নিউ ইয়র্ক, ১১ ফেব্রুয়ারি- একটি আন্দোলন। ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। উত্তাপ ছড়াচ্ছে কদিন থেকেই। এখন তা গণআন্দোলনের রূপ নিয়েছে। এ আন্দোলনের সূচনা কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম পথপ্রদর্শক ফেসবুকে। আর তা থেকেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের কোটি কোটি অনলাইন পাঠকের কাছে। অনলাইন থেকে ছড়িয়ে গণমাধ্যমে। আর গণমাধ্যম থেকে সব শ্রেণীপেশার মানুষের কাছে। ঢাকার শাহবাগের প্রজন্ম স্কোয়ারে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণায় অসন্তুষ্ট হয়ে ফুঁসে ওঠা নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশীদের গড়ে তোলা শাহবাগের প্রতিবাদী প্রজন্ম-স্কোয়ারের স্বতঃস্ফুর্ত গণসমাবেশের সাথে সংহতি প্রকাশ করে নিউ ইয়র্কের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সাংবাদিকতার সাথে জড়িত প্রবাসী বাংলাদেশীগণ।
সকল প্রজন্মের সক্রিয় বাংলাদেশীদের উদ্যোগে ১০ ফেব্রুয়ারি, রবিবার, বিকাল ৪টায় জ্যাকসন হাইটস-এ অনুষ্ঠিত হয় বিশাল গণসমাবেশ। একদিন আগে বয়ে যাওয়া তুষারঝড়ের রেখে যাওয়া বরফে আচ্ছাদিত ডাইভারসিটি প্লাজার চত্বর বিশাল আকারের জাতীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, পোস্টারে ছেয়ে যায়। আনুমানিক প্রায় হাজারখানেক বিভিন্ন প্রজন্মের প্রবাসী শিশু-বৃদ্ধ নারী-পুরুষ শ্লোগানে ও গণসঙ্গীতে প্রায় চার ঘণ্টা ডাইভারসিটি প্লাজাকে প্রজন্ম স্কোয়ারে রূপান্তরিত করে রাখে। উল্লেখ্য, একই সময়ে জ্যাকসন হাইটস-এর পাল্কি সেন্টারে বাংলাদেশে আটক অভিযুক্ত ও শাস্তিপ্রাপ্ত ঘাতক-দালালদের মুক্তির দাবিতে জামাত-শিবির কর্মীরা আরেকটি সমাবেশ আয়োজন করে। এরা সমাবেশ থেকে বাইরে বেরিয়ে শ্লোগান দেওয়ার চেষ্টা করলে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থকরা তাদের ধাওয়া দিলে তারা বেসমেন্ট-এ অবস্থিত পাল্কী সেন্টারে ফিরে যায়। এ নিয়ে জ্যাকসন হাইট এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে পরে পুলিশের উপস্থিতিতে ঘটনা নিয়ন্ত্রিত হয়।শেষে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে সম্পাতি হয় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন