এনা, নিউইয়র্ক থেকে ॥ যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সর্বোচ্চ
শাস্তির দাবিতে নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে মহাসমাবেশ করেছে
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সর্বস্তরের বাঙালীরা। স্থানীয় সময় রবিবার দুপুরে
বাংলাদেশ সময় রবিবার মধ্যরাতে অনুষ্ঠিত এ মহাসমাবেশে যোগ দেন বিভিন্ন
স্টেটের সহস্রাধিক বাঙালী। বজ্রকণ্ঠে তারা আওয়াজ তুলেন রাজাকারদের ফাঁসি
চাই। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসি আর জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ
করার দাবির সেøাগানে প্রকম্পিত হয় সর্বোচ্চ বিশ্ব প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘ সদর
দফতরের আঙ্গিনা। আর সেই সেøাগানের শত কণ্ঠ কোন রাজনৈতিক বা ধর্মীয় সীমায়
আবদ্ধ নয়, নয় বর্ণ, বয়স বা ভৌগোলিক আবরণে রুদ্ধ। ধর্মবর্ণনির্বিশেষে
যুক্তরাষ্ট্রের সকল স্টেটের নানা বয়সী দেশপ্রেমিক বাঙালীর কণ্ঠে সমস্বরে
দৃপ্ত উচ্চারণ, ‘রাজাকারের ফাঁসি চাই’।
ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনরত তরুণদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ, জামায়াত-শিবির ও তাদের দোসরদের দেশব্যাপী নৈরাজ্য, সংখ্যালঘু ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর জঘন্য অত্যাচার এবং নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতেই এ মহাসমাবেশে প্রবাসীরা ঐক্যবদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ প্রবাসীদের এই মহাসমাবেশ যেন ম্যানহাটনের শাহবাগ।
মহাসমাবেশে ছিল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আর তাদের সঙ্গে টেলিফোনে বক্তব্য রাখেন শাহবাগ আন্দোলনের সমন্বয়কারী ডা. ইমরান এইচ সরকার। আমেরিকাসহ সারাবিশ্বে রাজাকারদের ফাঁসি এবং জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবিতে সোচ্চার সকল প্রবাসীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানালেন গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক ডা. ইমরান এইচ সরকার। গণজাগরণ মঞ্চের ৬ দফা আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রবাসেও আন্দোলন অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান ইমরান সরকার। একইসঙ্গে তিনি সকলকে আহ্বান জানান অহিংস আন্দোলনকে জাগ্রত রেখে যুক্তির মাধ্যমে জামায়াতী অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানাতে। একাত্তরের ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার দাবি আদায়ে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন জোরাল ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্তদের বিরুদ্ধে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে প্রবাসীদের এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীতের পর পবিত্র কোরান, গীতা এবং ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে শুরু এ সমাবেশে শপথ বাক্য পাঠ করান নতুন প্রজন্মের সাইমন হোসেন। কোরান থেকে পাঠ করেন হাজী মনির, গীতা থেকে সবিতা দাস এবং ত্রিপিটক পাঠ করেন রতন বড়ুয়া। শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের সমর্থনে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে নিউইয়র্ক গণজাগরণ মঞ্চ। সমাবেশে বিভিন্ন কলেজ-ভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীর পাশাপাশি সর্বস্তরের প্রবাসীর উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। ইমরান এইচ সরকারের সঙ্গে এ টেলি কনফারেন্সের সমন্বয় করেন মূলধারার রাজনীতিক ও এ সমাবেশের উদ্যোক্তাদের অন্যতম ড. নূরন্নবী। এ সময় তার পাশে ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক মিঠুন আহমেদ, শিতাংশু গুহ, জাকারিয়া চৌধুরী, মিনহাজ আহমেদ সাম্মু, আকবর হায়দার কিরণ, এন আমিন, মিসবাহ আহমেদ, রতন বড়ুয়া, দুরুদ মিয়া রনেল, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক নূরনবী কমান্ডার। বিভিন্ন সেøাগান লেখা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে প্রবাসীরা এসেছিলেন বস্টন, কানেকটিকাট, পেনসিলভেনিয়া, নিউজার্সি, দেলওয়ারে, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, আটলান্টিক সিটি এবং স্বাগতিক নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থান থেকে। শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের সমর্থনে আমেরিকায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বহু সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে। সবগুলোর চেয়ে এটি ছিল বড় এবং সুসংগঠিত। প্রচ- ঠা-া উপেক্ষা করে প্রবাসীরা সমবেত হন এখানে। এ সমাবেশ থেকে নিউইয়র্কে বসবাসরত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের অভিযুক্ত আশরাফুজ্জামান খানকে অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের দাবিও ওঠে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে জামায়াত-শিবিরের সমর্থকদের চিহ্নিত করার কথাও বলেন অনেকে। জামায়াত-শিবিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বর্জনের ডাকও দেয়া হয় সমাবেশ থেকে। গান, কবিতা এবং সেøাগানে মুখরিত ছিল পুরো সময়। গতানুগতিক বক্তৃতার কোন ব্যবস্থা ছিল না। সেøাগানেই নিজের কর্তৃত্ব প্রদর্শন করেছেন সকলে। অনেকের মাথায় ছিল ‘রাজাকারের ফাঁসি চাই’ লেখা ব্যানার।
ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনরত তরুণদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ, জামায়াত-শিবির ও তাদের দোসরদের দেশব্যাপী নৈরাজ্য, সংখ্যালঘু ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর জঘন্য অত্যাচার এবং নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতেই এ মহাসমাবেশে প্রবাসীরা ঐক্যবদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ প্রবাসীদের এই মহাসমাবেশ যেন ম্যানহাটনের শাহবাগ।
মহাসমাবেশে ছিল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আর তাদের সঙ্গে টেলিফোনে বক্তব্য রাখেন শাহবাগ আন্দোলনের সমন্বয়কারী ডা. ইমরান এইচ সরকার। আমেরিকাসহ সারাবিশ্বে রাজাকারদের ফাঁসি এবং জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবিতে সোচ্চার সকল প্রবাসীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানালেন গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক ডা. ইমরান এইচ সরকার। গণজাগরণ মঞ্চের ৬ দফা আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রবাসেও আন্দোলন অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান ইমরান সরকার। একইসঙ্গে তিনি সকলকে আহ্বান জানান অহিংস আন্দোলনকে জাগ্রত রেখে যুক্তির মাধ্যমে জামায়াতী অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানাতে। একাত্তরের ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার দাবি আদায়ে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন জোরাল ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্তদের বিরুদ্ধে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে প্রবাসীদের এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীতের পর পবিত্র কোরান, গীতা এবং ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে শুরু এ সমাবেশে শপথ বাক্য পাঠ করান নতুন প্রজন্মের সাইমন হোসেন। কোরান থেকে পাঠ করেন হাজী মনির, গীতা থেকে সবিতা দাস এবং ত্রিপিটক পাঠ করেন রতন বড়ুয়া। শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের সমর্থনে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে নিউইয়র্ক গণজাগরণ মঞ্চ। সমাবেশে বিভিন্ন কলেজ-ভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীর পাশাপাশি সর্বস্তরের প্রবাসীর উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। ইমরান এইচ সরকারের সঙ্গে এ টেলি কনফারেন্সের সমন্বয় করেন মূলধারার রাজনীতিক ও এ সমাবেশের উদ্যোক্তাদের অন্যতম ড. নূরন্নবী। এ সময় তার পাশে ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক মিঠুন আহমেদ, শিতাংশু গুহ, জাকারিয়া চৌধুরী, মিনহাজ আহমেদ সাম্মু, আকবর হায়দার কিরণ, এন আমিন, মিসবাহ আহমেদ, রতন বড়ুয়া, দুরুদ মিয়া রনেল, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক নূরনবী কমান্ডার। বিভিন্ন সেøাগান লেখা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে প্রবাসীরা এসেছিলেন বস্টন, কানেকটিকাট, পেনসিলভেনিয়া, নিউজার্সি, দেলওয়ারে, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, আটলান্টিক সিটি এবং স্বাগতিক নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থান থেকে। শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের সমর্থনে আমেরিকায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বহু সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে। সবগুলোর চেয়ে এটি ছিল বড় এবং সুসংগঠিত। প্রচ- ঠা-া উপেক্ষা করে প্রবাসীরা সমবেত হন এখানে। এ সমাবেশ থেকে নিউইয়র্কে বসবাসরত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের অভিযুক্ত আশরাফুজ্জামান খানকে অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের দাবিও ওঠে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে জামায়াত-শিবিরের সমর্থকদের চিহ্নিত করার কথাও বলেন অনেকে। জামায়াত-শিবিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বর্জনের ডাকও দেয়া হয় সমাবেশ থেকে। গান, কবিতা এবং সেøাগানে মুখরিত ছিল পুরো সময়। গতানুগতিক বক্তৃতার কোন ব্যবস্থা ছিল না। সেøাগানেই নিজের কর্তৃত্ব প্রদর্শন করেছেন সকলে। অনেকের মাথায় ছিল ‘রাজাকারের ফাঁসি চাই’ লেখা ব্যানার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন