শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০১৩

বৃক্ষ নিধনের অপরাধে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে মামলা হবে

জনকণ্ঠ, স্টাফ রিপোর্টার ॥ জামায়াত-শিবির চক্র ও বিরোধী দল হরতালের নামে ২০ হাজার বৃক্ষ নিধন করেছে। বৃক্ষ নিধনের অপরাধে অবিলম্বে বন আইন সংশোধনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুছ আলীর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ ও বন সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, ইউএনডিপির এ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর রবার্ট জুখহাম, আন্তর্জাতিক খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাইক রোবসন। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপপ্রধান বন সংরক্ষক শেখ মিজানুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট নিসর্গবিদ দ্বিজেন শর্মা।

প্রধান অতিথি পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সম্প্রতি জামায়াত-শিবির চক্র ও বিরোধী দলের ডাকা হরতালের সময় ২০ হাজার বৃক্ষ নিধন করা হয়েছে। এতে ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। বৃক্ষ নিধনের অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এ জন্য বন আইন সংশোধন করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, অতীতেও দেশে হরতাল হয়েছে। আগে হরতালে এ্যাম্বুলেন্স ও সংবাদপত্রের গাড়ি কখনও পোড়ানো হয়নি। এভাবে বৃক্ষও নিধন করা হয়নি। যারা হরতাল ডেকে অরাজকতা করে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সজাগ হতে হবে।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, সাম্প্রতিক সিডর ও আইলার প্রভাব জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। তাই আমাদের বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করতে হবে। অনৈতিক কারণে বৃক্ষ নিধন থেকে দূরে থাকতে হবে। সচিব বনজ ও ভেষজ চারা লাগানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। মূল প্রবন্ধে দ্বিজেন শর্মা বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশের সব বনই আজ বিপন্ন। ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতেও আদিবন বিলুপ্ত। এখন চলছে তৃতীয় প্রজন্মের বৃক্ষ চাষ। কেবল বন নয়, পৃথিবীর গোটা ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্র এখন বিধ্বস্ত। মানুষ মনে করে, প্রকৃতি তার অধীন, সে কারণেই সঙ্কটের সৃষ্টি হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ইউএনডিপির এ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর রবার্ট জুখহাম জাতিসংঘ ইকুয়েডর প্রাইজের অফিসিয়াল সনদটি মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন এবং দুজনেই একসঙ্গে সনদটি চুনুতি কো-ম্যানেজম্যান্ট কমিটির সহসভাপতি আনোয়ার কামালের হাতে তুলে দেন।

আন্তর্জাতিক বন দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘জীবন ও জীবিকার জন্য বন। অনুষ্ঠানের আগে সকালে বন দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর থেকে র‌্যালি শুরু করে সিরডাপ মিলনায়তনের সামনে এসে শেষ হয়। রাষ্ট্রপতি মরহুম জিল্লুর রহমানের সম্মানে র‌্যালিটি উৎসর্গ করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন