শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৩

গণজাগরণ মঞ্চঃ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার আহবান

চট্টগ্রাম: সার্বজনীন ও সুন্দর অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়ার আহবান জানিয়েছেন প্রখ্যাত সমাজ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন।

তিনি বলেছেন,‘তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অন্যতম মাধ্যম গণজাগরণ মঞ্চের সার্বজনীন আন্দোলন বাংলাদেশকে একটি সুন্দর সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত করতে বিশাল ভূমিকা রাখছে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষ যেমন সচেতন হচ্ছে তেমনি দেশকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসতে শিখছে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’


নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ের ইসলামাবাদী মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ড. অনুপম সেন এ আহবান জানান।

মুক্তিযুদ্ধের পরে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী, আলেম সমাজ, শ্রমিক ও ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ সমন্বয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন,‘ গণজাগরণ মঞ্চের দাবি এক ও অভিন্ন। সবার ভূমিকাও অভিন্ন। তাই এ আন্দোলনের সফলতা পেতে হলে সবাইকে উদার চিত্তে কাজ করতে হবে।’

সভায় চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চকে আরো উদ্দীপ্ত, তৃণমূলের মানুষকে আন্দোলনের সম্পৃক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘অহিংস আন্দোলন একসময় সহিংস আন্দোলনে রূপ নিতে পারে, তার নমুনা হিসেবে আমরা একাত্তরের ২৫ মার্চকে উল্লেখ করতে পারি।’
মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গণআন্দোলনের মত জাতির দুঃসময়ে ঐক্যবদ্ধভাবে গণজাগরণ মঞ্চও সেই ভুমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠতক ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা শওকত বাঙালি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দিন, ডেপুটি কমান্ডার মাহাবুবুল আলম চৌধুরী, প্রজন্ম ’৭১ সভাপতি প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, প্রত্যয় ৭১ সভাপতি সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত বেলাল, চট্টগ্রমি বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক মোহাম্মদ সহিদ উল্যাহ, নৃবিজ্ঞান সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা কবি সাথী দাশ, কবি ইউসুফ মুহম্মদ, কবি অরুন সেন, সাংস্কৃতিক সংগঠক দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ, প্রকৌশলী জয়নাল সিদ্দিকী, প্রকৌশলী অরুণ কুমার সাহা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর সদস্য সচিব মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিঞা, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক সুরজিত দত্ত সৈকত, উত্তর জেলা সভাপতি এসএম ফরহাদ আলী, পজিটিভ বাংলাদেশের আলী আদনান, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি শেখ মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট যুগ্ম আহবায়ক মো. ফরিদুল আফছার, সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদুল আলম, সহ সম্পাদক রোকন উদ্দীন হিরণ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, গণদাবিতে প্রগতিশীল শক্তিগুলো যখন ঐক্যবদ্ধভাবে তরুণদের আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছে ঠিক তখনই বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর আক্রমণের ফন্দি আটছে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বৈঠকের শুরুতে বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী এবং ফটিকছড়িতে হেফাজত-জামায়াতের হামলায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন