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদের নাম আছে এক নম্বরে। এছাড়া  পাঁচজন জামায়াত নেতা, একজন একজন উপজেলা ঈদগাহ কমিটির সদস্য এবং রামু বৌদ্ধ মন্দিরে হামলায় অভিযুক্ত, একজনের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। এ জেলায় সংগঠক হিসেবে আছে সাতজনের নাম, যাদের সকলেই জামায়াত ও শিবিরের নেতা। ইন্ধনদাতা হিসেবে নাম আছে নয়জনের। যাদের মধ্যে একজন চেয়ার‌ম্যান, একজন সাবেক চেয়ারম্যান, একজন সাংবাদিক। বাকিরা জামায়াত নেতা এবং রামু ঘটনার ইন্ধনদাতা।

নোয়াখালী জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আছে আটজনের। যাদের সবাই জামায়াত ও শিবিরের নেতা। সংগঠক সাতজনের মধ্যে দুজন যুবদল কর্মী। বাকিরা জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মী। ইন্ধনদাতা হিসেবেও নাম আছে সাতজনের, এদের মধ্যে তিনজনই বিএনপি নেতা, একজন ছাত্রদল নেতা, একজনের রাজনৈতিক পরিচয় নেই এবং বাকি দুজন জামায়াত ও শিবিরের নেতা।

ঢাকা বিভাগ
মানিকগঞ্জ জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আছে চারজনের। যাদের সবাই জামায়াত নেতা। সংগঠক হিসেবে আছে ছয়জনের নাম, যাদের সবাই জামায়াত ও শিবির নেতা। ইন্ধনদাতা আটজনের মধ্যে তিনজন খেলাফত মজলিশের নেতা, একজন মাদরাসার অধ্যক্ষ, একজন ইমাম, বাকি তিনজন জামায়াত নেতা।

ময়মনসিংহ জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আছে সাতজনের, যাদের সবাই জামায়াত ও শিবিরের নেতা। সংগঠক হিসেবে নাম আছ আটজনের, যাদের সবাই জামায়াত ও শিবিরের নেতা। ইন্ধনদাতা আটজনের মধ্যে সাতজন জামায়াত ও শিবিরের নেতা এবং একজন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশানের নেতা।

নারায়ণগঞ্জ জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আছে পাঁচজনের। এর মধ্যে তিনজন জামায়াত নেতা, একজন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশানের নেতা এবং একজনের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। সংগঠক হিসেবে নাম আছে পাঁচজনের। এদের মধ্যে তিনজন জামায়াত নেতা এবং বাকি দুজনের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। ইন্ধনদাতাও পাঁচজন। যাদের সবাই জামায়াত নেতা।

নেত্রকোণা জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে ১০জনের নাম রয়েছে। তারা সকলেই জামায়াত ও শিবিরের নেতা। সংগঠক হিসেবে নাম আছে ছয়জনের। তারাও সকলে জামায়াত নেতা। ইন্ধনদাতা হিসেবে আছে সাতজনের নাম। এদের একজন মাদরাসার অধ্যক্ষ, একজন হেফাজতে ইসলামের নেতা, একজন খেলাফত আন্দোলনের নেতা, একজন ইমাম, বাকিরা জামায়াত নেতা।

শেরপুর জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে ছয়জনের নাম। এদের মধ্যে চারজন জামায়াতের নেতাকর্মী, একজন বিএনপি নেতা এবং একজন বিএনপি কর্মী। সংগঠক হিসেবে আছে পাঁচজনের নাম। এদের মধ্যে তিনজন ছাত্রদল নেতা, একজন যুবদল নেতা এবং একজন জামায়াত কর্মী। ইন্ধনদাতা হিসেবে নাম আছে তিনজনের। একজন জামায়াত নেতা, একজন জামায়াত কর্মী এবং একজন বিএনপি নেতা।

জামালপুর জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আছে চারজনের. যারা সকলেই জামায়াত নেতা। সংগঠক হিসেবে আছে আটজন, একজন কওমি মাদরাসার অধ্যক্ষ, একজন একটি বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, একজন ইমাম এবং বাকিরা জামায়াত নেতা। ইন্ধনদাতা হিসেবে নাম আছে পাঁচজনের। এর মধ্যে একজন বিএনপি নেতা। তিনজন ছাত্রদল নেতা এবং একজনের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।

টাঙ্গাইল জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আছে আটজনের, যাদের মধ্যে সাতজন জামায়াত ও শিবিরের নেতা এবং একজন খেলাফত মজলিশের নেতা। সংগঠক হিসেবে নাম আছে ১৪ জনের, এর মধ্যে ১৩ জন জামায়াত নেতা এবং একজন ইসলামী আন্দোলনের নেতা। ইন্ধনদাতা হিসেবে আছে ছয়জনের নাম। এর মধ্যে দুজন কওমি ওলামা পরিষদের নেতা, একজন খেলাফত মজলিশের নেতা, একজন ইসলামী আন্দোলনের নেতা এবং দুজন জামায়াত নেতা।

গাজীপুর জেলায় পরিকল্পনাকারী ও সংগঠক হিসেবে নাম আছে নয়জনের। এর মধ্যে আটজন জামায়াত ও শিবির নেতা এবং একজন মসজিদের ইমাম। ইন্ধনদাতা হিসেবে নাম আছে পাঁচজনের। দুজন জামায়াত ও শিবির নেতা এবং বাকি তিনজন মসজিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

নরসিংদী জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে একজন রাজাকারের নাম। সংগঠক হিসেবেও আছে একজন রাজাকারের নাম। আর ইন্ধনদাতা হিসেবে আছে তিনজনের নাম। এর মধ্যে দুজন শিবির, একজন ইউনিয়ন পরিষদে ওয়ার্ড মেম্বার।

ফরিদপুর জেলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে আছে পাঁচজনের নাম, যাদের সবাই জামায়াত নেতা। সংগঠক হিসেবে আছে পাঁচজনের নাম, তারাও সবাই জামায়াত নেতা। ইন্ধনদাতা পাঁচজনের মধ্যে একজন কলেজ অধ্যক্ষ, দুজন মাদরাসার অধ্যক্ষ, একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং একজন জামায়াত নেতা।

বরিশাল বিভাগ
বরিশাল জেলায় পরিকল্পকারী পাঁচজনের সকলেই জামায়াত নেতা। সংগঠক ছয়জন জামায়াত সদস্য। ইন্ধনদাতা তিনজনের মধ্যে দুজন ইমাম এবং একজন মাদরাসার অধ্যক্ষ।

ঝালকাঠি জেলায় পরিকল্পকারী তিনজনই জামায়াত নেতা। সংগঠক চারজনও জামায়াত নেতা। ইন্ধনদাতা তিনজনের মধ্যে তিনজনই মাদরাসার সুপার।

পিরোজপুর জেলায় পরিকল্পনাকারী তিনজন জামায়াত নেতা। সংগঠক তিনজনও জামায়াত নেতা। ইন্ধনদাতা চারজনের মধ্যে একজন ইউপি চেয়ারম্যান, একজন মাদরাসার প্রভাষক, একজন মহিলা মাদরাসার শিক্ষক, একজন সাঈদী ফাউন্ডেশনের শিক্ষক।

পটুয়াখালী জেলায় পরিকল্পনাকারী চারজনের মধ্যে তিনজনেরই রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। তবে একজন শিবিরের সাবেক নেতা। সংগঠক হিসেবে তিনজনের রাজনৈতিক পরিচয় দেয়া হয়নি। আর ইন্ধনদাতা তিনজনের মধ্যেই দুজনের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। তবে একজন সাবেক শিবির নেতা।

ভোলায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে চারজনের নাম রয়েছে। এর মধ্যে একজন ইমাম এবং তিনজন জামায়াত নেতা। সংগঠক তিনজনের দুজন জামায়াত নেতা এবং একজন মাদরাসার শিক্ষক। ইন্ধনদাতা তিনজনের দুজন জামায়াত নেতা এবং একজন মাদরাসার শিক্ষক।

সিলেট বিভাগ
সিলেট জেলায় পরিকল্পনাকারী ছয়জন। এর মধ্যে চারজন জামায়াত নেতা। একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। অন্যজন মাদরাসার উপাধ্যক্ষ। সংগঠক ১০ জনের মধ্যে নয়জন জামায়াত নেতা এবং একজনের রাজনৈতিক পারিচয় উল্লেখ করা হয়নি। ইন্ধনদাতা নয়জনের মধ্যে একজন ইমাম,  তিনজন ব্যবসায়ী, বাকিরা জামায়াত নেতা।

মৌলভীবাজারে পরিকল্পনাকারী সাতজন। সকলেই জামায়াত নেতা। সংগঠক সাতজনও জামায়াত নেতা। ইন্ধনদাতা ছয়জনের মধ্যে দুজন বিএনপি নেতা, তিনজন ছাত্রদল নেতা এবং একজন যুবদল নেতা।

হবিগঞ্জে পরিকল্পনাকারী দুজনই জামায়াত নেতা। সংগঠক চারজনের সধ্যে তিনজন জামায়াত নেতা এবং একজন জাতীয় পার্টির সদস্য। ইন্ধনদাতা পাঁচজনের সবাই বিএনপি ও যুবদলের নেতা।

সুনামগঞ্জে পরিকল্পনাকারী সাতজনের মধ্যে ছয়জনই জামায়াত ও শিবির নেতা এবং একজন মাদরাসার অধ্যক্ষ। সংগঠক ছয়জনের মধ্যে দুজন ইউপি চেয়ারম্যান, একজন ইমাম, একজন কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ,  একজন জামায়াত নেতা এবং একজন শিবির নেতা। ইন্ধনদাতা ছয়জনের মধ্যে একজন একাডেমির অধ্যক্ষ, একজন জামায়াতের অর্থ জোগানদাতা, একজন মাদরাসার অধ্যক্ষ, একজন সাবেক ইউপি মেম্বার, একজন সাবেক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং একজন জামায়াত নেতা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন