বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৩

যৌবন আর ব্যবহূত হবে না

আবু হাসান শাহরিয়ার
বিএনপি যখন তালেবানি ১৩ দফা দাবিতে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চকে সমর্থন জানায়, আমরা অবাক হই না। কেন হই না? বরাবরই দলটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করে এসেছে। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে এই চর্চা বৃদ্ধি পায়। অবাক হতে হয় তখনই, যখন  আওয়ামী লীগও হেফাজতি ১৩ দফার প্রতি সুর নরম করে কথা বলে। বলেই ক্ষান্ত হয় না, ব্লগ-অজ্ঞ হেফাজতিদের দেওয়া তালিকা হাতে ‘নাস্তিক’ ব্লগার গ্রেপ্তারে উঠেপড়ে লাগে। তাতে কোনও লাভ তো হয়ইনি দলটির, বরং হেফাজতিরা মহাজোট সরকারকেও ‘নাস্তিক সরকার’ উপাধি দিয়েছে।
অন্যদিকে ফেসবুক-ব্লগে জেগে থাকা নতুন প্রজন্মের কাছেও প্রশ্নবিদ্ধ হতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে। এর মধ্যেই পহেলা বৈশাখ এসে বাঙালিকে তার হাজার বছরের জাতিসত্তায় রাঙিয়ে দিয়ে গেছে। বলে গেছে, হেফাজতিদের সাম্প্রদায়িক লংমার্চ যত না সত্য, তার চেয়ে অনেক বড় সত্য বাঙালির অসাম্প্রদায়িক বর্ষবরণ। জামায়াত-হেফাজতের উল্লম্ফনের কারণে এবারের পহেলা বৈশাখ সুরে ও রেখায় যৌবনের দ্রোহকে ধারণ করেছে ললাটে। এই দ্রোহ শাহবাগসৃষ্ট গণজাগরণের সতীর্থ।

দুই.
এদিকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন-ক্ষণ ঘনিয়ে আসছে। এসে লাভ? টানা পাঁচ বছর যদি হিংসা-বিদ্বেষ আর সহিংসতাই দেখতে হয় জনগণকে, কেন একদিন শুধু-শুধু ভোটকেন্দ্রে যাওয়া? সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় জনগণ তো ফিরে-ফিরে ভোটকেন্দ্রে গেছেই। দেশে সুন্দর একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশরচনার স্বার্থে কী করেছেন আমাদের রাজনীতিকরা? সংসদই তো কার্যকর রাখতে পারেননি তারা। নির্বাচনে হারলে একদল সংসদে যাবে না, অন্যদল ক্ষমতায় গিয়ে যেমন খুশি তেমন করবে— এমনটাই সংসদীয় রীতিতে পরিণত হয়েছে। সে-কারণেই মানুষ বলতে বাধ্য হয়, এমন গণতন্ত্র থাকলেই কী, আর না-থাকলেই কী?
‘গণতন্ত্র হচ্ছে ৫১ ভাগ মানুষের রায়ে ৪৯ ভাগ মানুষকে বঞ্চনার একটি পদ্ধতি’— প্রয়াত ফরাসি দার্শনিক সার্ত্রের এমতবক্তব্য খণ্ডন করে সেদেশের গণতান্ত্রিকরা বলেছিলেন— ক্ষমতায় গিয়ে সেই ৪৯ ভাগ মানুষকেও খুশি রাখা গণতন্ত্রের কাজ। উন্নত দেশগুলোয় এর চর্চাও আছে। আমাদের এমনই দুর্ভাগ্য যে, ৪৯ ভাগ দূরে থাক, যাদের ভোটে ক্ষমতায় আসা, তাদেরই মনে রাখে না শাসকদল। শপথ নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় কতিপয় দলীয় লোকজন আর কিছুমিছু দলকানা নিয়ে খাই-খাই পথচলা। বৈধতা পায় দলকানাদের চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি-লুটপাটবাজি। অন্যদিকে সেটা করতে পারে না বলেই বিরোধী দলের যত আক্রোশ— তুচ্ছ ইস্যুতে ঘন-ঘন হরতাল-অবরোধ ডেকে দেশের অর্থনীতিকে আঘাত করা, জনগণকে কষ্ট দেওয়া। গণতন্ত্রের নামে দেশে এখন যা চলছে, তার নাম লুটপাটতন্ত্র ও জননিপীড়ন। রাজনৈতিক লুটেরাদের বৈধতা দিতেই পাঁচ বছর পর-পর নির্বাচন আসে। তারপর যে কে সেই— হিংসা-বিদ্বেষ-সহিংসতা। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কাছ থেকে ইসির এখন এমন মুচলেকা আদায় করা উচিত যে, দল ক্ষমতায় না গেলেও সংসদে যাবে। একই সঙ্গে এ মুচলেকাতেও স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া দরকার যে, জাতির অমিত সম্ভাবনাময় যৌবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে না আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো।
ওই যৌবনই আমাদের স্বপ্ন ও ভরসা। হেলাল হাফিজের কবিতার দুটি বিখ্যাত লাইন মনে পড়ে যাচ্ছে— ‘এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।’ বায়ান্নোর ভাষা-আন্দোলন অথবা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ওই যৌবনেরই গৌরবগাথা। তখন তিমিরবিনাশী রাজনীতির চর্চা ছিল দেশে। একালের রাজনীতি যৌবনবিনাশী।

তিন.
ক্ষমতায় যেতে হবে বিএনপিকে। সেই জন্যই সংসদে না-যাওয়া। সেই জন্যই অযৌক্তিক ইস্যুতেও হরতাল-অবরোধ ডেকে জননিপীড়ন। ক্ষমতায় গেলে বয়সী নেতারা মন্ত্রী হবেন; গাড়িতে পতাকা উড়িয়ে ঘুরবেন। নেতারা সুশীল; তাদের ইনডোর শরীর। সেই শরীরে আউটডোর হরতাল বা পুলিশি নির্যাতন সইবে কেন? তাই যৌবনের অপব্যবহার। জোগান দিতে আছে ছাত্রদল-যুবদল। হরতাল-অবরোধ দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ককটেল-চাপাতি-রামদা-পিস্তলধারী যৌবনই বিএনপির ভরসা। 

চার.
একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে হত্যা-লুণ্ঠন-ধর্ষণ-জ্বালাও-পোড়াওসহ বিস্তর মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে যারা, তাদের দল জামায়াতে ইসলামী। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির শীর্ষ নেতাদের বিচার চলছে। উপর্যুপরি নৈরাজ্য-নাশকতা চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পারলে সে-বিচার বানচাল করা সম্ভব। এর জন্য দরকার প্রাণঘাতী যৌবন। রগকাটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যৌবন হলে তো কথাই নেই। আরও বেশি প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে ওই যৌবনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের কব্জি উড়িয়ে বা মাথা থেঁতলে দেওয়াও কঠিন কিছু নয়। প্রশিক্ষিত সেই জঙ্গি যৌবনের জোগান দিতে জামায়াতের আছে ছাত্রশিবির।

পাঁচ.
ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে আওয়ামী লীগকে। যে-কোনও প্রকারে আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসতে হবে। কেউ যদি সরকারের সামান্য সমালোচনাও করে, তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে হবে। যাকে পছন্দ নয়, তাকে রাজাকার বানিয়ে দিতে হবে (যেন আওয়ামী লীগই মুক্তিযুদ্ধের একক ইজারাদার)। বিরোধী দলের ডাকা হরতাল-অবরোধদমনে পুলিশ ছাড়াও মাঠে নামাতে হবে দলীয় ক্যাডার। দলের বয়সী নেতাদের দ্বারা এ কাজ হওয়ার নয়। তাদের ক্ষমতাবিলাসী শরীরে এত ধকল সইবে কেন? অতএব প্রয়োজন সেই যৌবনের, যে-যৌবন দলের স্বার্থে চাপাতি, রামদা, পিস্তল— যখন যা প্রয়োজন হাতে তুলে নিতে পারঙ্গম। সন্ত্রাসী যৌবনের জোগান দিতে আওয়ামী লীগের আছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। 

ছয়.
সমপ্রতি ‘হেফাজতে ইসলাম’ নামের একটি সংগঠনও যৌবনবিনাশী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। সংগঠনটির নেতৃত্বে আছেন কওমি মাদ্রাসার আলেমগণ। গণতন্ত্রের নামে লুটপাটতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাওয়ায় গত ৪৫ বছরে ধনী-গরিব বৈষম্যবৃদ্ধির সঙ্গে-সঙ্গে ব্যাঙের ছাতার মতো মাদ্রাসাও বেড়েছে দেশে। মাদ্রাসায়-মাদ্রাসায় বেড়েছে অবহেলিত যৌবন। তথাকথিত সুশীলদের ধারণা— ওরা জাকাত-ফেতরা আর কোরবানির পশুর চামড়ায় চলে; ওদের কথা ভাবলেই কী, আর না-ভাবলেই কী? এ সরলীকরণ বাস্তবতাকে অস্বীকার করার শামিল। সুশীল পাখিরা জানেন না, জাকাত-ফেতরার সঞ্চয়লব্ধ অর্থে (এবং সরকারকে রাজস্ব দিতে হয় না বলে) কোনও-কোনও মাদ্রাসা আজ এত বিত্তশালী যে, অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ও সেগুলোর কাছে নস্যি। তাছাড়া সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে মাদ্রাসাপড়ুয়াদের প্রভাবও আছে। পরন্তু দেশের অধিকাংশ মসজিদই ওদের নিয়ন্ত্রণে। কওমি যৌবনকে ব্যবহার করা গেলে মসজিদগুলোকে দুর্গ হিসেবে ব্যবহার করা যায়— ধর্মব্যবসায়ীরা এটা খুব ভালো জানে। ফটিকছড়ির সাম্প্রতিক হত্যালীলা এরকমই একটি ঘটনা— ধারাবাহিক অবহেলার বিপরীত-প্রতিক্রিয়া।

সাত.
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি জানতেন— যে সমাজে সংখ্যাগুরু গরিবরা ধারাবাহিক অবহেলার শিকার, সেই সমাজে  সংখ্যালঘু ধনীরা নিরাপদ নন (If a free socity can not help the many who are poor, it can not save the fiew who are rich)। আজ যে-ধাক্কা কওমি যৌবন থেকে এসেছে, আগামীতে সেই ধাক্কা অবহেলিত পোশাককর্মীদের কাছ থেকে এলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কেননা সেখানেও অনেক খেটে-খাওয়া যৌবন ধারাবাহিক অবহেলার শিকার। রাষ্ট্র থেকে এমন অসংখ্য অবহেলাকে দূর করতে আমাদের সংবিধানে একটি অনুচ্ছেদ আছে (১৯ নম্বর)। সেখানে স্পষ্টভাবে মানুষে-মানুষে বৈষম্য বিলোপ করার কথা বলা হয়েছে। ‘হ্রাস’ নয়, ‘বিলোপ’। নির্বাচনের আগে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে এমন মুচলেকাও নেওয়া উচিত যে, ক্ষমতায় গিয়ে দলগুলো সংবিধানের ওই ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ বাস্তবায়নে সর্বান্তকরণে চেষ্টা করবে।

আট.
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কয়েকদিন আগে যৌবনের অপব্যবহার নিয়ে কথা হচ্ছিল। দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতায় তিনি জানান, ‘গত ৩০ বছরে ছাত্রশিবিরের হাতে যত না রগ-কাটার ঘটনা ঘটেছে, তার চেয়ে ঢের বেশি সহিংসতা করেছে  ছাত্রলীগ বা ছাত্রদল।’ তখনও হেফাজতি যৌবন মাঠে নামেনি। নামলে এ-বিষয়ক কিছু কথাও হয়তো শোনা হত সেই পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে।
অনুসারী যৌবনকে দিয়ে কোন্ রাজনৈতিক দল কতখানি সহিংসতা ঘটিয়েছে, সেই বিতর্কে না গিয়ে শুধু এতটুকুই বলা যায়— যৌবনই জাতির মেরুদণ্ড, সেই যৌবনকে ব্যবহারে-ব্যবহারে ন্যুব্জ করে দেওয়ার কোনও অধিকার নেই রাজনৈতিক দলগুলোর।

পাদটীকা
যৌবনবিনাশী এত-এত নৈরাজ্যের বিপরীতে সম্প্রতি একটিই আশাজাগানিয়া ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে বাংলাদেশ। কী? শাহবাগসৃষ্ট অহিংস গণজাগরণ। এই গণজাগরণ অগ্রসর যৌবনের অনিবার্য আত্মপ্রকাশ। নষ্ট রাজনীতির বিপরীতে এই যৌবনই আমাদের শেষ ভরসা। সে কারণেই এর প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দিয়েছে শ্রেণী-পেশা-লিঙ্গ-বয়স-নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ। যৌবনের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে ‘ফাঁসি চাই’ ‘ফাঁসি চাই’ স্লোগানে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তিও চেয়েছে। এ প্রসঙ্গে একটি কথা না-বললেই নয়। সুশীলদের অনেকে ইদানীং ওই ফাঁসি চাওয়ার মধ্যে আইন-অমান্যের গন্ধ পাচ্ছেন। তারা ভুলে গেছেন অথবা মনে থাকলেও মুখে আনছেন না যে, মুক্তিযুদ্ধপূর্ব তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালির একটি প্রিয় স্লোগান ছিল— ‘আইয়ুব-মোনায়েম দুই ভাই/এক দড়িতে ফাঁসি চাই’। আইয়ুব-মোনায়েমের চেয়ে সহস্রগুণ ঘৃণ্য কাজ করেছে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীরা। তাদের ফাঁসি চাওয়াতে দোষের কী আছে? বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে   ফাঁসির বিধান তো রয়েছেই। বিতর্ক চুলোয় যাক, কথা এই যে, বুকে-বুকে যে-জাগরণের বীজ রোপণ করে দিয়েছে শাহবাগের যৌবন, তার চেতনা ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। রাত-দিন উজাড় করে দিয়ে যারা সেই চেতনার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের অকৃপণভাবে উত্সাহ দেওয়া উচিত। একটি-দুটি ভুল যদি করেও থাকেন তারা, তা ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখা উচিত। তারা রেললাইন উপড়ে ফেলার মতো কোনও নাশকতা করেননি কিংবা পুলিশের মাথা থেঁতলে দেননি অথবা কুপিয়ে মানুষহত্যাও করেননি। হেফাজতিদের হরেদরে ‘নাস্তিক’ অপবাদের বিপরীতে মাদ্রাসায়-মাদ্রাসায় নিত্যসংঘটিত সমকামিতার পরিসংখ্যানও তুলে ধরেননি। সহিংস রাজনীতির দেশে অহিংস কর্মসূচি হাতে অপরূপ এগিয়ে চলেছেন তারা। শুধু অহিংসই নয়, তাদের প্রতিটি কর্মসূচি শৈল্পিক ও অসাম্প্রদায়িক। ছাত্রশিবিরকর্মীরা তাদের এক সহযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করার পরও তারা ধৈর্য হারাননি। অশুভ শক্তির হামলার মুখে আত্মরক্ষার্থে দুয়েকবার হাতে লাঠি তুলে নিলেও কোনও প্রকার রক্তপাত ঘটাননি। অন্ধকারাচ্ছন্ন রাজনীতির দেশে তারা নতুন ভোরের বার্তা নিয়ে এসেছেন। সব দেখে-শুনেও যারা এই গণজাগরণকে নিয়ে নানারকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের মনে রাখা উচিত— সাঈদীকে চাঁদে পাঠিয়ে কিংবা আস্তিক-নাস্তিক ফতোয়া দিয়ে কিংবা অন্য কোনও মিথ্যা অপবাদে এই যৌবনকে দমিয়ে রাখা যাবে না। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সোচ্চার এই অহিংস যৌবনই সময়ের অশ্বারোহী। এর বিপক্ষে যাওয়া মানে সময়ের পিঠ থেকেই ছিটকে পড়া।

পুনঃপাদটীকা
যৌবন আর ব্যবহূত হবে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন