সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৩

যুদ্ধাপরাধ গোলাম আযমের নেতৃত্বেই

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বাতিঘর যেভাবে জাহাজকে পথ দেখায়, গোলাম আযম ঠিক সেভাবে একাত্তরে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন বলে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছেন একজন প্রসিকিউটর।
একজন বেসামরিক ব্যক্তি হয়েও জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমির গোলাম আযম কীভাবে নিরস্ত্র বাঙালি নিধনে ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ পালন করেন- সোমবার তা বিচারকদের সামনে তুলে ধরেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ।

গোলাম আযমের আইনজীবী ইমরান সিদ্দিকীরও এদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু তিনি ট্রাইব্যুনালে না আসায় এটিএম ফজলে কবির নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল ‘খরচ’ হিসাবে ৫ হাজার টাকা মাশুল দিতে বলেছে।

এর আগে গত ১৪ মার্চ গোলাম আযমের অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলামও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে অনুপস্থিত থাকলে ১ হাজার টাকা মাশুল দিতে বলে ট্রাইব্যুনাল।

আসামি পক্ষের আইনজীবীদের এই ৬ হাজার টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে রশিদ জমা দিতে বলেছেন বিচারক।

এছাড়া গোলাম আযমের ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ নিয়ে আসামিপক্ষের যুক্তি শোনার জন্য বুধবার দিন রেখেছেন তিনি।

প্রায় ৭০ মিনিটের বক্তব্যে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, একাত্তরে গোলাম আযমের তত্ত্বাবধানেই শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদর, আল শামসের মতো বাহিনী গঠিত হয়। এসব বাহিনীর সহযোগিতা নিয়েই পাকিস্তানি সেনারা এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর বর্বর নির্যাতন চালায়।    

আর হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটের মতো এই এসব মানবতবিরোধী অপরাধের ঘটনায় পেছনে গোলাম আযমই মূল হোতা ছিলেন বলে ট্রাইব্যুনালকে জানান তুরিন আফরোজ। 

পাঁচ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬১টি ঘটনায় গত বছরের ১৩ মে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।

এর মধ্যে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র, সহযোগিতা, উস্কানি ও হত্যাযজ্ঞে বাধা না দেওয়া এবং নির্যাতন চালানোর অভিযোগও রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন