শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৩

নাশকতার আশঙ্কায় ঢাকামুখী যান আসছে না

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: নাশকতার আশঙ্কায় ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের দূরপাল্লার যান চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে গেছে। বেশিরভাগ জেলা থেকে ঢাকামুখী কোনো যানবাহন আসছেনা।এমনকি ঢাকা থেকেও বাইরে যাচ্ছেনা তেমন যানবাহন। এর ফলে দেশব্যাপী একটা অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষকরে ভোগান্তিতে পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীরা।


শুক্রবার সকালে ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ, কমলাপুর, মহাখালী বাসস্ট্যান্ডের সব কাউন্টারে টিকেট বিক্রি বন্ধ রাখতে দেখা গেছে। ফলে রাজধানীর বাইরে তেমন কোনো যানবাহন ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে সকালের দিকে কাছাকাছি দূরত্বে বাসসহ বেশ কিছু গাড়ি ছেড়ে গেছে। ঢাকার মধ্যেও যান চলাচল অন্যদিনের চেয়ে বেশ কম মনে হচ্ছে।

হেফাজতে ইসলামের ঢাকামুখী লংমার্চের প্রতিবাদে ২৩টি সংগঠনের ডাকা ২৪ ঘণ্টার হরতাল ও শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের ডাকা দেশব্যাপী অবরোধের কারণে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানেও দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

হানিফ কাউন্টারের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে টিকেট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত টিকেট বিক্রি বন্ধ থাকবে। দেশের রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে মালিকরা ব্যবস্থা নেবেন।

মোটরশ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, হরতালের আগে বাসে হামলা ও ভাঙচুরের আশঙ্কায় তারা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।

এরইমধ্যে রাজশাহী, কিশোরগঞ্জ, বাগেরহাট, রংপুর, কুমিল্লা, ফেনী, মুন্সিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জসহ আরও বেশ কয়েকটি রুটের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তবে, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা বলছেন, নেতাকর্মীরা যাতে লংমার্চে না যেতে পারে সেজন্য পরিকল্পিতভাবে সব রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে হলেও তারা লংমার্চে যোগ দেবেন।

এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে হরতাল শুরু হলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সকাল থেকেই বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে কাউন্টারগুলো থেকে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার ভোরে বিভিন্ন এলাকা দেকে কয়েকটি বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেলেও সকাল ৯টার পর থেকে কোনো বাস ঢাকার দিকে আসছেনা বলে বিভিন্ন এলাকা থেকে খবর পাওয়া গেছে। এতে করে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

পরিবহন মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা থেকে হরতাল শুরু হলেও আগে থেকেই বাস ভাঙচুর শুরু হয়ে যায়। এজন্য সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সকাল থেকেই বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের মহাসচিব ও সাবেক এমপি মশিউর রহমান রাঙ্গা বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা গাড়ি বন্ধ রাখার জন্য লিখিত কোনো বিজ্ঞপ্তি দেইনি। তবে মালিকরা তাদের দামি দামি গাড়িতে হামলার আশঙ্কায় চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।”

এ বিষয়ে সরকারের কোনো চাপ নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন