ইমরান আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: বদলে গেছে শাহবাগ। প্রজন্ম চত্বরে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন শুরুর পর থেকেই এই এলাকার চিত্র পাল্টে গেছে। শাহবাগ থানা এলাকায় কমে গেছে অপরাধ। কমে গেছে ডিডি ও মামলার সংখ্যাও। এ এক অন্য রকম শাহবাগ। এমনটিই বলছিলেন, প্রজন্ম চত্বরে কর্তব্যরত শাহবাগ থানার এএসআই আবদুল হালিম।
শুধু এএসআই হালিম নয়, শাহবাগ থানার অন্যান্য পুলিশের সদস্যদেরও একই অভিমত। থানায় কর্তব্যরত পুলিশের সদস্যরা জানান, তদন্ত করা, চার্জশিট দেওয়া থেকে শুরু করে অনেক কাজ করতে হয়। এখন সেগুলো কমে গেছে। তাই সবাই এখন শাহবাগের নিরাপত্তা নিযেই ব্যস্ত।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: বদলে গেছে শাহবাগ। প্রজন্ম চত্বরে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন শুরুর পর থেকেই এই এলাকার চিত্র পাল্টে গেছে। শাহবাগ থানা এলাকায় কমে গেছে অপরাধ। কমে গেছে ডিডি ও মামলার সংখ্যাও। এ এক অন্য রকম শাহবাগ। এমনটিই বলছিলেন, প্রজন্ম চত্বরে কর্তব্যরত শাহবাগ থানার এএসআই আবদুল হালিম।
শুধু এএসআই হালিম নয়, শাহবাগ থানার অন্যান্য পুলিশের সদস্যদেরও একই অভিমত। থানায় কর্তব্যরত পুলিশের সদস্যরা জানান, তদন্ত করা, চার্জশিট দেওয়া থেকে শুরু করে অনেক কাজ করতে হয়। এখন সেগুলো কমে গেছে। তাই সবাই এখন শাহবাগের নিরাপত্তা নিযেই ব্যস্ত।
যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের আন্দোলন শুরু হয় ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। আন্দোলনের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠে। শাহবাগ চত্বরের নাম হয়ে উঠে প্রজন্ম চত্বর। তৈরি হয় গণজাগরণ মঞ্চ। সেই যে শুরু আন্দোলন থেমে থাকেনি। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর ছড়িয়ে এটি রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে সমাবেশ। সর্বশেষ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় আশুলিয়া।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের নিরাপত্তার বেড়ে যায়। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। শাহবাগের গণজাগরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে পুলিশ সদস্যরা নাওয়া খাওয়া ছেড়ে নিরাপত্তা দিতে হিমসিম খেতে হয়েছে। দিনরাত সমানে চলে ডিউটি। পুলিশের পাশাপাশি এখানকার নিরাপত্তায় র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের ব্যস্ততা ছিল চরমে।
বিশেষ করে শাহবাগ থানার মধ্যে এই এলাকা হওয়ায় থানা পুলিশের ব্যস্ততা ছিল অনেক বেশি। থানার অন্যান্য এলাকায় পূর্বের যেভাবে টহল ছিল সেগুলো কমিয়ে দিয়ে প্রজন্ম চত্বর কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল বেশি। গত দেড় মাস টানা এই কর্মসূচি চলে আসছে।
এদিকে টানা এই কর্মসূচিতে পুলিশের ব্যস্ততা চরমে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে থানা এলাকায় অন্যান্য অপরাধ ছিল না বললেই চলে।
থানা পুলিশ বলছে, পূর্বে যেমন চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হতো কিন্তু এখন এ ধরনের কোন অপরাধ নেই, নেই সেই রকমের কোনো মামলা। মূলত শাহবাগহকেন্দ্রিক যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সেই কারণে এই ধরনের অপরাধ ঘটার কোনো সুযোগ ছিল না বলে মনে করে থানাপুলিশ।
শাহবাগ থানার ওসি তদন্ত এম এ জলিল বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ সব সময় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বদা সচেষ্ট থাকে। তবে শাহবাগের আন্দোলনের পর থেকে এই থানা এলাকায় বড় ধরনের কোন অপরাধ সংঘটিত হয় নি বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, অন্যান্য সময় বাংলামোটর, কাঁটাবনসহ দু’একটি জায়গায় চুরি ছিনতাই হতো কিন্তু শাহবাগের এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় ওই ধরনের কোনো অপরাধ নেই।
তিনি আরও বলেন, শাহবাগের এত লোকের সমাগম তথাপি বড় ধরনের কোনো অপরাধমূলক ঘটনা নেই, কিংবা পুলিশের নিকট কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
তিনি বলেন, আগে যেমন মামলা, তদন্ত চার্জশিট নিয়ে যে ব্যস্ততা ছিল সেটি এখন আর নেই। এখন আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যস্ত রয়েছি।
এম এ জলিল বলেন, প্রজন্ম চত্বরের নাশকতার বিষয় আমরা একেবারে উড়িয়ে দেই না, কারণ এর আগে ৮ মার্চ এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে আমরা শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছি।
তিনি বলেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৪ থেকে ৫ টির মতো থানায় মামলা হয়েছে। তাও আবার সেগুলো অন্যান্য বিষয়ের উপর। এছাড়া জিডি হয়েছে বেশ কয়েকটি। তবে এই সকল জিডি ধরন সার্টিফিকেট হারানো, লাইসেন্স হারানো ইত্যাদি।
শাহবাগের এই আন্দোলনের পুলিশের দায়িত্ব বেড়েছে তথাপি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা দায়িত্¦ পালন করে যাচ্ছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন