শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৩

এ হরতাল দেশের পক্ষের, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের

গণজাগরণ সংবাদ
হেফাজতের লংমার্চ প্রতিহতে ডাকা হরতালকে ‘বাংলাদেশের পক্ষের, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের’ হরতাল আখ্যায়িত করে মুনতাসীর মামুন বলেছেন, সরকার যদি নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তাহলে তারাও সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় পেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি বলেন, “এই বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে, গণতন্ত্রের ভিত্তিতে। কিন্তু আজকে যখন ধর্মকে হাতিয়ার করে সেই ধর্মনিরপেক্ষতাকে নস্যাত করার জন্য, গণতন্ত্রকে নস্যাত করার জন্য রাজনৈতিক নামধারী কিছু দল রাস্তায় নামে তখন আমরা কেউ বসে থাকতে পারি না।”


ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এই সহ-সভাপতি আরো বলেন, “আমরা মনে করি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাঙালির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রতিনিধি জামায়াতে ইসলাম, যার সহযোগী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম এবং বিএনপি, সাথে তাদের সেই তথাকথিত ১৮ দলীয় জোট যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।”

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন উল্লেখ করেন যে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যদি তারা হতো তাহলে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াত না। তারা বলছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই না। তারা যদি গণতন্ত্র চাইতো তাহলে সংসদে যেত। কেননা সংসদ মানেই তো গণতন্ত্র।

জামায়াতে ইসলামীকে একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, বিএনপিকে আমরা রাজনৈতিক দল বলতাম। কিন্তু তারাও জামায়াতের সঙ্গে মিলে যে রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে তারাও একটি সন্ত্রাসী দলে পরিণত হচ্ছে।

“হেফাজতে ইসলাম যদি খালি আল্লাহর পথে থাকতো, রসুলের পথে থাকত তাহলে আজকে আমি এখানে মাইক হাতে দাঁড়াতাম না। আমি শুনেছি তারা আমি, শাহরিয়ার কবির ও আমাদের বন্ধু বান্ধব অনেককে আবারও মুরতাদ ঘোষণা করেছে। আপনারা জানের ইসলামে মুরতাদ ঘোষণার কোনো বিধান নাই।”

মুনতাসীর মামুন আরো বলেন, সরকারের অনেক ত্রুটি থাকতে পারে। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে যখন আমরা শুভ শক্তির পক্ষে দাঁড়িয়েছি, তারা যদি কোনো ভুল করেও থাকে তারা সে ভুল শুধরে নিয়ে আমদের পক্ষে এসে দাঁড়িয়েছে।

সরকার যদি নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেও প্রস্তুত আছেন বলে জানান তিনি।

সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, নাট্যজন মামুনূর রশীদ, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা কাজী মুকুল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর প্রমুখ।

প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষ করে জোটভুক্ত  সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো পল্টন মোড়ে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করছে।

এদিকে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট থেকে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৮টায় হররতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের হবে। মিছিলটি মৎসভবন, প্রেসক্লাব হয়ে পল্টন মোড়ে অবস্থান নেবে। এছাড়া মিরপুর ১, ১০, বাংলা কলেজ, দনিয়াতেও অবস্থান নেবে তারা। এছাড়া হরতালের সমর্থনে কমলাপুর ও গেণ্ডারিয়ায় মিছিল হবে।

একই সাথে মহাখালী মোড়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে অবস্থান নেবেন হরতাল সমর্থনকারীরা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন