নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়া বাংলাদেশ সম্প্রদায়িক শক্তির জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
শুক্রবার চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত হিস্দু সম্প্রদায়ের ঘর-বাড়ি ও মন্দির পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যারা এই হামলা চালিয়েছে তারাই যুদ্দাপরাধীদের বিচার বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়া বাংলাদেশ সম্প্রদায়িক শক্তির জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
শুক্রবার চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত হিস্দু সম্প্রদায়ের ঘর-বাড়ি ও মন্দির পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যারা এই হামলা চালিয়েছে তারাই যুদ্দাপরাধীদের বিচার বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে।
“এরাই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। তাদের আমরা দেশ ও মুক্তিযুদ্ধেবিরোধী শক্তি বলে মনে করি। সেই সাম্প্রদায়িক শক্তির জন্য এই বাংলাদেশ না।”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সমবেদনা জানাতে এসেছি। তাদের সর্বাত্মক নিরাপত্তার নিশ্চিয়তা দিচ্ছি।”
যারা সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে, সরকার সর্বাত্মক শক্তি দিয়ে তাদের মোকাবেলা করবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালীতে হামলা-ভাংচুরের এ ঘটনায় জড়িত কিছু লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওইদিন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর বাঁশখালীতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবির। তারা উপজেলা পরিষদ ভবন, আদালত ভবন, হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ করে।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে তিনি বলেন, “মহানবীর বাণীকে অবহেলা করে যারা বাঁশখালীসহ বিভিন্ন স্থানে ঘৃণ্য ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের দমন করে সরকার প্রমাণ করবে- বাংলাদেশ তার সংবিধান ও আইন অনুযায়ী চলবে। সরকার সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বদ্ধ পরিকর।”
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হেলিকপ্টারে করে বাঁশখালীতে পৌঁছে প্রথমেই থানায় যান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
পরে সেখান থেকে জামায়াতি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁশখালীর ঋষি অদ্বৈতানন্দ মঠ ও আশ্রম পরিদর্শন করেন এবং সেখানে সেবায়েত ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
এরপর পৌর সদরে ধোপাপাড়ায় পুড়িয়ে দেয়া হিন্দু পরিবারের ছয়টি ঘরের অবস্থা ঘুরে দেখেন তিনি।
চট্টগ্রাম-৭ আসনের সাংসদ মাঈনুদ্দিন খান বাদল, পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক নওশের আলী খান, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ হাসিনা মান্নান এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
দুপুরের নামাজের পর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন মন্ত্রী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন