টোকিও, ১১ ফেব্রুয়ারি- জামায়াতের নেতা কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার
রায় প্রত্যাখ্যান করে সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে টোকিও শহীদ মিনারের
সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে। রোববার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটার
দিকে কনকনে শীত উপেক্ষা করে শতাধিক প্রবাসী সেখানে সমাবেশে হাজির হন।
সমাবেশে উপস্থিত সজল বড়ুয়া বলেন, উপস্থিত প্রবাসীরা ‘ক-তে কাদের মোল্লা,
তুই রাজাকার, তুই রাজাকার,’ ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই,’
স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন পুরো শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। সমাবেশে
অংশগ্রহণকারীদের একটাই দাবি—‘স্বাধীন বাংলাদেশে অনতিবিলম্বে যেকোনো মূল্যে
সব রাজাকারের ফাঁসি চাই’।
মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম, জাপানের সাধারণ সম্পাদক
আবদুল ওয়াদুদ বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশকে রাজাকারমুক্ত করব—এটাই আমাদের
একমাত্র প্রতিজ্ঞা। রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিজ্ঞা আমরা পূরণ
করবই।’ নানা ব্যস্ততার মধ্যেও দূরদূরান্ত থেকে সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য
আয়োজকদের পক্ষ থেকে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রবাসীদের পাশাপাশি সমাবেশে কয়েকজন বিদেশিও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের একজন
নামা না-জানা মার্কিন নাগরিক বলেন, ‘১৯৭১-এর নিষ্ঠুরতার ন্যায়বিচার হোক,
এটাই দাবি করতে আজ আমি এখানে এসেছি।’"
সমাবেশে পিছিয়ে ছিল না শিশুরাও। তারাও বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি জানায়।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরলিপি কালচারাল একাডেমির উপদেষ্টা মুন্সি
আজাদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাসেরুল হাকিম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাপান
শাখার সভাপতি ছালেহ মো. আরিফ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আসলাম হীরা, জাতীয়
পার্টির জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক নাবী উল্লাহ আসিফ, পদ্মা ফুডস
লিমিটেডের কর্ণধার বাদল চাকলাদার, বৈশাখী মেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক শেখ
আলীমুজ্জামান, সাংবাদিক কাজী ইনসানুল হক, সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি
সুখেন ব্রহ্ম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাপান শাখার সাবেক সভাপতি কাজী
মাহফুজুল হক লাল, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অজিত
বড়ুয়া, প্রবাসী কণ্ঠশিল্পী রওনক জাহান, আওয়ামী লীগের সংগঠক এম এ বাসিত,
মোল্লা ওহিদুল ইসলাম, যুবলীগের জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক বি এম শাহজাহান,
আওয়ামী লীগের নেতা হারুনুর রশীদ, মাসুদুর রহমান, লিঙ্কার্স ট্যুরের
স্বত্বাধিকারী আবদুর রাজ্জাক, উত্তরণ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সম্মানিত সদস্য
বিমান কুমার পোদ্দার, যুবলীগের জাপান শাখার নেতা আকতার হাওলাদার, লেখক
শরাফুল ইসলাম, দেশ-বিদেশ ওয়েব পোর্টালের সম্পাদক তপন কুমার পাল, বাংলাদেশ
সাংবাদিক লেখক ফোরাম জাপানের সভাপতি সজল বড়ুয়া, দশদিকের নির্বাহী সম্পাদক
গোলাম মাসুম, কবি মুকুল মুস্তাফিজ, কমিউনিটি নিউজের সম্পাদক জেড এম
আবুসিনা, আবৃত্তিকার জুয়েল আহসান কামরুল, কবি মঈনুল ইসলাম মিল্টন,
‘সাপ্তাহিক’-এর টোকিও প্রতিনিধি রাহমান মনি, সংগঠক হোসাইন মুনির,
সংস্কৃতিকর্মী বেলায়েত হোসেন তুহিন, ‘বিবেকবার্তা’র সম্পাদক পি আর
প্লাসিড, সংস্কৃতিকর্মী নারমিন হক, বৈশাখী মেলা কমিটির সমন্বয়ক নাসিমুস
সালেহীন, কণ্ঠশিল্পী তানিয়া ইসলাম মিথুন, জাতীয় পার্টির জাপান শাখার
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিরুপাক্ষ বড়ুয়া, টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির
গবেষক রুবেল দাশ, মুরাতা তোমোমি প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন