বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৩

মানি পানি বিরিয়ানি ও হেফাজতে জামায়াত ইসলামের রাজনীতি

মুনতাসীর মামুন
॥ দুই ॥
জামায়াতের টাকা খেয়ে যখন আন্দোলন শুরু করছে হেফাজত এরকম অভিযোগ ওঠার পরই হেফাজত নেতারা বলতে শুরু করেন জামায়াতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। তাদের নেতা আল্লামা শফি পত্রিকায় দু’টি সাক্ষাৎকার দিয়ে জোরের সঙ্গে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কালের কণ্ঠে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, জামায়াতের সহযোগী বলার চেয়ে তাকে গুলি করা হোক। দৈনিক সমকালের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন “হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত কখনও কোনো রাজনৈতিক বা কোন দলের পক্ষে বা বিপক্ষে যায়, এমন কোনো দাবি বা কর্মসূচি দিইনি আমরা। আমাদের এখনকার ১৩টি দাবিও ঈমান আকিদা ইসলাম ও নৈতিকতা সংশ্লিষ্ট। আসলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই একটি মহল হেফাজতে ইসলাম ও আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ও জঙ্গীবাদের কল্পনাটক সাজিয়ে বিষোদগার করছে। জামায়াত থেকে টাকা নেয়ার কল্পকাহিনীও বলছে কিছু মিডিয়া। আসলে যত মিথ্যাচার ও অপপ্রচারই করা হোক না কেন, দেশের ইসলামপ্রিয় জনতা এতে মোটেও বিভ্রান্ত হবে না। তবু জামায়াতের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণের চ্যালেঞ্জ দিলাম সরকারকে।”[৮-৪-২০১৩]
সমস্যা হলো ইউটিউবে একটি ফোনালাপ প্রচারের জন্য দেয়া হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে জামায়াত নেতা বুলবুল হেফাজতের এক নেতাকে ৫৬ মিনিট ধরে পরামর্শ দিচ্ছেন কীভাবে লংমার্চ করতে হবে। কীভাবে মঞ্চ ব্যবহার করতে হবে, ফখরুলের সঙ্গে দেখা করে লোক সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সর্বশেষে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে হবে। আপনি বলতে পারেন, ফোনালাপ হয়েছে, নির্দেশ দিয়েছে তো কী হয়েছে, জামায়াতের সঙ্গে তারা নেই। টাকা খাওয়া নিয়ে বলতে পারেন, টাকা খাইনি। প্রমাণ তো কেউ করতে পারবে না। হেফাজত ঘোষণা করেছিল ৩০ হাজার টাকা করে ১০০০ বাস তারা রিজার্ভের চিন্তা করেছিল। এখানেই লাগে ৩০ কোটি। ১০০০ বাসে ৫০ জন করে আনলে ৫০ হাজার লোক। তাদের থাকা খাওয়া বাবদ কত লাগে? এত বড় প্যান্ডেলের খরচ? হেফাজত করেন সাধারণ গরিব ঘরের মাদ্রাসার ছাত্ররা। তারা এত কোটি টাকা কী ভাবে যোগাড় করবেন? এখানে একটি প্রশ্ন করতে চাই। হেফাজতের নেতাদের কতজন আয়কর দেন? তাদের টিন নম্বর আছে কিনা? না থাকলে কেন নেই? এরা যদি আয়কর না দেন তাহলে আমরা কেন আয়কর দেব? আমার মনে হয়, তথ্য কমিশনে এ প্রশ্নটি করা উচিত।
জামায়াতে ইসলামের শত্রু বলে পরিচিত কওমী মাদ্রাসা। আল্লামা শফির হেফাজতকে সবাই তাই জানত। দুই কারণে তারা মওদুদী ইসলামের বিরুদ্ধে। এক মওদুদী ইসলামকে বিকৃত করেছেন। জামায়াত তাদের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক গুরু হিসেবে মানে মওদুদীকে। বাংলাদেশে মওদুদীবাদ প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন মওলানা রহিম। জামায়াতের প্রথম আমির তিনিও। গোলাম আযমকে তিনিই রিক্রুট করেছিলেন। মওদুদীর বিভিন্ন রচনা বাংলায় অনুবাদ করতে করতে মওলানা রহিম তার ভুল বুঝতে পারেন এবং এসব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তখন গোলাম আযমের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ তাকে দল থেকে বের করে দেয় এবং গোলাম আযম আমির হয়ে বসেন। মওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদকে মওলানা রহিম দুঃখ করে বলেছিলেন, ওরাতো আমাকে সুযোগ পেলে হত্যা করবে। মওদুদী ইসলাম কী ভাবে ফেতনা করে তার কয়েকটি উদাহরণ দিয়েছে বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ তৌহিদী জনতা সংহতি পরিষদ। আমি খানিকটা উদ্ধৃতি দিচ্ছি-
মওদুদী জামায়াতের মতাদর্শগত ভ্রষ্টতা নিছক রাজনৈতিক নয় বরং ইসলামের মৌল আক্বিদাগত। অতীত ইতিহাস সাক্ষী এরাই উগ্র জঙ্গীবাদের স্রষ্টা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের লালনকারী। নিম্নে এদের ভ্রষ্টতার কতিপয় উদাহরণ মওদুদী রচিত গ্রন্থাদি পেশ করা হলো-
আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে কটূক্তি
ইসলামের সুস্পষ্ট আক্বীদা হলো আল্লাহ তা’আলা সব ধরনের জুলুমের ঊর্ধ্বে। অথচ মওদুদী সাহেব আল্লাহর আইন যিনা করার শাস্তি রজমকে নিঃসন্দেহে জুলুম বলে উল্লেখ করেছেন। [তাফহীমাত-২ : ২৮১]
কুরআন শরীফ সম্পর্কে কটূক্তি
আল-কুরআনুল কারীম সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলার ঘোষণা হলো, এতে কোনরূপে বিকৃতি ও অস্পষ্টতা নেই। অথচ মওদুদী সাহেব বলেন, পবিত্র কুরআনুল কারীমের তিন চতুর্থাশেরও বেশি বরং এর মূল প্রাণটিই দৃষ্টির অন্তরাল হয়ে পড়েছে। [কুরআন কী চার বুনিয়াদী ইস্তেলাহে]
নিষ্পাপ নবী রাসূল সম্পর্কে মওদুদীর কটূক্তি
১.নবীগণ নিষ্পাপ নন, প্রত্যেক নবী গুণাহ করেছেন। [তাফহীমাত-২য় খ-, পৃষ্ঠা : ৪৩]
২.হযরত ইউনুস আ. নবুওয়াতের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি করেছেন। [তাফহীমুল কুরআন-২য় খ-, পৃষ্ঠা-১৯]
৩.হযরত মুহাম্মদ (সা) রিসালতের দায়িত্ব পালনে ত্রুটি করার কারণে আল্লাহ তা’আলা তাকে ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দেন। [তাফহীমুল কুরআন, সুরা নাসর]
হযরত ইউসুফ আ. সম্পর্কে কটূক্তি
মওদুদী সাহেব হযরত ইউসুফ আ. কে একজন স্বৈরশাসক হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, তিনি শুধুমাত্র একজন ডিক্টেটরই ছিলেন না। তিনি ইতালির মুসোলিনীর মতো একজন ডিক্টেটর ছিলেন। [তাফহীমাত-২য় খ-]
ন্যায়পরায়ণ সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে কটূক্তি
১. সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি নন এবং তারা অনুসরণ ও অনুকরণযোগ্য নয়। [দস্তুরে জামায়াতে ইসলামী, পৃষ্ঠা : ০৭]
২. হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা. দুর্বলমনা ও খেলাফতের দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ অযোগ্য ছিলেন। [তাজদীদ ও ইহইয়ায়ে দ্বীন : পৃষ্ঠা : ২২]
৩. হযরত আলী রা. এমন কিছু কাজ করেছেন যাকে অন্যায় বলা ছাড়া উপায় নেই। খেলাফত ও মুলকিয়াত-১৪৩]
পীর-আউলিয়া এবং ওলামা-মাখায়েখ সম্পর্কে কটূক্তি
১. বর্তমানে যিনি তাজদীদে দ্বীন বা দ্বীনের সংস্কারের কাজ করতে চাইবেন, তাকে অবশ্যই সুফীদের ভাষা, পরিভাষা, রূপক উপমা, পীর-মুরিদী এমন জিনিস থেকে মুসলমানদেরকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।
২. বহুমূত্র রোগীকে যেমন চিনি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়, মুসলমানদেরকে অনুরূপভাবেই পীর-আউলিয়া থেকে দূরে সরিয়ে রাখা প্রয়োজন। [তাজদীদ ও ইহইয়ায়ে দ্বীন, পৃষ্ঠা : ৯৩]
আল্লামা শফি দেওবন্দ তরিকার। এই তরিকার বিখ্যাত সাধক আল্লামা হোসাইন আহমদ মাদানী (র:)। আল্লামা শফি তার ছাত্র। খুব সম্ভব মওলানা আশরাফ আলী থানভীর ছাত্রও তিনি। দেওবন্দের অনেকে জামায়াতের বিরোধিতা করেছেন। এমনকি শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক, হাটহাজারী মাদ্রাসার মুফতি ফয়জুল্লাহ, পাকিস্তানের মুফতি মুহম্মদ শফি মওদুদীর ইসলাম সম্পর্কে নানা মন্তব্য করেছেন। কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছিÑ
১. মওদুদী জামায়াত পথভ্রষ্ট, তাদের আক্বীদা আহলেসুন্নাত ওয়াল জামা’আত ও কুরআন হাদিসের ্পরিপন্থী। তাদের দলে শরিক হওয়া, সাথে কাজ করা, সহযোগিতা করা জায়েজ হবে না। [আওলাদে রাসূল আল্লামা হোসাইন আহমদ মাদানী রহ.]
২. মওদুদী নাপাক মিশ্রিত কথা বলে। [হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ.]
৩. মওদুদী ইসলামী ফিকাহ [ইসলামী আইন শাস্ত্র] বাদ দিয়ে নিজের মনগড়া ফিকাহ তৈরি করেছেন। [আল্লামা ক্বারী তৈয়্যব রহ. দেওবন্দ, ভারত]
৪. মওদুদী জামায়াত কাদিয়ানী ফেতনা থেকেও মারাত্মক। [শায়খুল আদব মাওলানা ইজাজ আলী রহ.দেওবন্দ, ভারত]
৫. মওদুদী ফেতনা কাদিয়ানী ফেতনা থেকেও কম নয়। [ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম রহ.]
৬. জামায়াতে ইসলামী ও মওদুদীপন্থীদের ইমাম বানিয়ে নামাজ পড়া ঠিক জায়েজ হবে না। [মুফতি মুহাম্মদ শফী, পাকিস্তান]
৭. মওদুদী ধর্মভ্রষ্ট এবং ধর্মভ্রষ্ট মতবাদের প্রতি আহ্বানকারী। [ আল্লামা ইউসুফ-বিন-নূরী, পাকিস্তান]
৮. মওদুদী জামায়াতে যোগদান করা নাজায়েজ, তাদের পিছনে নামাজ পড়া মাকরুহে তাহরিমী। অবস্থাভেদে নাজায়েজেও বটে।-শর্ষিনা আলীয়া মাদরাসার ফতোয়া।
৯. মওদুদী আহলেসুন্নœাত ওয়াল জামা’আতের বিপরীত আক্বীদা পোষণ করেন। মওদুদী দলের সঙ্গে ওঠা বসা ও সংশ্রব রাখা মুসলমানদের জন্যজায়েজ নয়। [মুফতি ফয়জুল্লাহ রহ, হাটহাজারী মাদরাসা, চট্টগ্রাম]
১০. স্বার্থান্ধদের পক্ষে সবকিছু করাই সম্ভব। শুধু দুনিয়ার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার হীন মানসে তারা ইসলামের মূল ভিত্তিতে কুঠারাঘাত করে নড়বড়ে করে দিয়েছে। দ্বীনের সৌধকে। পরিতাপ এই জন্য যে, এক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে তারা ইসলামকেই। নিঃসন্দেহে তারা সীমালঙ্ঘনকারী, তারা বাতিল। শুধরে নেবার যোগ্যতা তারা হারিয়ে ফেলেছে। মিথ্যার বেসাতী করতে গিয়ে তারা সম্পূর্ণই অসত্যের ওপর অবস্থান নিয়েছে। বাতিলের ওপর কি জঘন্য দৃঢ়তা। এ কুখ্যাত সংকলক মাওলানা মওদুদী এবং তার পদলেহীরা দলিল প্রমাণ, সমালোচনা-অনুরোধ কোনটিরও মূল্য দেয় না। [শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক; বোখারী শরীফ পরিশিষ্ট,পৃষ্ঠা: ২৪২।
সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই মওলানা শফি জামায়াতের বিরোধিতা করবেন। এমনকি তিনি এবং হেফাজতের সম্পাদক এক ফতোয়ায় বলেছেন, ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখাও নাজায়েজ। কারণ, তারা সুদের ব্যবসা করে।
যুদ্ধাপরাধ বিচারের সঙ্গে সঙ্গে জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে। শাহবাগ থেকে সে দাবি সোচ্চার হয়েছে। কিন্তু হেফাজত এই দাবিতে সুর না মিলিয়ে যারা সেই দাবিতে সোচ্চার তাদের নাস্তিক বলেছে। এর মাজেজাটি কী? তাদের ১৩ দফায় এ দাবি নেই। তা হলে কি আল্লামা মাদানী ও আল্লামা থানভীর শিক্ষা বা দেওবন্দ তরিকা থেকে চ্যুত হয়েছে হেফাজত। এই জবাবটা পাওয়া জরুরী। জরুরী আরও এই কারণে যে, ৬ তারিখ হেফাজতের সভা থেকে এক বক্তা বলেছেন, “আমাদের ধমনীতে মাদানীর রক্ত।” (দেখুন, ইউটিউব]
ধমনীতে আল্লামা মাদানীর রক্ত থাকলে, জামায়াতের কার্যাবলীর সঙ্গে তাদের এত মিল কেন? আমাদের মুরতাদ ঘোষণা করে শাহবাগ সম্পর্কে কটূক্তিতে ভরা বিজ্ঞাপন কেন শুধু নয়াদিগন্ত; সংগ্রাম আর দেশে ছাপা হলো প্রথমে।
আপনারা জানেন কিনা জানি না, শাহরিয়ার কবিরের একটি চলচ্চিত্রে মওদুদীর এক পুত্র বলেছেন, তার বাবা তাদের বলেছিলেন, জামায়াতে ইসলাম থেকে দূরে থাকতে কারণ তা মতলবি ইসলাম। মওদুদী কোন পুত্রকে জামায়াতে আনেননি এমনকি মাদ্রাসায়ও পড়াননি। গোলাম আযমও পুত্রদের জামায়াতে আনেননি, মাদ্রাসায়ও পড়াননি, বরং নাছারাদের দেশে তাদের পাঠিয়ে দিয়েছেন। কট্টর ইসলামী রাষ্ট্র সুদান বা সৌদিতেও নয়। হেফাজত কি শেষে এই মতলবি ইসলাম মেনে নিল?
কেন একথা বলছি? তারও একটি উদাহরণ দিই। হেফাজতের সভা থেকে আরেকজন বক্তা বলেছেন, আল্লাহ হযরত মুসাকে (আঃ) যেমন পাঠিয়েছিলেন ফেরাউনকে ধ্বংস করার জন্য। তেমনি আল্লামা শফিকে পাঠিয়েছেন শাহবাগীদের ধ্বংস করার জন্য [দেখুন, ইউটিউব] নাউজুবিল্লাহ্ যে ব্লাসফেমি আইনের আবদার করছে হেফাজতে জামায়াতী ইসলাম, সেই ব্লাসফেমি আইনে তো তারাই অভিযুক্ত হবেন। সাধারণ মানুষ কিন্তু, ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে না। নীরবে যার যার ধর্ম তারা পালন করেন। ধর্ম নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেই তখন মিথ্যা বলে, অর্ধ সত্য বলে, বিভ্রান্তিকর কথা বলে মানুষকে উত্তেজিত করতে হয়। শাপলা চত্বরে হেফাজত ও ১৮ দলের মানুষজন দেখেই তাদের মাথা পাগল পাগল লাগা শুরু হয়েছে। পাঁচ লাখ লোক দেখলে কী হবে? হযরত মুসা (আ:) আল্লাহ্র সবচেয়ে প্রিয় নবী, যিনি আল্লাহকে চেয়েছিলেন এবং আল্লাহ তার ইচ্ছা পূরণ করেন। রসুল (দঃ) আল্লাহ্র হাবিব। দুটোতে পার্থক্য আছে। সেই মূসা (আ:) এর সঙ্গে হাটহাজারির এক মাদ্রাসার মৌলানা শফির তুলনা! আল্লাহ আর কত গোমরাহ দেখতে হবে।
হেফাজতের সঙ্গে যে জামায়াতের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে তার প্রমাণ সিলেটের তালেবান নেতা হাবিবুর রহমানের মঞ্চে উপস্থিতি। ইনি আফগানিস্তানে ছিলেন। দেশে ফিরে তিনি বাংলাদেশকেও তালেবান রাষ্ট্র বানানোর ইচ্ছায় ভক্ত অনুসারী নিয়ে কওমী মাদ্রাসাগুলোয় জঙ্গী প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেন। গত শনিবারের লংমার্চ পরবর্তী সমাবেশে মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, (শনিবারের) সমাবেশ থেকে এক ঘোষণাতেই নবুয়ত কায়েম হতে পারে।”
[আমাদের সময় ৮.৪.১৩] তালেবানদের সঙ্গে জামায়াতের গভীর সম্পর্ক। জঙ্গীদের সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ। শাহরিয়ার কবিরের এক প্রামাণ্যচিত্রে দেখান হয়েছে, কওমী মাদ্রাসাগুলোতে বিশেষ করে হাটহাজারি মাদ্রাসায় কীভাবে জঙ্গী উৎপাদিত হচ্ছে। মওলানা শফির উল্লিখিত সাক্ষাৎকারে যা বলেছেন এবং আমি যে বিবরণ দিলাম তাতে কি মনে হয় না তিনি সত্য এড়িয়ে গেছেন?
(চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন