জনকণ্ঠ ॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোন যুদ্ধাপরাধীর নামের আগে মাওলানা
শব্দটি ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী
বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। তাঁরা বলছেন, অধিকাংশ গণমাধ্যমের পরিবেশিত
সংবাদে যুদ্ধাপরাধীদের নামের আগে মাওলানা শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি
টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নেয়া অনেক আলোচক হরহামেশাই এদের নামের আগে (কেউ কেউ
ভক্তি সহকারে) মাওলানা নামটি উচ্চারণ করছেন। এসব অনুষ্ঠান ও সংবাদ যেহেতু
জাতীয়ভাবে প্রচারিত হচ্ছে, তাই এ বিষয়টি ধর্মপ্রাণ অনেক মুসল্লি ও
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়ই উদ্ভাসিত সবাইকে আঘাত করছে।
আহ্বানকারীরা দাবি করছেন, মাওলানা শব্দটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের বিষয়; যা অত্যন্ত সম্মানের। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী কেবল ইসলামী জ্ঞানে বিশেষজ্ঞরাই মাওলানা স্বীকৃতির দাবি রাখেন। কিন্তু যাঁরা ধর্মের নামে ব্যবসা করেন, দেশপ্রেম বিসর্জন দেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হন হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের মতো জঘন্য ও গুরুতর অপরাধের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকেন। বিচারিক ব্যবস্থায় যাদের এই অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। অনেকের বিচার প্রক্রিয়া চলমান আছে। তাদের নামের আগে মাওলানা শব্দটি কোনভাবেই আর ব্যবহার শোভন, যৌক্তিক ও নৈতিক হতে পারে না। সময় এসেছে এ বিষয়টি সকল গণমাধ্যমকে ভেবে দেখার।
আহ্বানকারীরা দাবি করছেন, মাওলানা শব্দটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের বিষয়; যা অত্যন্ত সম্মানের। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী কেবল ইসলামী জ্ঞানে বিশেষজ্ঞরাই মাওলানা স্বীকৃতির দাবি রাখেন। কিন্তু যাঁরা ধর্মের নামে ব্যবসা করেন, দেশপ্রেম বিসর্জন দেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হন হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের মতো জঘন্য ও গুরুতর অপরাধের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকেন। বিচারিক ব্যবস্থায় যাদের এই অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। অনেকের বিচার প্রক্রিয়া চলমান আছে। তাদের নামের আগে মাওলানা শব্দটি কোনভাবেই আর ব্যবহার শোভন, যৌক্তিক ও নৈতিক হতে পারে না। সময় এসেছে এ বিষয়টি সকল গণমাধ্যমকে ভেবে দেখার।
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে এসে সংহতি জানানো অনেককেই এ ব্যাপারে আলোচনা-সমালোচনা করতে দেখা গেছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মিরপুরের হাক্কানী মিশন এ ব্যাপারে ঘোর সমালোচনা করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি যুদ্ধাপরাধীদের নামের আগে মাওলানা ব্যবহারের বিরোধিতা করে রীতিমতো লিফলেট বিলি করেছেন।
অপরদিকে গণজাগরণ মঞ্চে সংহতি জানাতে এসে সত্তরোর্ধ অশীতিপর বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা হাজারীবাগের অধিবাসী হাজি মুসলেম উদ্দিন জোয়ার্দার জানান, ‘আমি বুঝি না গণমাধ্যমগুলো এখনও কী ভাবে মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সাঈদী, নিজামী, মুজাহিদ, গোলাম আযম ও কামরুজ্জমান, আবুল কালাম আজাদসহ অভিযুক্ত আরও অনেকের নামের আগে মাওলানা শব্দটি ব্যবহার করেন। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা ও হাজী হিসেবে এ ঘৃণ্য অপরাধীদের নামের সঙ্গে মাওলানা ব্যবহারকে ইসলামের অবমাননা এবং অন্যসব মাওলানার প্রতি অবজ্ঞা ও অন্যায় আচরণ বলেই মনে করি। আমার অনুরোধ বাবা গণমাধ্যম যাতে এ ব্যাপারে তাদের সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুরান ঢাকার একটি মসজিদের ইমাম যার নামের আগে মাওলানা ব্যবহার হচ্ছে তিনি জানান, ধর্মীয় জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তির নামের আগেই মাওলানা উপাধি দেয়া হয়। আর এ উপাধি একজন বিজ্ঞ ব্যক্তিকে বাড়তি দায়িত্ব দেয়। তার ভেতর দেশপ্রেম থাকবে। ধর্মের সঠিক ব্যবহার রক্ষা করতে হবে। কোন একটি বিশেষ গোষ্ঠীর নীল নকশা বাস্তবায়নের জন্য অপর একটি গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়কে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্র এবং এ লক্ষ্যে অপর কোন শক্তির হয়ে দালালি করা যাবে না। এদের দ্বারা হত্যা, গুম, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের মতো এ ধরনের নারকীয় কর্মকা- সংঘটিত করাও সম্ভব নয়। যারা এ সমস্ত জঘন্য অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত তারা ইসলামের পবিত্রতার অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হবেন। এক্ষেত্রে মাওলানা ব্যবহার নয়, বরং নামের আগে কুলাঙ্গার ব্যবহারই জায়েজ হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন