টোকিও, ৭ মার্চঃ ৪২ বছর পরে হলেও অত্যন্ত যৌক্তিক কারণে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনায় বাংলাদেশের তারুণ্য তার ঐতিহাসিক দায়িত্ববোধ নিয়ে আবারও জেগে উঠেছে। এ জাগরণ শুধুমাত্র ঢাকার রাজপথে সীমাবদ্ধ নয়, মানচিত্রের গন্ডি পেরিয়ে পৃথিবীর যে প্রান্তেই বাংলাদেশ বা বাঙ্গালী- তার মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ধারাবাহিকতায় জাপানের বিখ্যাত বিদ্যাপিঠ টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রী এবং গবেষকবৃন্দ গত ৩ মার্চ ২০১৩ (রোববার) শাহবাগ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা জানাতেমিলিত হন। তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে জাপানে স্থায়ী ভাবে বসবাসকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের অনেক সাধারণ বাংলাদেশীও এই সমাবেশে অংশগ্রহন করেন।
পূর্বনির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী সবাই এক এক করে শীতের সকালে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত ইয়াসুদা অডিটোরিয়্যামের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর সোয়া ১২টায় সমাবেশের শুরুতেই গণস্বাক্ষর কর্মসূচীতে অংশগ্রহনের মধ্য দিয়েশাহবাগ চত্তর ঘোষিত ছয় দফার দাবীর সঙ্গে সংহতি জানানো হয়। তারপর সম্মিলিত স্বরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় সঙ্গীতের পর মুহুর্মূহু শ্লোগানে সমাবেশস্থল রীতিমত আন্দোলিত হতে থাকে। এরপর উপস্থিত সবার বক্তব্যে- যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি, মৌলবাদী রাজনীতি ও অর্থনীতি নিষিদ্ধকরন এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা অনুসারে একটি অসম্প্রদায়িক এবং শোষনহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দাবী পরিষ্ফুট হয়। এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত সবাই দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ আন্দোলনের মূল চেতনার সাথে সংযুক্ত থাকার শপথ নেন। উল্লেখ্য, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও জাপানের অন্যান্য শহর এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও শাহবাগের সাথে সংহতি জানিয়ে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং আগামীতেও আরো জোরালো সংহতি জানানো অব্যাহত থাকবে বলে, আয়োজকদের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন