সিঙ্গাপুর, ১১ ফেব্রুয়ারি- যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সপ্তাহ জুড়ে
উত্তাল বাংলাদেশ।কয়েক জন ব্লগারের আহ্বান আজ জন সমুদ্র। রাজধানী ঢাকার সব
পথ এসে মিশেছে শাহবাগের অভূতপূর্ব গণজাগরণ মঞ্চে। জেগে ওঠা তারুণ্যের
আহ্বানে উত্তাল জনসমুদ্রে রূপ, এই অরাজনৈতিক মহাসমাবেশ। একাত্তরের খুনি ও
ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর
রাজনীতি নিষিদ্ধ, জামায়াত-শিবির কর্মীদের সর্বস্তরে বয়কটের অঙ্গীকার
করেছে উত্তাল জনসমুদ্র। একই সঙ্গে জামায়াত-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে
বর্জনেরও শপথ নিয়েছেন লাখো জনতা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত টেকনাফ থেকে
তেঁতুলিয়া, গণআন্দোলন জাগ্রত রাখার শপথ নিয়েছে শাহবাগের মহাসমাবেশ।
শুধু দেশ নয় সারা বিশ্বে যেখানেই বাংলাদেশী সেখানেই তৈরী হচ্ছে মিনি
শাহবাগ, সেই আদলে নাম রাখছে আন্দোলনের। লন্ডন, কানাডা, আমেরিকায় রাস্তায়
নামা গেলেও সিঙ্গাপুরের অসম্ভব। এক লক্ষ বিশ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী বাস
করে সিঙ্গাপুরে। গত ৮ ই ফেব্রুয়ারী শাহবাগ গনজাগরন নিয়ে তাত্ক্ষণিক
সিদ্ধান্তে সম্মিলিত গণজাগরণ মঞ্চ, সিঙ্গাপুর এর উদ্যোগে বাংলাদেশী
সিঙ্গাপুর প্রবাসী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরাম এবং বাংলার কন্ঠের আয়োজনে
১১ ই ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
১ সি রয়েল রোডের অফিস হল রুমে ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম বাবুর
সঞ্চালনায় শুরু হয় অনুষ্ঠান "ন্যুরেমবার্গ থেকে শাহবাগ"। অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন বাংলার কন্ঠ সম্পাদক ও প্রসাসের আহ্বায়ক জনাব এ কে এম
মোহসিন। প্রধান অতিথি ছিলেন মির্জা গোলাম সবুর, সেক্রেটারি, বি,ডি, চ্যাম,
বিশেষ অথিতি ছিলেন যথাক্রমে প্রকৌশলী স্বপন কান্তি বিশ্বাস.আমেরিকান
বংশ্দ্ভুদ মানবাধিকার কর্মী দিবা শ্রমের চ্যারমেন দেবী ফর ডাইস ও
ইঞ্জিনিয়ার কাজী শিহাব উদ্দিন লিটন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ ন্যুরেম বার্গ থেকে শাহবাগ পাঠ করেন জনাব মহসিন। গণ
জাগরনের কবিতা ফাঁসি চাই আবৃতি করেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু। নুরেম
বার্গ থেকে শাহবাগ আবৃতি করেন কে এম রুস্তম। গণ সঙ্গীত পরিবেশনা ছিল
বাড়তি আকর্ষন জাকির , রুবেল , শাহীন,বাবু, মেহেদী, ওসমান মাহবুব খান, খোকন
সহ আরো কয়েকজন গণ সংগীত পরিবেশন করেন। ৯৩ এর বাংলাদেশ কারিগরী ছাত্র
পরিষদের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার কাজী শিহাব উদ্দীন লিটন এর বক্তৃতা উপস্থিত
সকল কে উজ্জীবিত করে .সকল বক্তারা আলোচ্য বিষয় বস্তুর উপর আলোক পাত করেন।
মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার ফাঁসি, জামাত শিবির নিষিদ্ধ করন , তাদের উত্স
, প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে সরকারকে উদ্দ্যোগ নিতে বলেন।অবশেষে উপস্থিত সকলেই
শাহবাগের তারুণ্যের গন জাগরণের সাথে একাত্ততা ঘোষণা করেন. এবং যে যার স্থান
থেকে এই আন্দোলনের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখার অংগীকার করেন .দাবি আদায়
না হওয়া পর্যন্ত টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া ,লন্ডন
,কানাডা , সিঙ্গাপুর ,অস্ট্রেলিয়া, বিশ্বের যেখানেই বাংলাদেশী সেখানেই
গণআন্দোলন জাগ্রত রাখার শপথ নিয়ে শেষ হয়েছে সম্মিলিত গণজাগরণ মঞ্চ,
সিঙ্গাপুর এর অনুষ্ঠান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন