মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০১৩

সরিয়ে ফেলা হচ্ছে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ

সাগর আনোয়ার | নতুন বার্তা ডটকম
ঢাকা: সরিয়ে ফেলা হচ্ছে শাহবাগের আলোচিত গণজাগরণ মঞ্চ। প্রাথমিক অবস্থায় এর পরিসর ছোট করে আগামী সপ্তাহে পুরোপুরি সরিয়ে ফেলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর একাধিক নেতা।

তারা জানান, আন্দোলন অতিমাত্রায় রাজনীতিকরণ, লোকজন অস্বাভাবিকভাবে হ্রাস পাওয়া, মিডিয়ার সাপোর্ট কমে যাওয়া, শাহবাগের ফুল ব্যবসায়ীদের অসন্তোষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কথা চিন্তা করে এ মঞ্চ সুবিধাজনক সময়ে সরিয়ে ফেলা হবে। তবে কর্মসূচি ঘোষণা করা হলে পুনরায় মঞ্চ নির্মাণ করা হবে বলে তারা জানান।

এসময় একাধিক বাম ছাত্রনেতা আক্ষেপ করে বলেন, “মঞ্চ ছোট করা হবে কি-না ভেঙে ফেলা হবে এটা নির্ভর করছে কাদের ওপর আপনারা আমাদের চেয়ে ভালো জানেন। আমরা যারা আন্দোলন শুরু করেছিলাম আমাদের তো আর এখন গুরুত্ব নেই। উপর থেকে যা আসে তাই শুধু পালন করতে হয়।”

তবে গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম উদ্যোক্তা খান আসাদুজ্জামান মাসুম নতুন বার্তাকে বলেন, “মঞ্চ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে না, ছোট করা হচ্ছে। পরবর্তী সমেয়ে কী হবে সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না।”

সোমবার সকাল ১০টার দিকে শাহবাগে গিয়ে দেখা যায়, শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সড়কের মাঝখানে স্থাপিত বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি গণজাগরণ মঞ্চটি ছয়জন শ্রমিক খুলে ফেলছে। মঞ্চের আশেপাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব-পাহারা দিচ্ছে।

মঞ্চের শ্রমিকদের দলনেতা আব্দুল খালেক নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “আমাদের মঞ্চটি ছোট করতে বলা হয়েছে। আগে এটি ছিল ৪২ ফুট বাই ২৪ ফুট এখন করা হচ্ছে ৩২ ফুট বাই ১৮ ফুট।”

মঞ্চ সরিয়ে ফেলার বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “আমরা গণজাগরণ মঞ্চ সরিয়ে ফেলছি না এর পরিসর ছোট করছি।”

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তমাল নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “আমি ভাই কিছুই জানি না।”

এদিকে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তা ব্লগার বা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের দেখা মেলেনি।  মঞ্চের পশ্চিম পাশের গণস্বাক্ষর নেয়ার বুথটিও খালি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন