বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৩

ইমরানের 'নরম' কর্মসূচির বিরুদ্ধে মঞ্চের একাংশ

গণজাগরণ মঞ্চের গতকালের ঘোষিত কর্মসূচির বিরোধিতা করে আরো কঠোর কর্মসূচি দাবি করেছে আন্দোলনে সম্পৃক্ত ১৯টি সংগঠন। জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে আগামী ৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা।

গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার কর্মসূচি ঘোষণা করলে একে 'আপোষের কর্মসূচি' আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আন্দোলনরত তরুণদের একাংশ। তারা সাথে সাথেই বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, চারুকলাসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শ্লোগান ওঠে "আপোষ নয়, সংগ্রাম-সংগ্রাম, সংগ্রাম"।

মিছিল শেষে রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিক্ষোভরত তরুণরা জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে আগামী ৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া ১৯টি সংগঠনের মধ্যে রয়েছে-জাতীয় স্বার্থে ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, গণরায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্কোয়াড, আমরা, শহীদ রুমী স্কোয়াড, জেগে আছি, বিক্ষুব্ধ নারী সমাজ, ফাঁসির মঞ্চ, মুভিয়ানা, রাস্তা, অর্বাক, ম্যাজিক মুভমেন্ট, ঘাসের কেল্লা, আহমদ ছফা রাষ্ট্রসভা-সর্বজন, আদিবাসী ফোরাম, সাংস্কৃতিক মঞ্চ, তীরন্দাজ।

রাতে এ প্রসঙ্গে জাতীয় স্বার্থে ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট'র আহবায়ক পারভেজ আলম বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই গণজাগরণ মঞ্চের সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হচ্ছিল না। আমরা আন্দোলনরতরা কঠোর ও শক্ত কর্মসূচি ঘোষণার পক্ষে মত দেই। কিন্তু 'নরম কর্মসূচি' ঘোষণা করা হয়েছে। এটি অনেককেই বিক্ষুব্ধ করেছে। তাই বিক্ষোভ।

তিনি বলেন, গণজাগরণের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান নয়। কর্মসূচির সাথে একাত্ম রয়েছি। তবে ৪ এপ্রিল গণজাগরণ মঞ্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে যাবে, সেদিনই আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করবো।

আমরণ অনশনে রুমী স্কোয়াড
জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ঘোষিত কর্মসূচিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে 'শহীদ রুমী স্কোয়াড' নামে ছয়জনের একটি দল গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে শাহবাগে আমরণ অনশনে বসেছে। এতে অংশ নিচ্ছেন- নিলয়, শুভ্র, আকাশ, আনন্দ, দীপ ও জয়। তারা বলেন, আলটিমেটাম শেষ হল গতকাল। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছে পত্র নিয়ে কাকুতি-মিনতি হবে ৪ এপ্রিল। এটা যদি হয় সর্বোচ্চ 'কঠোর' কর্মসূচি, তাহলে আমরা মনে করি তা এই তরুণ প্রজন্মের স্পিরিটের প্রতি অপমান।

 Source: http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDNfMjdfMTNfMV8zMV8xXzI5MjQz

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন