বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৩

বরিশালে ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ সরিয়ে নিতে এমপির চিঠি

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বরিশাল: বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে তৈরি করা ‘একাত্তরের মঞ্চ’ নামে ‍‘গণজাগর মঞ্চ’টি সরিয়ে নিতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল সদর আসনের এমপি ও মহানগর বিএনপি সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের পক্ষ থেকে  এ চিঠিটি দেন মহানগর যুবদল নেতা জিয়াউদ্দিন সিকদার।

জাতীয় সংসদের প্যাডে তিনি এ আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দার বিশেষ শাখা।

পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিনের পক্ষে মেট্রো পুলিশের বিশেষ শাখা চিঠিটি গ্রহণ করেছে।

বরি-৫/ডিউ-৪৬ নং স্মারক এ পাঠানো চিঠিতে সংসদ সদস্য মজিবর রহমান সরোয়ার উল্লেখ করেছেন, অশ্বিনী কুমার হল নগরীর প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত। অশ্বিনী কুমার হল সভা, সমাবেশ, নাটক, থিয়েটার, মাহফিলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের একমাত্র স্থান। এর পাশে বায়তুল মোকারম জামে মসজিদ ও বিএনপির কার্যালয়।

সেখানে স্থায়ী জাগরণী মঞ্চ থাকায় মুসুল্লিদের নামাজ পড়া, বিএনপি কার্যালয়ের কার্যক্রম, সভা, সমাবেশ, সদর রোডে যান চলাচলে ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টিসহ সবকিছুতে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

সবার অবাধ মত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। অশ্বিনী কুমার হলের সামনে স্থায়ী জাগরণী মঞ্চ করে নামাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করা এবং অন্যদের অধিকার খর্ব করা উচিত নয়।

বিএনপি কার্যালয় কার্যক্রম সচল, নামাজে বিঘ্ন না করাসহ সব রাজনৈতিক দলের সভা, সমাবেশের স্থান অশ্বিনী কুমার হল চত্বর উম্মুক্ত করে গণজাগরণ মঞ্চ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার বাংলানিউজকে জানান, বিএনপি নেতাকর্মী, মুসুল্লি ও সাধারণ নগরবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি চিঠিটি দিয়েছেন। এর আগেও গণজাগরণ মঞ্চ সরিয়ে নেওয়ার জন্য পুলিশ কমিশনারকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। তবে, তিনি আশ্বাস দিয়েও ব্যবস্থা না নেওয়ায় লিখিতভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, “গণজাগরণ মঞ্চ আমরা তৈরি করি নি। তাই ওটা সরানো অধিকারও আমাদের নেই। তবে এ ব্যাপারে মঞ্চ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে করা হবে।”

উল্লেখ্য,বরিশালের এ গণজাগরণ মঞ্চকে কেন্দ্র করে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করে আসছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন