বাংলানিউজটিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
গণজাগরণ চত্বর থেকে: গণজাগরণ মঞ্চের আহবায়ক ডা. ইমরান
এইচ সরকার বলেছেন, ‘‘চট্টগ্রামে গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ অবশ্যই হবে এবং
সেখানে আমরা প্রমাণ করে দেবো, আমরা নাস্তিক নই। গণজাগরণ মঞ্চ কোনো ধর্মের
বিরুদ্ধে কথা বলে না।’’
ইমরান সরকার বলেন, ‘‘চট্টগ্রামে গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ হবেই। এটিকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।’’
‘‘হেফাজতে ইসলাম নামের যে সংগঠন এ সমাবেশের বিরোধিতা করছে, তাদের সঙ্গে যে কোনো জায়গায় আলোচনায় বসতে আমরা প্রস্তুত।’’
বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহবাগের গণজাগরণ চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘‘গণজাগরণ মঞ্চের একটাই দাবি, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এ সমাবেশের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবির সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে অপ্রপ্রচার চালাচ্ছে।’’
কারণ, তারা যখনই অস্তিত্বের সংকটে পড়ে তখনই তারা ধর্মের ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ করেন ডা. ইমরান।
তিনি আরো বলেন, ‘‘শাহবাগের আন্দোলন বরং সব ধর্মের মানুষকে নিজ নিজ ধর্ম পালনের পথ সুগম করে দিয়েছে।’’
গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে খালেদা জিয়ার বক্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার জবাব বৃহস্পতিবার রাতে দেওয়া হবে।’’
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শাহবাগের গণজাগরণ চত্বরে চলছে গণআন্দোলন। বৃহস্পতিবার আন্দোলনের ৩৮তম দিন।
গণআন্দোলনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে গণজাগরণ মঞ্চে বুধবার ডাকা হয়েছিল মহাসমাবেশ।
কিন্তু হেফাজতে ইসলাম নামের জামায়াত নিয়ন্ত্রিত একটি সংগঠন এর প্রতিবাদে
হরতাল ডাকে। মহাসমাবেশ প্রতিরোধসহ গণজাগরণ মঞ্চ দখলেরও হুমকি দেয় উগ্র
সাম্প্রদায়িক দলটি। এ নিয়ে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে পুরো চট্টগ্রাম নগরে ১৪৪
ধারা জারি করে প্রশাসন। এর প্রেক্ষিতে মহাসমাবেশ স্থগিত করলেও বিভ্রান্তি
দূর করতে বিরোধিতাকারী হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিল ঢাকার
গণজাগরণ মঞ্চ। কিন্তু সেটিও সম্ভব হয়নি হেফাজতে ইসলামের উগ্র অবস্থানের
কারণে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন