সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ
গত ৯ মার্চ নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলাধীন রাজগঞ্জে গিয়েছিলাম। অবশ্য একা নয়। নির্মূল কমিটির প্রাণপুরুষ শাহরিয়ার কবির, সেক্রেটারি কাজী মুকুল এবং প্রাক্তন আইন সচিব (নির্মূল কমিটির) এবং বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের প্রসিকিউশনের ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। ঢাকা থেকে দেশ টিভি, একাত্তর এবং চ্যানেল আইয়ের টিম গিয়েছিল। সম্ভবত নোয়াখালী থেকে এটিএনের জেলা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা যোগ দিয়েছিলেন। এই রাজগঞ্জে ’৭১ সালে পাকবাহিনী ও তার দোষীদের সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর তীব্র লড়াই হয়েছিল এবং মুক্তিবাহিনী সাফল্য পেয়েছিল বলে একজন স্থানীয় বরেণ্য ব্যক্তি জানালেন। সেই রাজগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের ৪২ বছর পর পরাজিত শক্তির উত্তরসূরি বিরাট সাফল্য অর্জন করলো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নারকীয় তা-ব চালিয়ে। ’৭১ সালে যে কোনো সময় বাড়ি থেকে পালানোর জন্য একটি ব্যাগ বা পুঁটলি প্রস্তুত রাখা হতো। এবার রাজগঞ্জের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকরা সে সুযোগ পাননি। কেননা ধারণা করেননি যে তাদের ওপর এরকম তা-ব নেমে আসবে।
গত ৯ মার্চ নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলাধীন রাজগঞ্জে গিয়েছিলাম। অবশ্য একা নয়। নির্মূল কমিটির প্রাণপুরুষ শাহরিয়ার কবির, সেক্রেটারি কাজী মুকুল এবং প্রাক্তন আইন সচিব (নির্মূল কমিটির) এবং বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের প্রসিকিউশনের ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। ঢাকা থেকে দেশ টিভি, একাত্তর এবং চ্যানেল আইয়ের টিম গিয়েছিল। সম্ভবত নোয়াখালী থেকে এটিএনের জেলা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা যোগ দিয়েছিলেন। এই রাজগঞ্জে ’৭১ সালে পাকবাহিনী ও তার দোষীদের সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর তীব্র লড়াই হয়েছিল এবং মুক্তিবাহিনী সাফল্য পেয়েছিল বলে একজন স্থানীয় বরেণ্য ব্যক্তি জানালেন। সেই রাজগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের ৪২ বছর পর পরাজিত শক্তির উত্তরসূরি বিরাট সাফল্য অর্জন করলো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নারকীয় তা-ব চালিয়ে। ’৭১ সালে যে কোনো সময় বাড়ি থেকে পালানোর জন্য একটি ব্যাগ বা পুঁটলি প্রস্তুত রাখা হতো। এবার রাজগঞ্জের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকরা সে সুযোগ পাননি। কেননা ধারণা করেননি যে তাদের ওপর এরকম তা-ব নেমে আসবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের তথা ফাঁসির দাবি উঠছে দেশব্যাপী যার এপিসেন্টার ঢাকার শাহবাগ। কোর্টে বিচার চলছে। আসামি পক্ষের আইনজীবীরাও আদালতে উপস্থিত থেকে যুক্তিতর্কে অংশ নিয়েছেন। রায় দেবে আদালত। সেখানে নোয়াখালীর সুদূর পল্লীর কিছু নিরীহ মানুষ যারা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী তাদের চরম মাশুল দিতে হবেÑ এরকম কোনো ধারণাই তারা করেননি। সে জন্য সাঈদীর রায়ের পর যখন জামাত-শিবিরের বাহিনী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হিন্দুপাড়াতে আক্রমণ করে, তখন তারা প্রাণভয়ে যে যে অবস্থায় ছিলেন সে সেই অবস্থায় পালিয়ে যান। নিকটস্থ মুসলিম পাড়ায় আশ্রয় নিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। আক্রমণকারীরা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে এসেছিল। সঙ্গে গান পাউডার ছিল। এতে বোঝা যায় যে পূর্ব-প্রস্তুতি ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেগমগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে এগিয়ে আসে। ইতোমধ্যে দৃর্বৃত্তরা বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। দেখলাম যে গাছপালা পর্যন্ত পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। অজস্র ইষ্টক বর্ষণ এবং ককটেল এমনকি গুলি পর্যন্ত বর্ষণ করেছে হামলাকারীরা। বাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার পর তাদের টার্গেট ছিল আশ্রয়দানকারী মুসলিম বাড়ি থেকে সংখ্যালঘুদের টেনে বের করে হত্যা করা। এ সময়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার প্রকৃত যুদ্ধ কৌশল অবলম্বন করে হামলাকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। একটা কথা আছে ড়ভভবহপব রং ঃযব নবংঃ ফবভবহপব। তাকে তা-ই করতে হয়েছিল। তাই বিলম্বে হলেও তিনি সাফল্য পেয়েছেন। এই মুহূর্তে তরুণ সহকারী পুলিশ সুপারের নাম মনে পড়ছে না। তাকে সাধুবাদ জানাই। যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা রয়েছে। ঘটনার একদিন আগে সেখানে ওয়াজ মাহফিল হয়েছিল। সেখানে ঢাকা থেকে আগত দুজন ওয়াজকারী অত্যন্ত উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন। তারা আবার টিভি ব্যক্তিত্ব। অতএব শ্রোতাদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে গিয়েছিল নিশ্চয়ই। যেসব টিভি চ্যানেল নিজেদের প্রগতিশীল মনে করে, তাদের বোধহয় কিছুটা সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত যাতে সাম্প্রদায়িকতা এবং পশ্চাৎমুখী চিন্তাভাবনার পৃষ্ঠপোষকতা না করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কিছু ঘর তোলা হয়েছে। ঘর না বলে আশ্রয়কেন্দ্র বলা ভালো। ঘটনার কয়েকদিন পর সেখানে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গিয়েছিলেন। তার আগেই বোধহয় তড়িঘড়ি করে একটা আশ্রয়কেন্দ্র নির্শাণ করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য বিএনপির। সম্ভবত নিকটবর্তী সরকারদলীয় এমপিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এলাকার দেখভাল করার জন্য। তিনি অবশ্য এলাকায় গিয়ে পরিবারপ্রতি তিন হাজার টাকা দিয়ে এসেছেন। এলাকায় গিয়ে এই তা-ব দেখে মন খারাপ না লাগার কোনো কারণ নেই। মনে পড়লো ’৭১ সালের কথা। তখনো টার্গেট ছিল হিন্দু সম্প্রদায় এবং আওয়ামী লীগ। প্রায় এক কোটি লোক ’৭১ সালে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিল। পাকিস্তান সরকারের লক্ষ্য ছিল যেন দেশছাড়া হিন্দুদের উসকানিতে ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধে। তাহলে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার বিপদে পড়বে। কিন্তু যেটা প্রশংসনীয় তাহলো দেশত্যাগী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় একাট্টা ছিল। তাদের আনুগত্য এবং সংহতি ছিল বাংলাদেশ সরকারের প্রতি। অবশ্য এখানে স্মরণ করতে হয় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে যিনি তৎকালীন বিশ্বে ছিলেন সেরা রাষ্ট্রনায়ক। তিনি ও তার সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। আজ স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও যদি সেই পাকিস্তানি পরিবেশ বিরাজ করে তাহলে তারা কী ভাববে? ক্ষতিগ্রস্তদের একজন বোধহয় বলেও ফেললেন যে, ক্ষতিপূরণ চাই না, আমাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।
আমাদের পরিদর্শনে যাওয়ার পর পরবর্তী যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল তা ছিল বিশেষ করে ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে অত্যন্ত বিরক্তিদায়ক। সত্যি কথা বলতে কি কারো সঙ্গে প্রাণ খুলে কথা বলতে ইচ্ছে করছিল না। সঙ্গত কারণে শাহরিয়ার কবিরকে ভিআইপি ট্রিটমেন্ট দেয়া হয়। তার গাড়ির আগে পুলিশ প্রটেকশন করে ভেঁপু বাজিয়ে দেয়। অতএব তিনি মন্ত্রীতুল্য, এরকম ধারণাই স্থানীয় লোকজন করে থাকে। তারপর টিভি ক্যামেরাসহ গেছেন বিরাট এক মিডিয়া দল। অল্পক্ষণের ভেতর বহু স্থানীয় নেতার আগমন ঘটলো। মহাজোট, আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনসহ বহু প্রতিষ্ঠানের নেতারা এসে হাজির। তাদের স্ব-স্ব ভূমিকা নিয়ে উচ্চকণ্ঠে বক্তৃতা। বাস্তব অবস্থা হলো তাদের কর্মকা- ছিল জিরো। এলাকাটি স্পর্শকাতর। তার ওপর একদিন আগে উত্তেজনামূলক ওয়াজ হয়ে গেছে। অতএব নোয়াখালী জেলা পর্যায় থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার সচেতন থাকা উচিত ছিল। আগে থেকেই মহল্লা পর্যায়ে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা প্রয়োজন ছিল। বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলার কোনো মানসিক প্রস্তুতি ছিল না। একটা প্রসঙ্গ আসতে পারে যে, স্থানীয় চেয়ারম্যান বিএনপির যিনি এই তা-বের পরিকল্পনাকারী। তাই তার ভয়ে হয়তো স্থানীয় নেতাদের বেশি তৎপর হওয়া অসুবিধাজনক ছিল। সে জন্য প্রয়োজন ছিল জেলা পর্যায়ের নেতাদের বিষয়টির দায়িত্ব নেয়া। শাহরিয়ার সাহেব যখন ফিরছিলেন তখন নোয়াখালী গেটে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। কেননা নোয়াখালী জেলার নেতৃবৃন্দ এই মাইক্রোবাসে এসে বিদায় জানালেন। কোনো ঘটনা ঘটার পর তারা এই প্রটোকলটি যথারীতি অনুসরণ করেন। অর্থাৎ কোনো ভিআইপি গেলে তাকে সংবর্ধনা দেয়াটা তাদের কর্তব্য। অবশ্য অনেক পুরাতন রোগ। অতীতে সরকারি চাকরিতে থাকাকালীন দেখেছি যে, কোনো দুর্যোগ বা বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য কোনো ভিআইপি গেলে আমরা প্রশাসনের লোকরা ধারেকাছে ভিড়তে পারতাম না। তারপর তারা চলে গেলে কারো টিকিটিও দেখা যায় না। সেদিন যেমন রাজগঞ্জে স্থানীয় নেতাদের অত্যাচারে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ভেড়া যাচ্ছিল না। তাদের মনের দুঃখের কথাও ঠিকমতো শোনা যাচ্ছিল না। অথচ তাদের হৃদয়ে কী অব্যক্ত কথা, তা তাদের চেহারা দেখে বুঝতে কষ্ট হচ্ছিল না। তাদের কারো সঙ্গে কথা বলতে গেলে এক ডজন কণ্ঠস্বর বেজে ওঠে। মনে হবে যেন এরা কতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বই না পালন করেছে। সহকারী পুলিশ সুপার বলেছেন, তিনি যখন তার বাহিনী নিয়ে এগুতে চেষ্টা করছেন তখন বেসামরিক কোনোরকম সাহায্য তিনি পাননি।
এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান যিনি নাটের গুরু, এখন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তার সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনের আগে থেকে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অত্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ পদ। একবার পত্রিকায় পড়েছিলাম যে, ইউএনও-কে স্যার না বলায় এক সাংবাদিককে হেনস্থা হতে হয়েছিল। বেগমগঞ্জের ইউএনও কোনো ইতিবাচক ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছিলেন এরকম কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সমস্ত ঘটনা পর্যালোচনা করে এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, এখানে সরকারি দলের কোনো সংগঠন নেই। কাগজে-কলমে থাকতে পারে, কিন্তু কোনো রাজনৈতিক কর্মকা- এবং সচেতনতার বালাই নেই। এই চিত্রটা কি শুধু বেগমগঞ্জের না গোটা দেশের তা বলতে পারি না। গোটা দেশের যদি এই চিত্র হয়, তাহলে সামনে আরো ভয়াবহ ঘটনা হয়তো দেখতে হবে। মহাজোটের এখন প্রয়োজন ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী এরকম নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পর্যায় গঠন করতে। পরিস্থিতি দাবি করছে ওয়ার্ড পর্যায়। কেননা বিস্তৃত অঞ্চলের সংখ্যালঘুরা বড়ই অসহায়বোধ করছেন। আর জামাত-শিবির বিএনপির সমর্থনে যে রকম মারমুখী হয়ে উঠছে, তাতে আরো যে রাজগঞ্জ হবে না এ নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের কয়েকজন অবশ্য প্রতিনিয়ত টিভি ক্যামেরার সামনে অনেক বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু রাজগঞ্জের ঘটনা প্রমাণ করলো যে, এসব ফাঁপা।
এখন সময় এসেছে স্পটে গিয়ে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করার। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শক্তিশালী কতোটুকু জানি না, তবে সামাজিক মর্যাদা অনেক। প্রত্যেকটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বা জাতীয় দিবসে বঙ্গভবন, গণভবন এবং বিরোধীদলীয় নেত্রীর ভবনে সমর্ধিত হয়ে থাকেন। তারা এমনিতে সমাজের উচ্চপর্যায় এবং মহানগরে নিরাপদ পরিবেশে থাকেন। তাদের বোধহয় সময় এসেছে গা মোড়া দিয়ে ওঠার এবং কিছু কথা বলার। মাঝে মাঝে ছোট থেকে বড় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটছে। কী এক চক্রান্ত করে রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরে কী ঘটলো! ঐক্য পরিষদকে সুস্পষ্ট কথা বলতে হবে। আর তাদের সে বক্তব্য হতে হবে সরকারি এবং বিরোধী উভয় দলের নেতৃত্বের কাছে। এ দেশ সবার। বিশেষ করে ’৭১ সালে তো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান রয়েছে। পাকিস্তান হয়েছিল দ্বিজাতিতত্ত্বের ওপর। সেজন্য সে সময় তারা ছিলেন দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সৃষ্টিতে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন। তাই মাত্র সংখ্যাধিক্যের কারণে সংখ্যালঘুদের ওপর জুলুম করা চলবে না। এই বার্তাটা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে ঐক্য পরিষদকে পৌঁছে দিতে হবে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে।
সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ : সাবেক ইপিসিএস, কলামিস্ট।
ভোরের কাগজ : শনিবার, ১৬ মার্চ ২০১৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন