সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৩

খুলনায় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
খুলনা: জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন খুলনা সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ছাত্র-যুব সামাজিক কমিটি।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ছাত্র-যুব সামাজিক কমিটির আহবায়ক ও খুলনা মহানগর যুবলীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান পপলু।

দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিরের হত্যা, জাতীয় পতাকা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, শহীদ মিনার ভাংচুরের প্রতিবাদ এবং জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের আহবায়ক আহবায়ক আনিসুর রহমান পপলু বলেন, “দেশ আজ দুটি ধারায় বিভক্ত। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে ৭১’র পরাজিত শক্তি। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর পাকিস্তানী দালাল চক্র জামায়াত-শিবির আবার নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।

জামায়াত-শিবির চক্র দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে ধর্মের নামে অসত্য, ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে উন্মাদনা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। তারা ব্যবহার করছে মসজিদ, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম এবং ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি প্রিয় মাতৃভূমি। দেশকে বহিঃবিশ্বে বিতর্কিত করতে উন্নয়নের চাকা বন্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এ পরাজিত চক্র। তারা উন্নয়নমুখী এ দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ৭১ এর মানবতাবিরোধীদের বিচার চলছে। আইন আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। যা দেশপ্রেমিক প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধ চেতনায় বিশ্বাসী জনগণকে হতবাক করেছে।

জামায়াত-শিবির চক্র অগ্নিসংযোগ ও তাণ্ডবের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট পল্লীবিদ্যুৎ কেন্দ্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ৬ হাজার একর জমির বোরো চাষ হুমকির মুখে। শিবগঞ্জে ১৫ দিন ধরে শতাধিক রাইস মিল ও তেল মিল বন্ধ রয়েছে।
খুলনার কয়রায় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ এবং সাতক্ষীরায় নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। বরিশালেও বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, গাড়ি ভাংচুর ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তারা ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যা করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে।”

সম্মেলনে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ এবং সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি জানানো হয়।
এ সময় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধের দাবিতে ২০ মার্চ খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং জেলা ও মহানগরের ১৪টি থানায় সমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-  যুবলীগ নেতা হাফেজ মো. শামীম ও কামরুজ্জামান জামাল, যুব ইউনিয়নের নেতা মিজানুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগ নেতা দেব দুলাল বাড়ৈ বাপ্পী, শাহজালাল হোসেন সুজন, আরাফাত হোসেন পল্টু, মুশফিকুর রহমান সাগরসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, যুব আন্দোলন, যুব ইউনিয়ন, যুব সমিতি, যুব জোট, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র আন্দোলন সহ প্রগতিশীল ছাত্র সমাজের নগর ও জেলার বিপুল সংখ্যক নেতা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন