শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৩

রাজীব হত্যা পরিকল্পনাকারী রানাসহ তিনজনকে খুঁজছে পুলিশ

প্রথম আলো
ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা রানাসহ তিনজনকে খুঁজছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযানও চালানো হয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করা ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির পাঁচ শিক্ষার্থী নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তাঁরা বলেছেন, ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা রানার পরিকল্পনায় ও নেতৃত্বে তাঁরা ছয় শিক্ষার্থী ব্লগার রাজীবকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।
পলাতক রানা একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের ছাত্র। অপর যে দুজনকে খোঁজা হচ্ছে, তাঁরাও একই বিভাগের ছাত্র। তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য গ্রামের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু তাঁদের পাওয়া যায়নি।
পল্লবীর পলাশনগরে নিজ বাড়ির সামনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজীবকে হত্যা করা হয়।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির উপকমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শিবিরের সাবেক নেতা রানার নেতৃত্বে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছয় শিক্ষার্থী ব্লগার রাজীবকে হত্যা করে। এ ঘটনার সঙ্গে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আরেকজন শিক্ষার্থীও জড়িত। ইতিপূর্বে আসামি শনাক্ত, হত্যাকাণ্ডের কারণ ও উদ্দেশ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। পলাতক তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
রাজীব হত্যা মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে পল্লবী থানার পুলিশ। পরে মামলাটির তদন্তভার ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। গত ১ মার্চ রাতে এ মামলায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির পাঁচ শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপ (২২), মাকসুদুল হাসান ওরফে অনিক (২৩), এহসান রেজা ওরফে রুম্মান (২৩), নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯) ও নাফিস ইমতিয়াজকে (২২) গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরে এই পাঁচজনকে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন