শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৩

অহিংস হরতালে থমকে গেছে পরিবহনের চাকা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ডাকা ২৪ ঘণ্টার হরতালে সব ধরনের পরিবহনের চাকা থমকে গেছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে নগরী ভেতর কোনো যাত্রী পরিবহন চোখে পড়েনি। এমনকি বন্ধ ছিল বিআরটিসির বাসও। গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী থেকেও দূরপাল্লার কোনো পরিবহন ছেড়ে যায়নি।

অন্যান্য হরতালে জ্বালাও-পোড়াও, চলন্ত বাসে আগুন দেওয়া সত্ত্বেও নগরীতে যাত্রী পরিবহন চোখে পড়ে। কিন্তু এই হরতালে সব ধরনের গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ রয়েছে।

অনেকে বলছেন, হরতালের আগের দিন অথবা হরতাল চলাকালে গাড়িতে আগুন দেওয়ার কারণে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে। অনেক চালক আবার বলছেন, সরকার ও মালিক পক্ষের নিষেধাজ্ঞার কারণে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

সদরঘাট-কুড়িলগামী ভিক্টর পরিবহনের চালক কালু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, “মালিক ও নেতারা সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে গাড়ি চালানো বন্ধ করতে বলেছে, তাই আমরা বসে আছি।”

অনেকে আবার বলছেন, সংঘাত এড়াতে গাড়ি বন্ধ রাখা হয়েছে। ঢাকা-গোপালগঞ্জগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের ম্যানেজার মফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, “হরতালের আগে-পরে গাড়ি পোড়ানো হয় বলে আমরা গাড়ি বন্ধ রেখেছি।”

এছাড়া রাত ৮টায় গুলিস্তান ফুলবাড়িয়ায় বিআরটিসির সব কাউন্টার বন্ধ ছিল। অথচ অন্যান্য হরতালে বিআরটিসি যথারীতি চলতে দেখা গেছে।

রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতেও পণ্যবাহী ট্রাক তেমন একটা ঢুকতে দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, এ কারণে ৬ তারিখ সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম আরও একধাপ বাড়তে পারে।

যশোরের ট্রাক চালক তুহিন বলেন, “অন্যান্যবারের হরতালে রাস্তায় গাড়ি পোড়ানোয় এবার আমরা ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। স্থানীয় নেতা ও মালিক সমিতির পক্ষ থেকেও গাড়ি চালানোর জন্য নিষেধ আছে, যে কারণে আমরা ট্রাক চলাচলের কাজ বন্ধ রেখেছি।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন