শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০১৩

দেশের জন্য ‘নষ্ট তরুণ’ কারা?

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী
আমাদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন এবং সংসদে বিরোধীদলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়া গত ১৫ মার্চ মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গোয়ালীমান্দ্রা কালীমন্দির সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় শাহবাগের তরুণদের ‘নষ্ট’ বলে তিরস্কার করেছেন।। তিনি তাদের ‘নাস্তিক’ বলেও সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তিনি ওই সব ‘মঞ্চ-ফঞ্চ’ বন্ধ করতেও অর্ডার দিয়েছেন। নতুবা ‘জনতার মঞ্চ’ প্রতিষ্ঠার হুমকি দিয়েছেন। তার এসব কথায় বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকগণ কতটা সন্তুষ্ট হয়েছিলেন জানি না, তবে জামায়াত- শিবিরের নেতাকর্মী-সমর্থকরা দারুণভাগে উৎফুল্ল হয়েছিলÑ এটি চারপাশের অবস্থা দেখেশুনে বলছি। বোঝা যাচ্ছে, বেগম খালেদা জিয়া নির্দিষ্ট কিছু পত্রিকা পড়েন, একটি নির্দিষ্ট টিভি চ্যানেলও হয়ত দেখেন। ফলে সেগুলোতে শাহবাগের নবগাজরণ সম্পর্কে যেসব প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে তাতে তিনি দারুণভাবে প্রভাবিত হয়ে ওইদিন আগাগোড়া যা বলেছেন তা দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বর্তমানে বিরোধীদলীয় প্রধানের মুখ থেকে শুনতে মনে হয় অনেকেই প্রস্তুত ছিলেন না। শাহবাগ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, “শাহবাগে যারা গিয়েছে, তারা আওয়ামী লীগ ঘরানার ও নাস্তিক লোক। এখানে যাদের তরুণ নিরপেক্ষ বলা হচ্ছে এটি মোটেও ঠিক নয়। আল্লাহ-রাসূল- ইসলাম বা অন্য কোন ধর্ম সম্পর্কে তাদের কোন আস্থা নেই। শাহবাগে তারা নাচ- গান ও অপকর্ম করছে’ (১৬ মার্চ, প্রথম আলো)। বিরোধীদলীয় প্রধানের বক্তব্য শুনে শাহবাগের তরুণরা তাদের সীমা অতিক্রম করে কোন বক্তব্য দেয়নি। তারা বলেছিল যে, শাহবাগের তরুণদের যেন অপমানিত না করা হয়। তারা যে বেশ অগ্রসর চিন্তা-ভাবনা ও সংস্কৃতির তরুণÑতা তাদের বিবৃতি পড়ে বোঝা গেল। তারা দেশ সম্পর্কে সচেতন, রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন, দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যৎ নিয়েও নিজেদের প্রতিনিয়ত যোগ্য করে গড়ে তুলছেÑ এটি তাদের বক্তব্য, টিভি টকশোতে অংশ নিয়ে বলা কথা থেকেই স্পষ্ট। তারা লেখাপড়া, যন্ত্রপ্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি ইত্যাদিতে অনেক বেশি অগ্রসর বলেই ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখ থেকে এমন একটি আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পেরেছে, তাদের কথা শুনতে, তাদের সেøাগান শুনতে ছেলে-বুড়োসহ সব বয়সী মানুষজন সমাবেশ স্থলে ছুটে গেছে, তাদের হাতে খাবারসহ যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থও তুলে দিয়েছে। তাদের ডাকা যে কোন কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছে, মনে মনে হলেও সমর্থন দিয়েছে অসংখ্য মানুষ। শাহবাগের তরুণরা আশপাশে কোথাও কোন চাঁদাবাজি করেনি। নিজেদের মধ্যে পদপদবি বা বক্তৃতা করা নিয়ে দ্বন্দ্ব সংঘাতে জড়িয়ে পড়েনি, কোন গাড়ি বা দোকানপাটে হামলা করেনি। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উপায়ে তারা প্রতিবাদ করেছে। দাবি-দাওয়া জানিয়েছে। ব্যতিক্রমধর্মী তাদের এই আন্দোলন সম্পর্কে আমাদের কারও কোন পূর্ব ধারণা ছিল না, কিন্তু শাহবাগে জড়ো হওয়া তরুণরা তাদের মেধা, দেশপ্রেম, সৃজনশীল চিন্তা ও উদ্ভাবনী কর্মসূচী দিয়ে প্রমাণ করেছে যে, তারা বর্তমানে ঘুণে ধরা ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা ছাত্র নেতাদের চাইতে অনেক বেশি ধীমান, আস্থা অর্জনকারী, দেশ ও জনগণের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো প্রজন্মÑযারা পড়াশোনা জানা, দক্ষ প্রজন্ম, যারা স্পষ্ট করেই বলেছিল যে, তারা দেখতে চায় এদেশের সরকারী ও বিরোধী দলে থাকা দল দু’টো সব সময়ই থাকবে মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী, মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী কোন দল নয়। এমন কথা বাংলাদেশে ইতিপূর্বে কেউ কখনও উচ্চারণ করেনি। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী একটি আধুনিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র গড়ার কথা শাহবাগের তরুণ প্রজন্মের মুখ থেকে এবার যেভাবে উচ্চারিত ও প্রচারিত হয়েছে তাতে এ কথা বিশ্বাস করতে ভরসা পাওয়া গেছে যে, ভবিষ্যতে দেশে নেতৃত্বে দেওয়ার মতো যোগ্য যথেষ্ট তরুণ আমাদের দেশে রয়েছে এবং তাদের সে রকম চিন্তা-ভাবনাও বোঝা গেছে। ফলে দেশব্যাপী শাহবাগের জাগরণে উজ্জীবিত তরুণরা আসলেই বাংলাদেশের লাল-সবুজের ঝা-া রক্ষা করার মতো আদর্শকে ধারণ করছে, সেভাবেই তারা বেড়ে উঠছে। অথচ এই সময়ে ছাত্র রাজনীতির ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল আদর্শগতভাবে যদিও সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানের দুটো ছাত্র সংগঠন, কিন্তু এ দুটো সংগঠনের পদ-পদবিতে যারা রয়েছে তারা লেখাপড়ায় নিজেদের সেভাবে যোগ্য করে তুলছে না বরং তারা জড়িয়ে পড়েছে নানা দ্বন্দ্ব, সংঘাত এবং টেন্ডার ও চাঁদাবাজির মতো অপকর্মের সঙ্গে। ফলে দেশের ভবিষ্যত মেধাবী নেতৃত্ব এ দুই ছাত্র সংগঠন থেকে কতটা বের হবে তা নিয়ে সাধারণভাবে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রশিবিরের মতো ক্যাডারভিত্তিক সংগঠনের বিরুদ্ধে রগকাটা হাতকাটার মতো নানা অভিযোগ ছাড়াও দলগতভাবে এরা আধুনিক কোন বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাসই করে না। অন্যদিকে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের অবস্থানও আগের মতো নেই। সুতরাং একটি আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি অদূর ভবিষ্যতে কিভাবে সম্ভব, সেই নেতৃত্ব কোত্থেকে আসবেÑ এমন প্রশ্ন, সংশয় এবং দ্বিধা চরম পর্যায়েই ছিল। বলা চলে, তেমন একটি সময়ে শাহবাগ চত্বর যে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে তা হচ্ছে না, বাংলাদেশের তরুণদের একটি বড় অংশ প্রচলিত রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের বাইরে অবস্থান করলেও দেশ নিয়ে তারা অনেক বেশি চিন্তা করে, লেখাপড়া করে, উদার দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে, নিজেদের তারা দলীয় লেজুড়বৃত্তির বাইরে রেখে অনেক ধরনের স্বার্থচিন্তা ও ভেদবুদ্ধি থেকে মুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে। সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মতো গুণাবলি তারা ধারণ করে। ফলে দেশের ‘নষ্ট তরুণ’ আসলে কারা, মেধাবী, সৎ ও অগ্রসর রাষ্ট্রচিন্তাক ধারণ করে আছে এমন নির্ভর করা প্রজন্ম আসলে কারা তা সহজেই এবার চোখে ধরা পড়েছে। এই তরুণরা নিয়মতান্ত্রিক, অহিংস আন্দোলন করতে পেরেছে বলেই দেশব্যাপী তাদের ভাবমূতি উজ্জ্বল হয়েছে, উর্ধমুখী হয়েছে। তাদের এই আন্দোলন যেহেতু যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী বিস্তৃত হয়েছে, তাই জামায়াত-শিবির বেকায়দা পড়ে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ম, নাস্তিকতা ইত্যাদি বানোয়াট অপপ্রচার চালিয়ে এই আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে সকল শক্তি নিয়োগ করেছে। ব্লগার রাজীবকে হত্যার পর তার সাইটে হযরত (সা.) কে নিয়ে অশ্লীল লেখা জুড়ে দিয়ে শাহবাগের বিরুদ্ধে মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে জামায়াত-শিবির। কয়েকটি পত্রিকার মাধ্যমে বিষয়টি পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আমাদের আলেম- ওলামায়াদের মধ্যে একটা প্রতিক্রিয়া হয়েছে। একটা তাৎক্ষণিক আঘাত হানা সম্ভব হলেও অচিরেই জানা যায় যে, পুরো বিষয়টি জামায়াত-শিবিরের ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা মতোই হয়েছে। তারাই এর নেপথ্য শক্তি, নায়কসহ সকল পরিকল্পনাকারী। শাহবাগের আন্দোলনকে নাস্তিক হিসেবে তারা এবং তাদের পরিচালিত ৩-৪টি পত্রপত্রিকা করেছে। বিষয়টিকে বিএনপির চেয়ারমাপার্সন বেগম খালেদা জিয়াও গ্রহণ করেছেন। কেন তিনি তা কেরেছেন এর উত্তর তিনিই ভাল দিতে পারবেন। তবে তিনি শাহবাগের তরুণদের ‘নষ্ট’ ও ‘নাস্তিক’ বলে সার্টিফিকেট প্রদান করে যে অবস্থান নিয়েছেন। তা দেশের জন্য কতটা মঙ্গল হবে তা অদূর ভবিষ্যতেই জানা যাবে, বোঝা যাবে।

শাহবাগকে কেন্দ্র করে যে তরুণ দেশব্যাপী একটি আলোড়নের সৃষ্টি করেছে, তারা বেগম খালেদা জিয়ার দৃষ্টিতে ‘নষ্ট-তরুণ’। প্রশ্ন দাঁড়ায় তাহলে ভাল কারা? তারাই কি ভাল, যারা এই শাহবাগের আন্দোলনে আসে যারা হরতালে শত শত যানবাহনে আগুন লাগিয়েছে, ভাংচুর করেছে, ককটেল ফাটিয়েছে, রেল লাইনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, রাস্তায় গাড়ি চলতে দেখলে হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গেছে, পেট্রোল ঢেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। গাছ কেটে রাস্তাঘাট অবরোধ করেছে, হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। মন্দির ভাংচুর করেছে বা করছে। যাদেরকে আমরা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের কল্যাণে হরতাল হরতাল বলে রাস্তায় চিৎকার করতে দেখি, যানবাহন চলতে দেখলে অমনি হামলে পড়তে দেখা গেছে। এ ছাড়া জামায়াত-শিবিরের সেই সব তরুণ যারা ট্রাইব্যুনাল মানে না, বিচার মানে না, কনসার্টের বিদ্যুত কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছে, বগুড়া, গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, বাঁশখালী, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ তা-ব চালিয়েছে, সরকারী স্থাপনা ও অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে। তারাই কী ভবিষ্যত বাংলাদেশের নির্ভর করা তরুণ যারা চিন্তা-চেতনা, লেখাপড়া, আদর্শগত অবস্থানসহ সব কিছুতেই হিংস্রাতাকে ধারণ করে আছে, তাদের দেখলেই মানুষ আতঙ্কিত বোধ করে, মানুষ হত্যাকারী হিসেবে মনে করে। যারা এই বয়সে রাজনৈতি দলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে যা খুশি তা করার অবাধ লাইসেন্স ভোগ করছে, দেশের সম্পদ ও মানুষের জীবন সংহার করছে তাদের ওপর দেশের সাধারণ মানুষ কতটা নির্ভর করতে পারে তা তো সহজেই অনুমেয়। বেগম খালেদা জিয়া একটি কাজ করতে পারেন। যেসব তরুণ গত কয়েকটি হরতালে দেশব্যাপী তা-ব সংঘটিত করেছে, পোড়াপুড়ি, ভাংচুর, হত্যা, আক্রমণসহ নানা কার্যক্রমে জড়িত ছিল তাদেরকে একটি সভা করে তাতে দেশবাসীকে হাজির হতে উদাত্ত আহ্বান জানাতে পারেন। এরপর তিনি দেখতে পারেন তাতে কতজন মানুষ সাড়া দেয়। একইভাবে গণজাগরণের আহ্বায়কসহ পরিচিতদেরও অনুরূপ একটি সভায় অংশ নিতে দেশবাসীকে আহ্বান জানাতে বলতে পারেন। এরপর তিনি দেখতে পারেন। দেশের মানুষ কাদের সভায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

এরপর তিনি হয়ত বুঝতে পারবেন দেশের মানুষ প্রকৃত নষ্ট তরুণ এখন আসলে কাদের ভাবছে, তারা আসলেই কতটা নষ্টভ্রষ্ট ও অনির্ভরযোগ্য তা তখনই বোঝা যেত। তবে তেমন সভার আহ্বান না করলেও এটি এখন নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায় যে, দেশের মানুষ কোন ছাত্র সংগঠনের গড়া কোন মঞ্চে তেমন কোন সাড়া দেবে না, যতটা দিয়েছে শাহবাগ চত্বরের আহ্বানে। মানুষ হিংস্রদের ভয় করে, ঘৃণা করে, এড়িয়ে চলে অহিংসদের মঞ্চে রাত দিন চব্বিশ ঘণ্টাই নিরাপদ মনে করে সেখানে উপস্থিত থেকেছে, সেøাগান দিয়েছে। এ এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতাকে বিএনপি অবজ্ঞা করেছে, জামায়াত-শিবির আদর্শগতভাবেই এর বিরোধিতা করেছে, এর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে, একে নাস্তিক বলে চালিয়ে দেওয়ার সকল ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া তাদেরকে ‘নষ্ট তরুণ’ রূপে অভিহিত করেছেন। তবে একদিন দেখা যাবে দেশ ও জনগণের প্রতি সৎ অঙ্গীকারে গড়ে ওঠা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বেড়ে ওঠা মেধাবী তরুণরাই বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার নেতৃত্বে চলে আসবেÑএতে কোন সন্দেহ নেই। কেননা বাংলাদেশের মানুষ এরই মধ্যে জেনে গেছে কারা হিংস্র তরুণ, কেন তারা হিংস্র পশুতে পরিণত হয়েছে, তাদের ওপর মানুষের ভরসা করার তেমন কিছু নেই। বাংলাদেশের মানুষ ২০১৩ সালে এসে দেখেছে শাহবাগকে কেন্দ্র করে একটি তরুণ প্রজন্ম জেগে উঠেছে, যারা অহিংস করে আন্দোলনকারী, মেধাবী, রাষ্ট্র- রাজনীতি সচেতনÑ এদের কাছে সাধারণ মানুষ নিরাপদ। সুতরাং মানুষ তাদেরকে নিয়েই এখন থেকে ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতৃত্বের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। তারা সেই আসনে আসবেইÑইতিহাস সে রকম ধারণাই প্রদান করে।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন