ইত্তেফাক রিপোর্ট
সাম্প্রদায়িক
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দ্রুত পুনর্বাসন ও হামলার সাথে জড়িতদের
বিচারের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সংহতি'র প্রতিনিধিরা। সেই সঙ্গে তারা
মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, মনে রাখতে
হবে সমস্যাটি নিছক আইন-শৃঙ্খলাজনিত নয়। রাজনৈতিক এ সমস্যা সবাইকে সঙ্গে
নিয়ে সামাল দিতে হবে। এই মুহূর্তে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং
তাদের জানমাল রক্ষা করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অসাম্প্রদায়িক,
ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তি ও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে সাম্প্রদায়িক এই
হামলার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তারা।
গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে নাগরিক সংহতি আয়োজিত সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরীফ, মানবাধিকার কর্মী ও ভাস্কর শিল্পী ভাস্কর রাসা, পিচ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ইকমা হোসেন, গবেষক ও লেখক জয়ন্ত সরকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা মশিউদ্দিন সাকের, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ও নাগরিক উদ্যোগের সদস্য এবিএম আনিসুজ্জামান প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ সময় পার হলেও ক্ষতিগ্রস্ত শত শত মানুষ নিরাপত্তাহীন ও অনাহারে মানবেতরভাবে বেঁচে আছে। অথচ তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে ওই ইস্যু নিয়ে দলাদলি হচ্ছে। দায়ভার পরস্পরের উপরে চাপানোর মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করে সরকারের প্রথম ও প্রধান কাজ হবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসিত করা।
শরিফুজ্জামান শরীফ বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হয়েছে যেসব কারণে, সেসব কারণের সঙ্গে ধর্মীও সংখ্যালঘুদের এবং তাদের মন্দির ভাঙ্গার প্রাসঙ্গিকতা নেই। তারপরও ধর্মের নামে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত জামায়াত ইসলাম ও তাদের অনুসারীরা দেশে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। জামায়াতে ইসলামের নেতাকর্মীরা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ও অর্ধশতাধিক মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ ধরনের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এ পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
ভাস্কর রাসা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে যথার্থ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে যেসকল রাজনৈতিক অপশক্তি ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়াচ্ছে এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে তাদের অবিলম্বে নিষিদ্ধ করাসহ তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ যাতে সমাজে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
জয়ন্ত সরকার বলেন, রাষ্ট্রের প্রাথমিক কর্তব্য হলো জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে সংখ্যালঘু জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এ ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মশিউদ্দিন সাকের বলেন, মন্ত্রী সংসদ সদস্যরা সংসদে বসে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি তীব্র বাক্যবাণ না ছুঁড়ে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালে তারা কিছুটা ভরসা পাবে। মনে রাখতে হবে সমস্যাটি নিছক আইন-শৃঙ্খলাজনিত নয়। রাজনৈতিক এ সমস্যা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সামাল দিতে হবে। এই মুহূর্তে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের জানমাল রক্ষা করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে নাগরিক সংহতি আয়োজিত সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরীফ, মানবাধিকার কর্মী ও ভাস্কর শিল্পী ভাস্কর রাসা, পিচ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ইকমা হোসেন, গবেষক ও লেখক জয়ন্ত সরকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা মশিউদ্দিন সাকের, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ও নাগরিক উদ্যোগের সদস্য এবিএম আনিসুজ্জামান প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ সময় পার হলেও ক্ষতিগ্রস্ত শত শত মানুষ নিরাপত্তাহীন ও অনাহারে মানবেতরভাবে বেঁচে আছে। অথচ তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে ওই ইস্যু নিয়ে দলাদলি হচ্ছে। দায়ভার পরস্পরের উপরে চাপানোর মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করে সরকারের প্রথম ও প্রধান কাজ হবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসিত করা।
শরিফুজ্জামান শরীফ বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হয়েছে যেসব কারণে, সেসব কারণের সঙ্গে ধর্মীও সংখ্যালঘুদের এবং তাদের মন্দির ভাঙ্গার প্রাসঙ্গিকতা নেই। তারপরও ধর্মের নামে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত জামায়াত ইসলাম ও তাদের অনুসারীরা দেশে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। জামায়াতে ইসলামের নেতাকর্মীরা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ও অর্ধশতাধিক মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ ধরনের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এ পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
ভাস্কর রাসা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে যথার্থ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে যেসকল রাজনৈতিক অপশক্তি ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়াচ্ছে এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে তাদের অবিলম্বে নিষিদ্ধ করাসহ তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ যাতে সমাজে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
জয়ন্ত সরকার বলেন, রাষ্ট্রের প্রাথমিক কর্তব্য হলো জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে সংখ্যালঘু জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এ ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মশিউদ্দিন সাকের বলেন, মন্ত্রী সংসদ সদস্যরা সংসদে বসে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি তীব্র বাক্যবাণ না ছুঁড়ে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালে তারা কিছুটা ভরসা পাবে। মনে রাখতে হবে সমস্যাটি নিছক আইন-শৃঙ্খলাজনিত নয়। রাজনৈতিক এ সমস্যা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সামাল দিতে হবে। এই মুহূর্তে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের জানমাল রক্ষা করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন