রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৩

সম্প্রীতির বন্ধনে উঠে দাঁড়ালো তারুণ্য

বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে হাতে হাত ধরে সম্প্রীতির বন্ধন রচনা করে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি তুলেছে গণজাগরণ মঞ্চের তরুণ যুবারা।


বিকাল সাড়ে ৫টা বাজার ঠিক আগে মঞ্চ থেকে উল্টো গণণা শুরু করেন গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ব্লগার মারুফ রসুল।

এ সময় তিনি বলেন, “পৃথিবীর সব দেশের সব বাঙালি এক যোগে এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।”


উল্টো গণনা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যার যার অবস্থানে দাঁড়িয়ে পাশের ব্যক্তির হাতে হাত বেঁধে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে সংহতি জানায় জনতা।

বিকাল ৫টা ৩০ থেকে ৫টা ৩৩ মিনিট পর্যন্ত লাখো মানুষের এ কর্মসূচিতে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে নেমে আসে নিস্তব্ধতা।

তিন মিনিট পরে মারুফ রসুল সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সম্প্রীতি বন্ধন সমাপ্ত ঘোষণা করেন।

এ সময় ‘জয় বাংলা’, ‘জয় জনতা’, জয় শাহবাগ’ ধ্বনীতে প্রকম্পিত হয় প্রজন্ম চত্বর।

‘সম্প্রীতির বন্ধন’ কর্মসূচি ঘিরে পহেলা বৈশাখের সকাল থেকেই শাহবাগে চলে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের কর্মসূচিও রয়েছে শাহবাগের আন্দোলনকারীদের।

মঙ্গলপ্রদীপ না থাকলে সবাইকে মোমবাতি জ্বালানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে জাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে।

এর আগে সকাল ৬টায় গণজাগরণ মঞ্চ রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এবং সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদে আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।

যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে গণজাগরণ আন্দোলনের সূচনা হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।

তবে জামায়াতবিরোধী এই আন্দোলনে ‘অনৈসলামিক’ কর্মকাণ্ড হচ্ছে দাবি করে কয়েকটি ইসলামী দল শাহবাগের আন্দোলনের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেয়। চট্টগ্রামভিত্তিক হেফাজতে ইসলাম এর একটি।

গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, ইসলামসহ কোনো ধর্মের অনুভূতির ওপর কোনো ধরনের আঘাত করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। শুধু যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবি রয়েছে তাদের।

যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরোধিতাকারী জামায়াত মানুষের ধর্মীয় অনুর্ভতিকে পুঁজি করে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন শাহবাগের তরুণরা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন