চট্টগ্রাম: নগরীর
জামালখানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে গণজাগরণ মঞ্চে যুদ্ধাপরাধীমুক্ত ও
সকল কালিমামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আলোক প্রজ্জ্বলন করেছে বাংলাদেশ
আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথের ‘আগুনের
পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানের সঙ্গে গণজাগরণ মঞ্চে অবস্থানরত শত-শত নানা
শ্রেণি পেশার নারী-পুরুষ মোমবাতি জ্বালিয়ে তুলে ধরেন।
সংগঠনটির রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ‘জাগো মানুষের সুপ্ত শক্তি হাটে মাঠে ঘাটে বাঁকে’স্লোগানে দেশব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
এর আগে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির
দাবিতে নগরীর ডিসি হিল থেকে পতাকা মিছিল করে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনের
গণজাগরণ মঞ্চের সামনে এসে জমায়েত হন আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদভুক্ত ১৫ টি
আবৃত্তি সংগঠনের কণ্ঠযোদ্ধারা। তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক,
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরাও হাতে লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে মিছিলে
যোগ দেন।
মিছিলটি ডিসি হিল থেকে মোমিন রোড, চেরাগি
পাহাড় ঘুরে গণজাগরণ মঞ্চে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে ১৫টি আবৃত্তি সংগঠন
বৃন্দ ও একক আবৃত্তি পরিবেশন করে।
এদের মধ্যে বোধন,প্রমা,ত্রি-রত্ন আবৃত্তি
দল, মুক্তধ্বনি, সূচয়ণ, ললিতকলা একাডেমি, শব্দ নোঙর, নির্বান এবং আবৃত্তি
অঙ্গন বৃন্দ পরিবেশন করে।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি
মঞ্চ, অঙ্গন, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, উচ্ছারক আবৃত্তি কুঞ্জ, চট্টগ্রাম
আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, বর্ণ আবৃত্তি পাঠশালা, ঐক্যতান এবং ঐক্যতান
পরিবারের আবৃত্তিকারা মুক্তযুদ্ধ বিষয়ক একক কবিতা আবৃত্তি করেন।
বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের
চট্টগ্রাম শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ
হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ‘সকল অন্ধকার ও কালিমা দূর করতে আমাদের এ আয়োজন।
দেশকে মুক্তবুদ্ধি চর্চার কেন্দ্রে পরিণত করাও আমাদের লক্ষ্য।’
এদিকে সংগঠনটির পঁচিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে
সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ২৫টি মোমবাতি জ্বালিয়ে
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা.
মাহফুজুর রহমান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক
ড. মনিরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের
বিপ্লবী ও মাস্টার দা সূর্যসেনের সহযোদ্ধা বিনোদ বিহারী চৌধুরীর মৃত্যুতে
এক মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন