ইত্তেফাক রিপোর্ট
গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে
সামপ্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশের নাট্যদলগুলোর
অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। আলোচনা, একাত্তরের স্মৃতি
জাগানিয়া সঙ্গীত, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন এবং পথনাটক মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে
গতকাল শিল্পীরা প্রতিবাদ জানান যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসরদের। দেশের গান
দিয়ে শুরু হয় এই আয়োজন।
সঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন
সংগঠনের শিল্পীরা পরিবেশন করে 'পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে' ও 'ভয় কি মরনে'
গান দুইটি। এর পরেই শুরু হয় আলোচনা পর্ব। এতে অংশ নেন চিত্রশিল্পী রফিকুন
নবী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক
হাসান আরিফ, সঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, পথনাটক
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির সিরাজ,
যাত্রাশিল্পী মিলন কান্তি দে, নাট্যজন জামাল উদ্দিন হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল
থিয়েটার ইন্সটিটিউটের বিশ্ব সভাপতি রামেন্দু মজুমদার ও গ্রুপ থিয়েটার
ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফেডারেশনের
সেক্রেটারি জেনারেল ঝুনা চৌধুরী।আলোচনায় বক্তারা বলেন, 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়কে কেন্দ করে জামায়াত-শিবির সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে। সামপ্রদায়িকতাকে উস্কে দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং আমাদের পুলিশ ভাইদের উপর চোরাগুপ্তা হামলা চালাচ্ছে এবং হত্যা করছে।'
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশ্বজিত্ রায়, ফকির সিরাজ, ইমতিয়াজ, ইউসুফ হাসান অর্ক, কনক ও হাবিব। আবৃত্তিতে অংশ নেন লায়লা আফরোজ, ঝর্না সরকার ও লায়লা তারান্নুম কাকলী। শেষে দেশের বিদ্যমান সহিংস পরিস্থিতির বিরুদ্ধে ৬টি গণজাগরণের নাটক মঞ্চস্থ হয়। নাটকগুলো হলো—'শাহবাগ বিদ্রোহ', 'এফিভেবিট', 'এখানে ৪২ বছর ধরে ক্ষতিগ্রস্ত জাতীয় সড়কের সংস্কার কাজ চলছে', 'কাদের নামা', 'বীরাঙ্গণা হালিমা' ও 'প্রজন্ম'১৩'।
এছাড়া পুরো অনুষ্ঠানের সময়জুড়ে সহিংসতার বিরুদ্ধে চিত্রকর্ম আঁঁকেন শিল্পী শহীদ কবির, সামসুল ইসলাম নান্টু, আব্দুল মান্নান ও মনিরুজ্জামান।
গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ৪৬টি শাখা একই সময়ে দেশের নানা স্থানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন