জনকণ্ঠ, কাওসার রহমান ॥ জামায়াতের আগুনে পুড়ছে কানসাট
বিদ্যুতকেন্দ্র এলাকার হাজার হাজার কৃষকের কপাল। বোরোর এই ভরা মৌসুমে ২৩শ’
সেচ পাম্প অচল হয়ে পড়ায় ফেটে চৌচির হচ্ছে প্রায় আট হাজার হেক্টর বোরো ফসলের
মাঠ। অনেক আশা নিয়ে ধান লাগিয়ে এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন শিবগঞ্জ এলাকার
চাষীরা। সেই সঙ্গে কপাল পুড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট
উপজেলার চাষীদেরও।
এ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার গুপ্তমানিক গ্রামের হোসেন আলী চোখের জ্বলে বললেন, ‘পানির অভাবে চারা শুকিয়ে মরছে। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই।’
শুধু হোসেন আলীই নয়, ওই এলাকার কয়েক হাজার কৃষকেরই একই দুরবস্থা। অনেক আশা নিয়ে তারা এবারও বোরো আবাদ করেছিলেন। মাঠের ফসলই হচ্ছে এই এলাকার দরিদ্র চাষীদের ভরসা। তাঁরা আশা করেছিলেন, এই বোরো চাল দিয়েই তাঁদের সারা বছর চলে যাবে। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে সেচ দিতে না পারায় তাঁরা এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন।
পানি না পেয়ে চৈত্রের খরতাপে পুড়ছে ওই এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমির বোরো ধান। এই পানি না পাওয়ার কারণ বিদ্যুত সরবরাহ না থাকা। আর বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকার একমাত্র কারণ জামায়াতে ইসলামীর তা-ব। কানসাট পল্লী বিদ্যুতকেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়া। এতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুড়িয়ে দেয় শিবগঞ্জের কানসাট পল্লী বিদ্যুতকেন্দ্র। ওই দিনের ধ্বংসযজ্ঞের পর বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার ৪৫ হাজার গ্রাহক। বিদ্যুতের অভাবে ২৩শ’ সেচ পাম্প অচল হয়ে পড়ায় প্রায় আট হাজার হেক্টর বোরো জমি তীব্র সেচ সঙ্কটে পড়েছে।
পানির অভাবে অসহায় কৃষকরা প্রতিদিন খোঁজ নিতে আসছেন নলকূপ স্টেশনে। তাঁদের একটাই জিজ্ঞাসা, ‘পানি কবে পাওয়া যাবে’। কিন্তু তাঁদের কোন উত্তর দিতে পারছেন না অপারেটররা। তাঁরা কৃষকদের অনুরোধে প্রতিদিনই কানসাট পল্লী বিদ্যুত কার্যালয়ে খোঁজ নিতে যাচ্ছেন। কিন্তু কবে বিদ্যুত পাওয়া যাবে, সেই উত্তর তারা দিতে পারছেন না।
এ প্রসঙ্গে গোরক্ষনাথপুর গভীর নলকূপের অপারেটর আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আগুনে কানসাট পল্লী বিদ্যুত অফিসের সাব-স্টেশনই শুধু পোড়েনি, পুড়েছে কয়েক হাজার কৃষকের কপাল।’
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, জামায়াত-শিবিরের তা-বে সবকিছু এমনভাবে ভস্মীভূত হয়েছে যে, কানসাট বিদ্যুতকেন্দ্র চালু এখন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে যন্ত্রপাতি কিনে এই বিদ্যুতকেন্দ্র চালু দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। বড় কথা হলো, জামায়াত-শিবির শুধু পল্লী বিদ্যুতকেন্দ্রে আগুন দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। সাব-স্টেশনের পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুতের কার্যালয়, আবাসিক ভবন, রেস্ট হাউস সবই ভস্মীভূত করেছে। বিদ্যুত সমিতির দফতর অবরুদ্ধ করে রেখে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে ওখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনও। ফলে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে নিঃস্ব হয়েছেন সেখানে কর্মরত ৪৩টি পরিবার। ফলে তাদের মনোবলও ভেঙ্গে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দীন বলেছেন, এমন নারকীয় তা-ব জীবনে কখনও দেখেননি। ধ্বংসযজ্ঞে দেখলে কোন মানুষ কান্না থামাতে পারবে না। ওইসব পরিবার কী ভাবে দিন কাটাচ্ছে, তা চোখে না দেখলে বোঝানো যাবে না।
তিনি বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ওখানে কর্মকর্তাদের মনোবল ভেঙ্গে গেছে। তারা ওখানে থেকে কাজ করার সাহস পাচ্ছে না।’
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এই বিদ্যুত উপকেন্দ্র কেন্দ্র এলাকায় রয়েছে ১৫০টি গভীর নলকূপ, ১ হাজার ৪৯৯টি অগভীর নলকূপ এবং ১৫টি লো-লিফট পাম্প। বিদ্যুতের অভাবে এসব সেচ যন্ত্র নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় প্রায় আট হাজার হেক্টর বোরো জমির চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। তাদের মতে, শুধু গভীর নলকূপের আওতাধীনই ১ হাজার ২৬৪ হেক্টর জমির বোরা ধান ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যেখানে ধান উৎপাদন হতো প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসে আমাদের প্রতিনিধি জানান, সেচের অভাবে সদ্য রোপণ করা বোরো ধান শুকিয়ে যাচ্ছে। কারণ ফসলের ক্ষেতে পানি নেই। চৈত্রের খরতাপে ফাটতে শুরু করেছে ওই সব জমি।
এ অবস্থায় বড় কৃষকরা যোগাড়-যন্ত্র করে দু’একটি ডিজেলচালিত সেচ পাম্প বসিয়ে তাঁদের ধান রক্ষার চেষ্টা করছেন। এতে অবশ্য ধানের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাঁদের সামনে আর কোন বিকল্প নেই। কিন্তু ছোট কৃষকরা অর্থের অভাবে ডিজেল পাম্প বসাতে পারছে না। ফলে পথে বসা ছাড়া তাঁদের আর কোন উপায় নেই।
এ প্রসঙ্গে রানীনগর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ হারুন মিয়া বলেন, মাঝারি কৃষকরা দু-একটি ডিজেলচালিত পাম্প বসিয়ে হয়ত কিছু ধান রক্ষা করতে পারবে, কিন্তু ছোট কৃষকরা পথে বসছে।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ঋণগ্রস্ত ছোট বর্গাচাষীদের। এদের অনেকেই ঋণ করে দেড় দুই বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছে। তাদের আশা ছিল, এই জমিতে যে ধান হতো তা দিয়ে ঋণ শোধ করে বাকি ধানে সংসার চলত। এখন ঋণের টাকা শোধ হবে কী ভাবে সেটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
শিবগঞ্জের চককীর্তি ইউনিয়নের বারোমাসিয়া গ্রামের জিয়াউর রহমান ধান রোপণ করেছেন ২০ বিঘা জমিতে। এই ধানই তাঁর আয়ের মূল উৎস। ধান থেকেই সংসারের খরচ যোগান তিনি। উপায় না দেখে ধান বাঁচাতে তিনি বসিয়েছেন ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র। কিন্তু এতে তাঁর উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার গুপ্তমানিক গ্রামের হোসেন আলী চোখের জ্বলে বললেন, ‘পানির অভাবে চারা শুকিয়ে মরছে। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই।’
শুধু হোসেন আলীই নয়, ওই এলাকার কয়েক হাজার কৃষকেরই একই দুরবস্থা। অনেক আশা নিয়ে তারা এবারও বোরো আবাদ করেছিলেন। মাঠের ফসলই হচ্ছে এই এলাকার দরিদ্র চাষীদের ভরসা। তাঁরা আশা করেছিলেন, এই বোরো চাল দিয়েই তাঁদের সারা বছর চলে যাবে। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে সেচ দিতে না পারায় তাঁরা এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন।
পানি না পেয়ে চৈত্রের খরতাপে পুড়ছে ওই এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমির বোরো ধান। এই পানি না পাওয়ার কারণ বিদ্যুত সরবরাহ না থাকা। আর বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকার একমাত্র কারণ জামায়াতে ইসলামীর তা-ব। কানসাট পল্লী বিদ্যুতকেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়া। এতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুড়িয়ে দেয় শিবগঞ্জের কানসাট পল্লী বিদ্যুতকেন্দ্র। ওই দিনের ধ্বংসযজ্ঞের পর বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার ৪৫ হাজার গ্রাহক। বিদ্যুতের অভাবে ২৩শ’ সেচ পাম্প অচল হয়ে পড়ায় প্রায় আট হাজার হেক্টর বোরো জমি তীব্র সেচ সঙ্কটে পড়েছে।
পানির অভাবে অসহায় কৃষকরা প্রতিদিন খোঁজ নিতে আসছেন নলকূপ স্টেশনে। তাঁদের একটাই জিজ্ঞাসা, ‘পানি কবে পাওয়া যাবে’। কিন্তু তাঁদের কোন উত্তর দিতে পারছেন না অপারেটররা। তাঁরা কৃষকদের অনুরোধে প্রতিদিনই কানসাট পল্লী বিদ্যুত কার্যালয়ে খোঁজ নিতে যাচ্ছেন। কিন্তু কবে বিদ্যুত পাওয়া যাবে, সেই উত্তর তারা দিতে পারছেন না।
এ প্রসঙ্গে গোরক্ষনাথপুর গভীর নলকূপের অপারেটর আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আগুনে কানসাট পল্লী বিদ্যুত অফিসের সাব-স্টেশনই শুধু পোড়েনি, পুড়েছে কয়েক হাজার কৃষকের কপাল।’
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, জামায়াত-শিবিরের তা-বে সবকিছু এমনভাবে ভস্মীভূত হয়েছে যে, কানসাট বিদ্যুতকেন্দ্র চালু এখন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে যন্ত্রপাতি কিনে এই বিদ্যুতকেন্দ্র চালু দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। বড় কথা হলো, জামায়াত-শিবির শুধু পল্লী বিদ্যুতকেন্দ্রে আগুন দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। সাব-স্টেশনের পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুতের কার্যালয়, আবাসিক ভবন, রেস্ট হাউস সবই ভস্মীভূত করেছে। বিদ্যুত সমিতির দফতর অবরুদ্ধ করে রেখে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে ওখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনও। ফলে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে নিঃস্ব হয়েছেন সেখানে কর্মরত ৪৩টি পরিবার। ফলে তাদের মনোবলও ভেঙ্গে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দীন বলেছেন, এমন নারকীয় তা-ব জীবনে কখনও দেখেননি। ধ্বংসযজ্ঞে দেখলে কোন মানুষ কান্না থামাতে পারবে না। ওইসব পরিবার কী ভাবে দিন কাটাচ্ছে, তা চোখে না দেখলে বোঝানো যাবে না।
তিনি বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ওখানে কর্মকর্তাদের মনোবল ভেঙ্গে গেছে। তারা ওখানে থেকে কাজ করার সাহস পাচ্ছে না।’
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এই বিদ্যুত উপকেন্দ্র কেন্দ্র এলাকায় রয়েছে ১৫০টি গভীর নলকূপ, ১ হাজার ৪৯৯টি অগভীর নলকূপ এবং ১৫টি লো-লিফট পাম্প। বিদ্যুতের অভাবে এসব সেচ যন্ত্র নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় প্রায় আট হাজার হেক্টর বোরো জমির চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। তাদের মতে, শুধু গভীর নলকূপের আওতাধীনই ১ হাজার ২৬৪ হেক্টর জমির বোরা ধান ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যেখানে ধান উৎপাদন হতো প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসে আমাদের প্রতিনিধি জানান, সেচের অভাবে সদ্য রোপণ করা বোরো ধান শুকিয়ে যাচ্ছে। কারণ ফসলের ক্ষেতে পানি নেই। চৈত্রের খরতাপে ফাটতে শুরু করেছে ওই সব জমি।
এ অবস্থায় বড় কৃষকরা যোগাড়-যন্ত্র করে দু’একটি ডিজেলচালিত সেচ পাম্প বসিয়ে তাঁদের ধান রক্ষার চেষ্টা করছেন। এতে অবশ্য ধানের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাঁদের সামনে আর কোন বিকল্প নেই। কিন্তু ছোট কৃষকরা অর্থের অভাবে ডিজেল পাম্প বসাতে পারছে না। ফলে পথে বসা ছাড়া তাঁদের আর কোন উপায় নেই।
এ প্রসঙ্গে রানীনগর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ হারুন মিয়া বলেন, মাঝারি কৃষকরা দু-একটি ডিজেলচালিত পাম্প বসিয়ে হয়ত কিছু ধান রক্ষা করতে পারবে, কিন্তু ছোট কৃষকরা পথে বসছে।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ঋণগ্রস্ত ছোট বর্গাচাষীদের। এদের অনেকেই ঋণ করে দেড় দুই বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছে। তাদের আশা ছিল, এই জমিতে যে ধান হতো তা দিয়ে ঋণ শোধ করে বাকি ধানে সংসার চলত। এখন ঋণের টাকা শোধ হবে কী ভাবে সেটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
শিবগঞ্জের চককীর্তি ইউনিয়নের বারোমাসিয়া গ্রামের জিয়াউর রহমান ধান রোপণ করেছেন ২০ বিঘা জমিতে। এই ধানই তাঁর আয়ের মূল উৎস। ধান থেকেই সংসারের খরচ যোগান তিনি। উপায় না দেখে ধান বাঁচাতে তিনি বসিয়েছেন ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র। কিন্তু এতে তাঁর উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন