কালেরকণ্ঠ, সৈয়দপুর প্রতিনিধি
সৈয়দপুর-ঢাকা রেলপথে (রুট) চলাচলকারী একমাত্র বিলাসবহুল আন্তনগর 'নীলসাগর এক্সপ্রেস' ট্রেন থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কম্পার্টমেন্ট (এসি বার্থ) প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবার পর্যন্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কম্পার্টমেন্টটি নীলসাগর ট্রেনে সংযুক্ত ছিল। আজ রবিবার ট্রেনটি থেকে ওই কম্পার্টমেন্ট প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
সৈয়দপুর-ঢাকা রেলপথে (রুট) চলাচলকারী একমাত্র বিলাসবহুল আন্তনগর 'নীলসাগর এক্সপ্রেস' ট্রেন থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কম্পার্টমেন্ট (এসি বার্থ) প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবার পর্যন্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কম্পার্টমেন্টটি নীলসাগর ট্রেনে সংযুক্ত ছিল। আজ রবিবার ট্রেনটি থেকে ওই কম্পার্টমেন্ট প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, গত ২ মার্চ জামায়াতে ইসলামী আহূত দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ছিল। এদিন রাতে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে জামায়াত-শিবিরচক্র রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে আগুন দেয়। এতে বিদেশ থেকে আমদানি করা অত্যাধুনিক ট্রেনটির পেছনের তিনটি কোচ (বগি) সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। জামায়াতের ওই নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে রেলওয়ের সাত কোটি ১২ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিয়েছে। পুড়ে যাওয়া তিনটি কোচের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বার্থ কম্পার্টমেন্টও ছিল। এ অবস্থায় রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রথম শ্রেণীর কোচের সংকট দেখা দেয়। তাই রেলকোচের অতিরিক্ত বগি না থাকায় নীলসাগরের বার্থ কম্পার্টমেন্টটি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সেটি রাজশাহীর সিল্কসিটি ট্রেনে জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে আন্তনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বার্থ কম্পার্টমেন্ট প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে সৈয়দপুর তথা রংপুর বিভাগের রেলযাত্রীরা বিমাতাসুলভ আচরণ বলে মন্তব্য করেছে।
সৈয়দপুর-ঢাকা পথের রেলযাত্রী মশিউর রহমান বলেন, 'নীলসাগর ট্রেনে এসি কোচ থাকায় আমরা এতে স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণের সুযোগ পেতাম। ওই কম্পার্টমেন্টে একটি টিকিট পাওয়া ছিল সোনার হরিণ পাওয়ার মতোই। অথচ কর্তৃপক্ষ বারবার নীলসাগর থেকে প্রথম শ্রেণীর কোচ কেটে নিয়ে আমাদের অবহেলা করছে।'
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার আলমগীর হোসেন জানান, নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এসি বার্থ কম্পার্টমেন্টটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। এতে এ অঞ্চলের ট্রেনযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়বে বলে তিনি স্বীকার করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন