শাহবাগে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করার দাবি করেছেন খালেদা জিয়া। এ
আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের নাস্তিক ও নষ্ট তরুণ হিসেবে অভিহিত করে তিনি
বক্তব্য রেখেছেন। খালেদা জিয়ার এ বক্তব্যের ব্যাপারে টেলিফোনে মতামত
জানিয়েছেন সমকাল পত্রিকার পাঠকরা। গ্রন্থনা একরামুল হক শামীম
সজীব শিকদার
শিক্ষার্থী, নারায়ণগঞ্জ
বিরোধীদলীয় নেতা যে বক্তব্য রেখেছেন তার প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমার নেই। আমি কখনোই কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করিনি। কিন্তু আমি শাহবাগের আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম। তিনি আমাদের নাস্তিক ও নষ্ট ছেলে বলছেন। তিনি হুমকি দিলেন আরও অনেক প্রাণ যাবে। কিন্তু এই প্রাণগুলো যাবে সাধারণ মানুষের।
সজীব শিকদার
শিক্ষার্থী, নারায়ণগঞ্জ
বিরোধীদলীয় নেতা যে বক্তব্য রেখেছেন তার প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমার নেই। আমি কখনোই কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করিনি। কিন্তু আমি শাহবাগের আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম। তিনি আমাদের নাস্তিক ও নষ্ট ছেলে বলছেন। তিনি হুমকি দিলেন আরও অনেক প্রাণ যাবে। কিন্তু এই প্রাণগুলো যাবে সাধারণ মানুষের।
শিল্পী
চাকরিজীবী, ইস্কাটন, ঢাকা
খালেদা জিয়া গণজাগরণ মঞ্চের সবাইকে নাস্তিক বলেছেন। গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য করা একদমই ঠিক না। আমার মনে হচ্ছে, তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাচ্ছেন না। তিনি জামায়াতকে নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছেন। গণজাগরণ মঞ্চের দাবি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। সেখানে নাস্তিক, আস্তিক ব্যাপার আসতে পারে না।
প্রিয়াঙ্কা
শিক্ষার্থী, তিতুমীর কলেজ
আমাদের বিরোধীদলীয় নেতা গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে যেসব কথা বলেছেন তাতে মনে হয় তিনি স্বাধীনতার বিপক্ষে। তার কাছে দেশের চেয়ে দল ও ক্ষমতাই বড়। বিরোধীদলীয় নেতার কাছে আমার প্রশ্ন, গণজাগরণ মঞ্চকে তিনি ভয় পান কেন?
উজ্জ্বল খান
চাকরিজীবী, জুরাইন, ঢাকা
আমার কথা হলো, গণজাগরণ মঞ্চের সবাই যদি নষ্ট ছেলেমেয়ে হয়, তাহলে ১৯৭১ সালে যারা যুদ্ধ করেছেন তারাও কি নষ্ট ছিল!
মো. একরাম মজুমদার
শিক্ষক, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা
প্রজন্ম চত্বরের গণজাগরণ সম্পর্কে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত, দুঃখজনক। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে মনে করি, তিনি জাতির সঙ্গে মিথ্যাচারপূর্ণ ও শিষ্টাচারবহির্ভূত কাজ করেছেন। আমি আশা রাখি, তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেবেন।
মো. মনিরুজ্জামান খান
চাকরিজীবী, রাজশাহী
খালেদা জিয়া যে মন্তব্য করেছেন তা স্বাভাবিক। এতদিন তিনি জামায়াতের পেছনে থেকে কলকাঠি নেড়েছেন। এখন সরাসরি জামায়াতের পক্ষে কথা বলছেন। আমার তো মনে হয়, জামায়াতের সাম্প্রতিক সহিংস কর্মকাণ্ডের পেছনে খালেদা জিয়ার ইন্ধন আছে।
মো. ওয়াজেদ আলী পাশা
শিক্ষক (অব.), মানিকগঞ্জ
তারুণ্যের বিপক্ষে যে কথা তিনি বলেছেন তাতে আমরা ব্যথিত ও দুঃখিত। এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া তার জন্য শোভনীয় নয়। তার বক্তব্যে আমরা লজ্জিত।
মো. আইয়ুব আলী
শিক্ষার্থী, রাজবাড়ী
খালেদা জিয়ার কথা আমার কাছে ভালো লেগেছে। গণজাগরণ মঞ্চ শুরুতে ভালো ছিল, পরে এটি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
শাহেদ
ব্যবসায়ী, লালবাগ
খালেদা জিয়ার বক্তব্য সঠিক। গণজাগরণ মঞ্চ শুরুতে ঠিক ছিল। কিন্তু পরে ঠিক থাকেনি।
লিমন
ব্যবসায়ী, ফেনী
গণজাগরণ মঞ্চ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য। খালেদা জিয়া তা বন্ধ করার জন্য কেন বলছেন? তিনি একসঙ্গে হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত করা সম্ভব হবে। এখন সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে খালেদা জিয়া রাজাকারদের পক্ষে আছেন। তিনি এই আন্দোলনের পক্ষ নিলে সবাই বুঝবে সব দল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচার চাচ্ছে।
মাওলানা মো. আবুল হাসান
কাজী, শরীয়তপুর
আমার দুঃখ হচ্ছে খালেদা জিয়ার বক্তব্য শোনে। খালেদা জিয়া বলেছেন মঞ্চ-ফঞ্চ বন্ধ করতে। কিন্তু মঞ্চ থেকে খালেদা জিয়া সম্বন্ধে কোনো খারাপ কথা বলা হচ্ছে না। এই মঞ্চ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য। তাহলে তার কষ্ট লাগছে কেন? এই তরুণরা সুন্দরভাবে একটা কাজ করছে। এ দেশে ইসলামকে নিজেদের স্বার্থে জামায়াত ব্যবহার করেছে। খালেদা জিয়ার এত মায়া কেন তাদের জন্য? হরতাল দিয়ে দেশের মানুষকে দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা দেশের শান্তি চাই। খালেদা জিয়ার উচিত আপত্তিকর মন্তব্য না করা।
আবদুর রহমান
শিক্ষক (অব.), মুরাদনগর, কুমিল্লা
খালেদা জিয়া হঠাৎ করে সুর পরিবর্তন করে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চকে নাস্তিকদের চত্বর বলে আখ্যায়িত করেছেন। তার ভাষায় এসব 'মঞ্চ-ফঞ্চ' বন্ধ করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের উদ্ভব। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও অসাম্প্রদায়িক ধ্যান-ধারণায় এ দেশের একটি বিরাট জনগোষ্ঠী শাহবাগের আন্দোলনকে সমর্থন করেন। তাই কোনো সুস্থ, স্বাভাবিক ও বিবেকমান মানুষ এমন একটি বিরাট জনগোষ্ঠীকে নাস্তিক বলতে পারেন না। 'তুমি নাস্তিক, আমি আস্তিক'_ এই বিতর্ককে সামনে আনে তারাই, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তির দাবিকে ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপির এই ধর্মীয় জিকির।
ফকীর টিপু শাহ
সমাজসেবক, কুমিল্লা
বিরোধীদলীয় নেতা যেসব কথা বলেছেন তাতে আমি হতাশ। তার কথায় স্পষ্ট হয়েছে, তিনি স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তির পক্ষ নিয়েছেন।
আবদুল্লাহ হিল কাফি
ব্যবসায়ী, খুলনা
তার মতামত তিনি প্রকাশ করেছেন।
পারভেজ
বেকার, টাঙ্গাইল
তিনি একজন মা। সন্তানতুল্য তরুণদের নিয়ে এ ধরনের বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মোহাম্মদ আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ রোড, ঢাকা
খালেদা জিয়ার বক্তব্য তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। গণজাগরণ মঞ্চকে আমরা সমর্থন করি। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তা দলীয়করণ হয়ে গেছে।
আমিরুল হক মতিন
অধ্যাপক, নাটোর
খালেদা জিয়া অতি নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন। নিজের খোলস খুলে প্রকৃত চেহারায় তিনি নিজেকে উন্মোচিত করছেন। গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করায় তার প্রতি নিন্দা জানাই।
মো. নাসির উদ্দিন
চাকরিজীবী, মানিকগঞ্জ
খালেদা জিয়ার বক্তব্য সঠিক। দেশে বিচার বিভাগ আছে, মাঠে সমাবেশ করে ব্যক্তির ফাঁসি দাবি করা ঠিক নয়।
রাতুল
ক্লাস ফোরের শিক্ষার্থী, নাটোর
আমি গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষে। আমিও সেখানে বড়দের সঙ্গে যাই। খালেদা জিয়া আমাকেও নাস্তিক বলেছেন। আমি রাজাকারদের সঙ্গে খালেদা জিয়ারও বিচার চাই।
মো. আমজাদ হোসেন
চাকরিজীবী, নরসিংদী
গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে খালেদা জিয়া যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তাকে ধিক্কার জানাই। তিনি মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। তিনি কীভাবে জামায়াতের পক্ষ নিলেন! আশা করি তিনি বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেবেন।
বাবু
ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম
খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে সংখ্যালঘুদের হামলার বিচারের কথা একবারও বলেননি।
আহমাদ মোস্তফা শেলী
চাকরিজীবী, লক্ষ্মীপুর
গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে খালেদা জিয়ার বক্তব্য সরাসরি দেশের বিপক্ষে। তিনি তরুণ সমাজকে হেয় করেছেন। স্বাধীনতাবিরোধীদের রক্ষা করার স্টেটমেন্ট হয়েছে এটি।
মো. শহীদুল ইসলাম
ড্রাইভার, গোপালগঞ্জ
তিনি গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন। বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে এ ধরনের মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে তিনি কথা বলছেন।
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, রাজশাহী
গণজাগরণ মঞ্চ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার কথা বলছে। দেশের মানুষ যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করছে, তখন বিএনপি নেতা বলেছেন তিনি দেশের স্বার্থে হরতাল ডেকেছেন। তিনি গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে কথা বলে দেশের মানুষকে অবজ্ঞা করেছেন।
বিবরণ হালদার
ওষুধ ব্যবসায়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে খালেদা জিয়া যেভাবে মন্তব্য রাখছেন তা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে যাচ্ছে। আমার তো মনে হয় ব্যাপারটা তার জন্য বুমেরাং হবে।
এনায়েত আলী
ব্যবসায়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
তিনি আন্দোলনকারীদের নষ্ট তরুণ বলেছেন। আমার মনে হয়, জামায়াত-শিবিরের স্বার্থেই তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছেন।
মিঠু লস্কর
ব্যবসায়ী, মাগুরা
খালেদা জিয়া গণজাগরণ মঞ্চকে কটাক্ষ করে মঞ্চ-ফঞ্চ বলেছেন। তরুণ নেতৃত্বকে তিনি নষ্ট ও নাস্তিক বলেছেন। এই নষ্ট তরুণরাই একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল। আশা করি, তার শুভবুদ্ধির উদয় হবে। গণজাগরণ মঞ্চে সমর্থন দিয়ে সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি হতে পারে।
আনসার উল্লাহ পাপ্পু
ব্যবসায়ী, নোয়াখালী
গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে খালেদা জিয়া যে বক্তব্য রেখেছেন তা খুবই দুঃখজনক। রাজাকারদের পক্ষে তিনি কথা বলেছেন।
শাহ আলম
শিক্ষার্থী, পাবনা
শাহবাগ সরকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে। শাহবাগের কারণেই দেশের অস্থিরতা।
মো. সাজেদুল ইসলাম
ব্যবসায়ী, নওগাঁ
গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া যেসব কথা বলেছেন তাতে মনে হচ্ছে, তিনি এবং তার দল যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রত্যাশী সকল মুক্তমনের মানুষকে এ অবস্থায় কাজ করে যেতে হবে।
শেখ মো. আলী
ব্যবসায়ী, মুন্সীগঞ্জ
খালেদা জিয়া মুন্সীগঞ্জে এসে বলে গেছেন, মঞ্চ-ফঞ্চ বন্ধ করতে হবে। বন্ধ না হলে তিনি জনগণের মঞ্চ করবেন। এ ধরনের বক্তব্য কী কারণে জানি না! গণজাগরণ মঞ্চে যারা নেতৃত্বে আছেন তাদের বলব, বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে আলাপ করতে বলব। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
কুমারেশ চন্দ্র
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ টার্মিনাল
খালেদা জিয়া গণজাগরণকে বিতর্কিত করে ফঞ্চ বলেছেন। মঞ্চের সংগঠক ও সমর্থনকারীদের তিনি নষ্ট তরুণ ও নাস্তিক বলে উল্লেখ করেছেন। ধর্মপ্রাণ মানুষের মূল্যবোধে তিনি আঘাত করেছেন। '৭১ সালে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান অসংখ্য তরুণ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। সেই তরুণরাই মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত অর্জন পুনরুদ্ধারের জন্য গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি করেছেন। খালেদা জিয়া আপনি কি তরুণদের পক্ষে, নাকি খুনি ধর্ষণকারী রাজাকারের পক্ষে? সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। আপনি কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। যুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত হতে পারে না।
আবদুল কাদের
ব্যবসায়ী, সাভার
খালেদা জিয়া গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে যে কুরুচিকর বক্তব্য দিয়েছেন তা ঠিক নয়। খালেদা জিয়াকে এ ধরনের বক্তব্য থেকে ফিরে আসতে হবে। এ ধরনের বক্তব্য বন্ধ করতে হবে।
মো. হাফিজুর রহমান
চাকরিজীবী, ঢাকা
খালেদা জিয়া গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে যে কুরুচি ও বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। তার এ বক্তব্য একান্তই শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য। ১৯৭১ সালে দেশকে স্বাধীন করার জন্য জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছিল। তখনকার যুদ্ধে যারা আমাদের বিরোধিতা করেছিল তাদের ফাঁসির দাবিতে আজ গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি হয়েছে।
মো. শাহজাহান মিয়া
চাকরিজীবী, নারায়ণগঞ্জ
আমি মনে করি, খালেদা জিয়ার কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো কোনো মন্তব্য আশা করা যায় না।
গৌতম কুমার মহান্ত
ব্যবসায়ী, ঢাকা
খালেদা জিয়া গণজাগরণ মঞ্চের তরুণদের নষ্ট ও নাস্তিক বলেছেন, তা মোটেও ঠিক নয়। ১৯৭১ সালে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, যারা আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে এবং গণহত্যা ও ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজে সহযোগিতা করেছে, তাদের ফাঁসির দাবির জন্য গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি হয়েছে। আর এই গণজাগরণ মঞ্চের ছেলেদের নষ্ট ও নাস্তিক বলাটা একজন বিরোধীদলীয় নেতার মুখে মানায় না। তিনি যে কথাগুলো বলেছেন তা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য বলেছেন।
আবদুস সামাদ
ব্যবসায়ী, সিরাজগঞ্জ
বর্তমানে গণজাগরণ মঞ্চ কেমন যেন দলীয়করণের দিকে চলে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে সেখানে বক্তৃতা দিতে দেখা যায়। তাই আমি মনে করি, গণজাগরণ মঞ্চকে দলীয়করণ করা ঠিক হবে না।
মাহমুদুল হাসান
শিক্ষার্থী, কুষ্টিয়া
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া শাহবাগ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে যে বক্তব্যটি দিয়েছেন, আমি তার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি।
মো. গোলাম হোসেন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
খালেদা জিয়ার বক্তব্য জামায়াত ও শিবিরকে উস্কে দিচ্ছে। খালেদা জিয়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হয়েও যে বক্তব্য দিচ্ছেন তা খুবই দুঃখজনক।
আলী আকবর
ব্যবসায়ী, সিরাজগঞ্জ
১৯৭১ সালে জামায়াত-শিবির যে ধরনের আচরণ করেছিল, খালেদা জিয়াও ঠিক একই ধরনের আচরণ করেছেন। গণজাগরণ মঞ্চ তরুণদের নিয়ে। খালেদা জিয়া তরুণদের মনে আঘাত দিয়েছেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন।
ইদ্রিস আলী
মুক্তিযোদ্ধা, নীলফামারী
গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে খালেদা জিয়ার মন্তব্য বিতর্কিত ও কলঙ্কিত। তার এ ধরনের বক্তব্য তরুণ সমাজের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। তাদের মনে বিরোধীদলীয় নেতার ওপর ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
মো. নাসির
ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম
খালেদা জিয়া যে মন্তব্য করেছেন তা একদিনে নতুন প্রজন্মের বৃহৎ অংশকে বিএনপি প্রতিপক্ষ বানিয়েছেন। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের বিএনপিকে স্বাধীনতাবিরোধীদের পক্ষ অবলম্বন করার কলঙ্কের তিলক পরিয়ে দিয়েছেন। বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বকে এর জন্য অনেক মাসুল দিতে হবে।
মো. আল আমিন
শিক্ষার্থী, ঢাকা
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে যে কুরুচিকর বক্তব্য দিয়েছেন, তার মতো একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছে কখনও জাতি আশা করেনি।
মো. আলতাফ উদ্দিন
ব্যবসায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে খালেদা জিয়ার মন্তব্য একেবারেই ঠিক নয়। তার এ মন্তব্য তরুণদের মনে আঘাত দিয়েছে। তার এ ধরনের বক্তব্যের জন্য তরুণদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন