শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৩

ভুঁইফোড় সম্পাদক এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
দেশ থেকে আজকাল ভালো খবর পাই না। হত্যা, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, বাস-ট্রেন পোড়ানো, নিত্য হরতাল ডাকা ইত্যাদি ছাড়া ভালো খবর খুব কমই পাই। সরকার দেশবাসীর দাবি মোতাবেক '৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে, অমনি যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থক দল ও তাদের জোট সরকারের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা তাদের সমর্থনে দেশময় গণআন্দোলন তৈরি করতে পারেনি; কিন্তু দেশময় সন্ত্রাসের বিভীষিকা তৈরি করতে পেরেছে।
 
চাটগাঁর ফটিকছড়িতে হরতালবিরোধীরা যে শোভাযাত্রা করেছিল, তার ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় হাজার হাজার মাদ্রাসাছাত্র ও শিক্ষক। শোভাযাত্রার একশ'র ওপর মোটরসাইকেল তারা পুড়িয়েছে। তিনজন নিহত হয়েছে। অসংখ্য লোক আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে আরও কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খুলনার ডুমুরিয়াতেও হয়েছে সন্ত্রাসী হামলা। নিহত একজন। গতকাল শুক্রবার বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতার ওষুধ কারখানায় ভাংচুর ও অগি্নসংযোগ করেছে সন্ত্রাসীরা। ঢাকায় বিএনপি ও জামায়াত সমর্থক একদল সাংবাদিক এক ভুঁইফোড় সম্পাদক ধৃত হওয়ায় তার মুক্তি দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন। ধৃত সম্পাদককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সরকারকে আলটিমেটাম দিয়েছেন।
 
এসব খবরের মধ্যে একমাত্র ভালো খবর, এই সন্ত্রাসের চিত্র এখন পর্যন্ত সারাদেশের নয়। দেশের যেসব স্থানে মাদ্রাসা এবং জামায়াতি বা হেফাজতিদের প্রাধান্য সেসব স্থানেই এই সন্ত্রাস, যা এখন রাষ্ট্রবিরোধী ধ্বংসাত্মক তৎপরতা, তার বাড়াবাড়ি দেখা যাচ্ছে। অবশ্য দেশময় তার ভীতিকর প্রতিক্রিয়া তো ছড়িয়েছেই।
 
চাটগাঁর ফটিকছড়ির সংসদ সদস্য হলেন '৭১-এর যুদ্ধাপরাধের দায়ে ধৃত সাকা চৌধুরী। যার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, তিনি ঢাকায় সাম্প্রতিক হেফাজত সমাবেশের পেছনে কোটি কোটি টাকা ঢেলেছেন। তিনি অঘটনঘটনপটীয়স ব্যক্তি। জেলে বসেও তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় তার অনুসারীদের আদেশ-নির্দেশ দিতে পারছেন। কতটা সঠিক জানি না, কানে খবর আসে, কারাগারে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের ঘৃণ্য অভিযোগে ধৃত গোলাম আযমসহ অন্যান্য বন্দি শুধু জামাই-আদরেই বসবাস করছেন না, তারা জেলে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাইরে দলের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাস চালিয়ে যাওয়ার আদেশ-নির্দেশও দিতে পারছেন।
 
 

বিএনপি ও হেফাজতের ছদ্মবেশে জামায়াতিদের দ্বারা সৃষ্ট সন্ত্রাস এখন রাষ্ট্রদ্রোহী নাশকতায় গিয়ে পর্যবসিত হয়েছে। এর মোকাবেলায় সরকারের নীতি এখনও মনে হয় 'মেরেছো কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দেব না' গোছের।

কারাগারের ভেতরে একশ্রেণীর কারারক্ষীর দুর্নীতির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। এই দুর্নীতিবাজ কারা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ কোনোটাই হচ্ছে না। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বন্দি একাত্তরের গণহত্যা ও বুদ্ধিজীবী হত্যার দেশীয় পালের গোদাদের সম্পর্কে বর্তমান সরকারের দুর্বলতাও কম নয়। ফ্রান্সের এক সময়ের সরকারপ্রধান এবং অশীতিপর বৃদ্ধ মার্শাল পেতাঁকে যখন নাৎসি কোলাবরেটর হিসেবে গ্রেফতার করে বিচারাধীন অবস্থায় কারাগারে রাখা হয়, তখন তার বয়স বা সামাজিক মর্যাদা বিবেচনা করে কোনো প্রকার বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি।
 
দেশদ্রোহের দায়ে অভিযুক্ত মার্শাল পেতাঁকে তার স্ত্রী কিংবা কন্যারা পঞ্চ ব্যঞ্জন রেঁধে রোজ জেলে এনে মাথায় পাখার বাতাস দিয়ে খাওয়াচ্ছেন_ এ দৃশ্য কল্পনা করাও অসম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশে তা সম্ভব এবং গোলাম আযমকে কারাগারে জামাই-আদরে রাখা হয়েছে। সরকারের রাজকীয় খানার সঙ্গে তিনি বাড়ি থেকে প্রেরিত বিশেষ খাবারও নাকি খাচ্ছেন। সুতরাং কারাগারের একশ্রেণীর রক্ষী টু-পাইস পেয়ে এই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের যদি বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা দিতে থাকে, তাতে বিস্মিত হওয়ার কী আছে? এই যুদ্ধাপরাধীদের যেসব সমর্থক ও সহচর দেশে ভয়াবহ সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে এবং রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত, তাদের সম্পর্কে সরকার এখন পর্যন্ত নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে। এরই পরিণতি ফটিকছড়ি, ডুমুরিয়ার এই ট্র্যাজেডি এবং ঢাকায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার নামে একশ্রেণীর 'জাতীয়তাবাদী' সাংবাদিকের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নর্তন-কুর্দন।
 
বিএনপি ও হেফাজতের ছদ্মবেশে জামায়াতিদের দ্বারা সৃষ্ট সন্ত্রাস এখন রাষ্ট্রদ্রোহী নাশকতায় গিয়ে পর্যবসিত হয়েছে। এর মোকাবেলায় সরকারের নীতি এখনও মনে হয় 'মেরেছো কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দেব না' গোছের। 'আমার দেশ' পত্রিকার যে মালিক-সম্পাদককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার সম্পর্কে আদালত বলেছেন, 'এডিটর বাইচান্স'। অর্থাৎ তিনি হঠাৎ সম্পাদক। হঠাৎ নবাবদের মতোই তার স্বেচ্ছাচারী মতিগতি। তার আমলনামা এত অপরাধে ভারী যে, তিনি প্রতিবার কী করে কই মাছের মতো কানে হেঁটে আইনের কবল থেকে বেরিয়ে যান, তা বিস্ময়কর।
 

ডালমিয়া ছিলেন প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং বাংলা দৈনিক সত্যযুগসহ বহু পত্রিকার মালিক। অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির দায়ে তিনি নেহরু সরকারের আমলে গ্রেফতার হন। তিনি টাইমস অব ইন্ডিয়া কাগজের মালিকানা হারান।

উত্তরা ষড়যন্ত্রে ধরা পড়ার পরই তার দুর্বৃত্তপনার অবসান হবে বলে অনেকে আশা করেছিলেন। তা হয়নি। পেছনের দরজা দিয়ে আমার দেশ পত্রিকার মালিকানা দখলে তার পদ্ধতি অভিনব। তিনি পেশায় সাংবাদিক নন, কোনোকালে কোনো কাগজ সম্পাদনা করেননি। কিন্তু আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী হঠাৎ সম্পাদক হয়ে বসেছেন। তাকে একজন ভুঁইফোড় সম্পাদক বলা যায়। দেশের অতীত ও বর্তমানের অনেক সম্পাদকই আগে পত্রিকা ও সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও পত্রিকার সম্পাদক হয়ে সৎ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। এই ধৃত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সৃষ্টি করেছেন অপসাংবাদিকতার উদাহরণ। তার অপরাধের সীমা নেই, যার বিচার ও দণ্ড অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। তাকে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে সরকার সংবাদপত্র অথবা সাংবাদিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেনি। বরং সৎ, শুভ ও স্বাধীন সাংবাদিকতার ভেতরে সম্পাদকের ছদ্মবেশে অনুপ্রবিষ্ট এক দুষ্ট গ্রহের বিরুদ্ধে বিলম্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ফলে বাংলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কালিমামুক্ত হবে।
 
জামায়াতিদের গোপন অর্থ সাহায্যেই মাহমুদুর রহমান আমার দেশের মালিকানা দখল করে হঠাৎ সম্পাদক হয়েছিলেন বলে জানা যায়। এই গুজবটি সঠিক বলে মনে হয় এই কারণেই যে, বর্তমানে তিনি বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর যারা সরকারের প্রতি মারমুখো হয়ে তার মুক্তি দাবি করছেন, তাদের অধিকাংশই হেফাজতি, জামায়াতি এবং বিএনপি ঘরানার লোক অথবা সাংবাদিক। অদলীয় এবং নিরপেক্ষ পেশাদার সাংবাদিকরা এই দাবি তোলেননি।
 
তারা এই দাবি তোলেননি এই কারণেই যে, সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার জন্য মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করেনি। তিনি সরকারবিরোধী একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক এবং সরকারের বিরুদ্ধে খবর ও মত প্রচার করায় গ্রেফতার হলে একজন সাংবাদিক হিসেবে আমিও তীব্র ভাষায় তার গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাতাম। কিন্তু তিনি কোনো প্রকার সাংবাদিকতার দায়ে নয়, গ্রেফতার হয়েছেন সাংবাদিকতার মুখোশের আড়ালে রাষ্ট্রবিরোধী, গণবিরোধী, এমনকি ধর্মের অবমাননাকর অপরাধের নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে।
 
বাকস্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যেসব উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে অলঙ্ঘনীয় ব্যবস্থা, সেসব দেশেও এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করা দণ্ডযোগ্য অপরাধ। লন্ডনের বিখ্যাত টাইমস পত্রিকা গ্রুপের একটি কাগজ টেলিফোন হ্যাকিং বা টেলিফোনে আড়ি পেতে সংবাদ সংগ্রহের নামে অনেকের ব্যক্তি জীবনের গোপন তথ্য প্রকাশ করে তাদের চরিত্র হনন করতে থাকায় ব্রিটিশ সরকার পত্রিকা গ্রুপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়। ফলে টাইমস গ্রুপের একটি কাগজ বন্ধ হয়ে যায়, সম্পাদকীয় বিভাগের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা গ্রেফতার হন এবং রুপার্ট মারডকের বিশাল মিডিয়া সাম্রাজ্যে ভাঙন ধরার আশঙ্কা দেখা যায়।
 
একই ঘটনা ঘটেছে ভারতে। ডালমিয়া ছিলেন প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং বাংলা দৈনিক সত্যযুগসহ বহু পত্রিকার মালিক। অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির দায়ে তিনি নেহরু সরকারের আমলে গ্রেফতার হন। তিনি টাইমস অব ইন্ডিয়া কাগজের মালিকানা হারান। বহুল প্রচারিত দৈনিক সত্যযুগ বন্ধ হয়ে যায়। এটাকে ভারতের মতো স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে কেউ বাকস্বাধীনতা বা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর সরকারের হস্তক্ষেপ বলে অভিযোগ তোলেনি কিংবা ডালমিয়াকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সরকারকে আলটিমেটাম দেওয়ার ধৃষ্টতাও দেখায়নি।
 
ঢাকায় আমার দেশের মালিক-সম্পাদককেও তার বিরোধীদলীয় সাংবাদিকতার জন্য গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রেফতার করা হয়েছে তার রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা; দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার ও চরিত্র হনন; সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদী সন্ত্রাসের উদ্দেশ্যমূলক নিত্য উস্কানি প্রদান; যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য অবিরাম মিথ্যা প্রচারণা; যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সমর্থক আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে রোজ বানোয়াট কুৎসা প্রচার; শাহবাগ মঞ্চের সমর্থক ব্লগারদের চরিত্র হনন ও তাদের কয়েকজনের হত্যাকারীদের পরোক্ষ সমর্থন দান এবং পবিত্র কাবা শরিফ সম্পর্কে মিথ্যা খবর পরিবেশন করে তার অবমাননা ইত্যাদি নানা অপরাধে। এর যে কোনো একটি অপরাধের দায়ে তাকে বহু আগে গ্রেফতার করে তার অসাধু কার্যকলাপ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দরকার ছিল।
 
দেশের একজন বিশিষ্ট সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের বিরুদ্ধে অনবরত মিথ্যা প্রচার ও তার চরিত্র হননের চেষ্টা কি সাংবাদিক স্বাধীনতা? দেশের একজন জনপ্রিয় লেখক আনিসুল হকের বিভিন্ন লেখা থেকে বিচ্ছিন্নভাবে উদ্ধৃতি ছেপে তাকে মুরতাদ, নাস্তিক প্রমাণ করা এবং তাকে হুমায়ুন আজাদের মতো মৌলবাদী ঘাতকদের প্রতিহিংসার শিকার করার চেষ্টা চালানো কি দণ্ডনীয় অপরাধ নয়? সরকার তাকে কী কী অভিযোগে গ্রেফতার করেছে, তার সবটা এখনও আমি জানি না। কিন্তু রাষ্ট্র এবং জনগণের অধিকার ও নিরাপত্তার জন্য এই কুচক্রী ব্যক্তিটি যে একটি গুরুতর হুমকি তাতে সন্দেহ নেই। তাকে বারবার গ্রেফতার করে বারবার ছেড়ে দেওয়া নয়, তার বিরুদ্ধে আইনের বিধান মেনেই এমন ব্যবস্থ নেওয়া উচিত, যাতে সর্প দংশনের মতো তিনি সাংবাদিক স্বাধীনতার মুখোশের আড়ালে অনবরত রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও জনগণের নিরাপত্তায় বিষাক্ত দংশন চালাতে না পারেন।
 
পবিত্র ইসলাম ও কাবা শরিফেরও তিনি গভীর অবমাননা করেছেন। কাবা শরিফের গিলাফ বদলের অনুষ্ঠানকে যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠান বলে প্রচার করা কোনো ধর্মদ্রোহী ব্যক্তির পক্ষেই সাজে, ধর্মভীরু কোনো মানুষের পক্ষে সাজে না। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত উস্কানিমূলক প্রচারণা চালাতে গিয়ে মর্নিং নিউজ (অধুনা লুপ্ত) পত্রিকা অফিস জনরোষে অগি্নকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়েছিল। মাহমুদুর রহমানের কপাল ভালো, রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও আদর্শের বিরুদ্ধে ক্রমাগত গোয়েবলসীয় মিথ্যা প্রচার চালিয়েও এখন পর্যন্ত তিনি জনরোষের কবলে পড়েননি। সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সেদিনটিও খুব দূরে নয়।
 
লন্ডন, ১২ এপ্রিল ২০১৩, শুক্রবার

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন