মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০১৩

জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ করুন ॥ পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ

জবি রিপোর্টার ॥ বিএনপির সহযোগিতায় জামায়াত-শিবির চক্র দেশব্যাপী যে সন্ত্রাসী তা-ব, নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা করছে তার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ।
এক বিবৃতিতে সোমবার পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘ ৩৮ বছর পর যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায় প্রদান করায় ক্ষুব্ধ হয়েছে জামায়াত-শিবির। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে তারা গৃহযুদ্ধের হুঙ্কার দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। এ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জামায়াত-শিবির জাতীয় পতাকা ছিড়ে ফেলেছে। তারা শহীদ মিনার ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাংচুর করেছে। নারী ও শিশুকে প্ররোচিত করে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ ও সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে। বিবৃতিতে বর্তমানে এইচএসসি পরীক্ষা চলার সময়ে ঘোষিত হরতাল প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানানো হয়।
বিবৃতিতে পরিষদের সভাপতি বিচারপতি এএফএম মেছবাহউদ্দীন খান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক, বুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. প্রকৌশলী এসএম নজরুল ইসলাম, এ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম, বিএফইউজের সভাপতি সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএম এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সভাপতি আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক একেএম সাইদুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, প্রকৌশলী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতা অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক মিঞা, শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্টের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ, বাকবিশিস এর সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদার, বিএমএর মহাসচিব অধ্যাপক এম ইকবালসহ বিভিন্ন পেশার জাতীয় নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষর করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন