বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০১৩

বিশ্বে গণহত্যার ইতিহাসে একাত্তর উল্লেখযোগ্য

আল-জাজিরার প্রতিবেদন
বিশ্বের ইতিহাসে যে কয়টি বড় ধরনের গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ উল্লেখযোগ্য। কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল-জাজিরার একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আল-জাজিরা একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রচার করে। এতে ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি গণহত্যার সঙ্গে একাত্তরের তুলনামূলক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। ইনফোগ্রাফিক : বাংলাদেশ ইন টারময়েল (তথ্যচিত্র : বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা) শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচার নিয়ে চলমান অস্থিরতার চিত্রও তুলে ধরা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০০৩ সালে শুরু হওয়া সুদানের দারফুর যুদ্ধ পর্যন্ত মোট পাঁচটি বড় ধরনের গণহত্যার ঘটনাকে বিবেচনা করা হয় ওই প্রতিবেদনে। ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত চলা দারফুর যুদ্ধে প্রায় তিন লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডায় সংখ্যালঘু তুতসিদের ওপর হুতুদের প্রায় ১০০ দিন ধরে চালানো গণহত্যায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ নিহত হয়। এর ওপরে রয়েছে কম্বোডিয়ার গণহত্যা। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত চলা ওই গণহত্যায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ নিহত হয়। আর সবচেয়ে বড় গণহত্যার ঘটনা ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানিতে। হিটলারের ইহুদি নিধন কর্মসূচির শিকার হয় প্রায় ৬০ লাখ মানুষ। আর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ৯ মাসে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয় প্রায় ৩০ লাখ মানুষ এবং ধর্ষণের শিকার হয় প্রায় আড়াই লাখ নারী।
আল-জাজিরার এ হিসাব অনুযায়ী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে আজ পর্যন্ত ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে।
প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের চলমান বিচার নিয়ে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। বলা হয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দেশের মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ১৯৪৭ সাল থেকে এ দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনাবলি, বিদ্যমান দলগুলোর জনসমর্থন, বিরোধীদের বিক্ষোভে হতাহত ও অভিযুক্তদের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
কালের কণ্ঠ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন