বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৩

হেফাজতের দাবি বাস্তবায়িত হলে গার্মেন্টসে বিপর্যয় ॥ ৩০ লাখ নারী বেকার

০ সামাজিক বিপর্যয় দেখা দেবে
০ শ্রমিক সঙ্কটে বন্ধ হবে ৭৫ ভাগ কারখানা
০ রফতানি খাতে ৭৫ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হ্রাস পাবে
জনকণ্ঠ, এম শাহজাহান ॥ হেফাজতের ১৩ দফা নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশের পোশাক শিল্পখাত। তাদের ৪ ও ৫ দফা বাস্তবায়ন হলে অর্থনীতির চারটি খাতে বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে-পোশাক শিল্পে নিয়োজিত ৩০ লাখ নারী শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বে, অর্থাভাবে দেখা দেবে সামাজিক বিপর্যয়, শ্রমিক সঙ্কটে বন্ধ হবে ৭৫ ভাগ কারখানা এবং রফতানি খাতের ৭৫ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হ্রাস পাবে।
হেফাজতের দাবি বাস্তবায়িত হলে কারখানায় নারীদের আর কাজ করার সুযোগ থাকছে না। পোশাক শিল্পে নিয়োজিত নারীদের কাজ ছেড়ে ঘরে ফিরে যেতে হবে। দাবি বাস্তবায়ন হলে এ শিল্পে কর্মরত ৩০ লাখ নারী শ্রমিকের সম্পূর্ণভাবে বেকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় শুধু উদ্যোক্তারা নয়, উদ্বিগ্ন পোশাক শিল্পে কর্মরত নারীরাও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
হেফাজতে ইসলামের ৪ দফায় ‘ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা’র কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ৫ দফায় ইসলামবিরোধী নারী নীতি বন্ধের কথা বলেছে। অর্থাৎ বর্তমান যে নারী নীতি দেশে প্রচলিত আছে তার বিরোধিতা করছে হেফাজত।
সূত্রমতে, হেফাজতের ৪ এবং ৫ দফা দাবি নিয়ে ইতোমধ্যে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, শিল্পে কর্মরত নারী সমাজ বনাম হেফাজত এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। ফুঁসে উঠছে দেশের নারী শ্রমিকরা। নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করে এরকম সংগঠনগুলো হেফাজতকে প্রতিরোধ করার জন্য জোটবদ্ধ হচ্ছে। হেফাজতের নারী নীতি বাতিলের প্রতিবাদে আগামী ২৭ এপ্রিল গার্মেন্টস শ্রমিক রক্ষা আন্দোলন মতিঝিল শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিক রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক ও শ্রমিক নেতা জেডএম কামরুল আনাম এ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।
ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে হেফাজতে ইসলাম বা ধর্ম ব্যবসায়ীরা ঢাকার রাজপথে তালেবানী কায়দায় শক্তি প্রদর্শন করেছে। একই সঙ্গে সমাবেশে নারীর প্রতি যে সহিংস বক্তব্য প্রদান করেছে তাতে নারীর কর্মময় জীবনে আরও সঙ্কট তৈরি করেছে। এতে নারী সমাজের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দানা বাঁধছে। হেফাজতে ইসলাম যদি তাদের বক্তব্য থেকে ফিরে না আসে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দেশের ৩০ লাখ নারী গার্মেন্টস শ্রমিক দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। এ প্রসঙ্গে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার জনকণ্ঠকে বলেন, দেশের রফতানিমুখী শিল্পের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে নারী শ্রমিক। কিন্তু হেফাজতের দাবি পূরণ হলে দেশে নারীরা কোন কাজ করতে পারবে না। আমরা হেফাজতের এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করি, ঘৃণা করি ও বর্জন করেছি। হেফাজতের বিরুদ্ধে পাল্টা কর্মসূচী দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ৩০ লাখ নারী শ্রমিক রাস্তায় নামলে হেফাজত ও জামায়াত-শিবির খুঁজে পাওয়া যাবে না।
এদিকে, হেফাজতে ইসলামের এই ১৩ দফার বিরুদ্ধে ঘোর আপত্তি রয়েছে পোশাক শিল্প খাতের বিনিয়োগকারীদের। তবে তাঁরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। মিডিয়ার সামনে মুখ না খুললেও ভেতরে ভেতরে ফুঁসছেন উদ্যোক্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিএমইএ’র এক শীর্ষ নেতা জনকণ্ঠকে বলেন, হেফাজতের ৪ ও ৫ দফা বাস্তবায়িত হলে দেশ তালেবানী রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাংলাদেশকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তাদের এই দাবির বিরুদ্ধে শুধু প্রতিবাদ নয়, তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় হয়েছে। যেসব রাজনৈতিক দলের ইন্ধনে হেফাজত শক্তি প্রদর্শনের সুযোগ পেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক যে অগ্রগতি তাতে নারীদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। নারী সমাজ অর্থনীতিকে শক্ত-মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু হেফাজতের দাবি বাস্তবায়িত হলে অর্থনীতির চারটি খাতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
ক. পোশাক শিল্পে নিয়োজিত ৩০ লাখ নারী বেকার হয়ে যাবে ॥ রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প দেশের দরিদ্র নারীদের হাতে অর্থনৈতিক ক্ষমতা এনে দিয়েছে। ব্যাপক কর্মসংস্থানের ফলে এ শিল্পে নিয়োজিত ৩০ লাখ নারী আজ স্বাবলম্বী। চাকরি করার পূর্বে যারা ছিল পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশ। পোশাক শিল্পে কাজ করার সুবাদে তাঁরা যে শুধু অর্থ আয় করছে তাই নয়, নারীর ক্ষমতায়নে বিরাট ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। পরিবারের নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় নারীরা কথা বলতে পারছেন। যে কণ্ঠস্বরটি আর্থিক ক্ষমতায়নের আগে তাদের ছিল না। আর্থিক ক্ষমতায়ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মেয়েদের সামাজিকভাবেও ক্ষমতায়িত করেছে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের জন্য দরিদ্র মেয়েদের ক্ষমতায়ন ইতিবাচক ফল নিয়ে এসেছে। কিন্তু হেফাজতের দাবি বাস্তবায়িত হলে কর্মরত এসব নারীকে ঘরে ফিরে যেতে হবে। তারা পুরুষের পাশাপাশি এক সঙ্গে কাজ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। পোশাক কারখানায় কাজ করার সুবাদে ইতোমধ্যে অসংখ্য নারী তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সক্ষম হয়েছে। নিজ সংসারের পাশাপাশি বৃদ্ধা মা-বাবাকে মাস শেষে বেতনের একটি অংশ পাঠাতে পারছেন। মায়েরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন। চাকরি নেয়ার আগে যা ছিল তাদের কাছে স্বপ্নের মতো। মিরপুরের সবুজ ফ্যাশনে কাজ করেন নারগিস বেগম। হেফাজতের ১৩ দফার কথা তিনি শুনেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, হেফাজতের ১৩ দফা আমরা মানিনা, মানব না। হুজুররা আমাদের সংসার চালাবেন না। গার্মেন্টসে কাজ করে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে কোন রকম চালিয়ে যাচ্ছি। এটা বন্ধ হলে আমাদের রাস্তায় নামা ছাড়া কোন গত্যন্তর থাকবে না।
খ. দেখা দেবে সামাজিক বিপর্যয় ॥ হেফাজতের ১৩ দফা বাস্তবায়িত হলে দেশে সামাজিক বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশের সবচেয়ে অবহেলিত, অশিক্ষিত, অপ্রশিক্ষিত এবং পিছিয়ে পড়া নারীদের কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে পোশাক শিল্পখাত। চাকরি করার সুবাদে নারীরা নিজের পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা এনে দেয়ার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু হেফাজতের দাবি বাস্তবায়িত হলে এসব নারী সম্পূর্ণরূপে বেকার হয়ে পড়বে। অভাব অনটনে পড়ে তারা অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া চাকরি হারিয়ে কোন কোন নারী অবৈধ ব্যবসায়ে জড়িয়ে পড়তে পারে। নারী পাচার, মাদক ও চোরাচালান বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় দেশে সামাজিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। তাই হেফাজতের এ দাবি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ’র সদ্য বিদায়ী সভাপতি মোঃ সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, পোশাক শিল্পখাত দেশের পিছিয়ে পড়া নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। নারীরাই এ শিল্পের প্রাণ। পোশাক শিল্পে কাজ করার সুবাদে নারীরা যেমন আর্থিক সচ্ছলতা পেয়েছে ঠিক তেমনি সামাজিকভাবেও তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নেও পোশাক শিল্পখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
গ. বন্ধ হবে ৭৫ ভাগ কারখানা ॥ বিজিএমইএ’র তথ্য মতে, দেশে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পোশাক কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে চালু অবস্থায় রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কারখানা। বাকি কারখনাগুলো বিভিন্ন সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। বরাবরই শ্রমিক সঙ্কট এ শিল্পের একটি বড় সমস্যা। কারণ শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত ছেলেমেয়েরা এখনও পোশাক কারখনায় কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছে না। ফলে অর্ধশিক্ষিত, অপ্রশিক্ষিত এবং অশিক্ষিত নারীরাই শ্রম দিয়ে এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে। হেফাজতের ১৩ দফা মেনে নেয়া হলেও এসব নারী আর কাজ করার সুযোগ পাবে না। ফলে শ্রমিক সঙ্কটের কারণে এ শিল্পের ৭৫ ভাগ কারখানা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রফতানি খাতে নারীরা সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছেন। প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পোশাক শিল্প কারখানায় নারীরা এখন অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তাঁদের শ্রমের কারণেই বাংলাদেশ এখন বিশ্ববাজারে সক্রিয়ভাবে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হচ্ছে। শ্রমজীবী এসব নারীর বেশির ভাগ গ্রাম থেকে শহরে এসে তাঁদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কর্মজীবী নারীদের অনেকেই প্রথমবারের মতো তাদের পরিবার এবং জাতীয় আয়ে অবদান রাখছেন। শহরাঞ্চলে নারীরা কাজ করে তাদের অর্থ গ্রামের বাড়িতে পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে পাঠাচ্ছেন। একই সঙ্গে অর্থনীতিতে তাদের অবদানের বিষয়টি স্থিতিশীল ও শক্ত অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। এতে শহরেও ধীরে ধীরে নারীদের সামাজিক অবস্থানের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।
ঘ. রফতানি খাতের বৈদেশিক মুদ্রা হ্রাস পাবে ॥ দেশের মোট রফতানি আয়ের ৭৫ দশমিক ৫ শতাংশ আসছে পোশাক শিল্পের মাধ্যমে। শুধু পোশাক রফতানি করে বছরে বৈদেশিক মুদ্রা আসছে ১ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা। প্রতিবছর রফতানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনও। বর্তমান বছরে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি করা হচ্ছে। এ খাতের উদ্যোক্তারা ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের রফতানির স্বপ্ন দেখছেন। হেফাজতের দাবি বাস্তবায়িত হলে তাঁদের এ স্বপ্ন অঙ্কুরে ধূলিসাত হবে। কারণ পোশাক শিল্পে নিয়োজিত ৮০ শতাংশ শ্রমিক হচ্ছে নারী। এসব নারীর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং হাড়ভাঙা খাটুনির ফসল হচ্ছে তৈরি পোশাক শিল্প। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে নারী শ্রমিকদের জন্য। বিদেশী ক্রেতারাও দেশের নারী শ্রমিকদের কাজে সন্তুষ্ট হয়েছেন। এছাড়া নারী শ্রমিকদের কারণে অপেক্ষাকৃত সস্তায় পোশাক সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু হেফাজতের দাবি বাস্তবায়িত হলে সারা বিশ্বে একটি ভুলবার্তা পৌঁছে যাবে। বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণার জন্ম হবে। এ অবস্থায় বিদেশী ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন। ফলে হেফাজতের দাবি পূরণ হলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এ খাতটি চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে (সিপিডি), বাংলাদেশ একটি সাহায্যনির্ভর অর্থনীতি থেকে বাণিজ্যনির্ভর অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে মূল ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছে পোশাক শিল্প খাত। আর যেখানে নারীর অবদান হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে তিনটি খাতের মূল অবদান তার পেছনে বাংলাদেশের মেহনতী ও শ্রমজীবী নারী-পুরুষের অবদান অবিস্মরণীয়। সিপিডির গবেষক ও অর্থনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি তার মানবসম্পদ। এ দেশের মানবসম্পদ কষ্টসহিষ্ণু, অপরাজেয়, সৃষ্টিশীল ও উদ্যমী। অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। আর এই মানব সম্পদের একটি বড় অংশ হচ্ছে নারী। দেশের অবহেলিত নারী সমাজের বিরাট অংশের কর্মসংস্থান করে নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক মর্যাদা ও ভারসাম্যের সুযোগ সৃষ্টি করেছে, যা অন্য কোন শিল্পে বিরল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন