ঢাকা: হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি বাংলাদেশের
মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান পরিপন্থি বলে উল্লেখ করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র
ডা. ইমরান এইচ সরকার।
তিনি বলেন, “হেফাজতে ইসলাম ৬ এপ্রিল যে ১৩ দফা দাবি করেছে, তা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান পরিপন্থি।”
তিনি বলেন, “হেফাজতে ইসলাম ৬ এপ্রিল যে ১৩ দফা দাবি করেছে, তা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান পরিপন্থি।”
তিনি বলেন, “আমরা সবাই শান্তির কথা বলে এসেছি। আলোচনার কথা বলে এসেছি। কিন্তু একটি পক্ষ সব সময়ই উস্কানি দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আমাদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে চেয়েছে।”
মঙ্গলবার বিকেলে গণজাগরণ মঞ্চ আয়োজিত লাঠিমিছিল শেষে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বিপুল সংখ্যক মানুষের একটি লাঠিমিছিল গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মৎস্যভবন হয়ে প্রেসক্লাব, তোপখানা, পল্টন মোড় হয়ে আবার প্রেসক্লাব, শিক্ষাভবন, দোয়েল চত্বর, টিএসসি হয়ে গণজাগরণ মঞ্চে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলে উল্লেখযোগ্য সংখক নারী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে বিভিন্ন বয়েসী উচ্চ শিক্ষিত নারীসহ শ্রমজীবী নারীরাও অংশ নেন।
৬ এপ্রিল গণজাগরণ মঞ্চে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “৬ এপ্রিল আমরা যখন শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম, তখন হেফাজতের সমাবেশ শেষে উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী জামায়াত-শিবির আমাদের গণজাগরণ মঞ্চে হামলা চালায়। সাধারণ মানুষ তা সাহসের সঙ্গে প্রতিহত করে।”
তিনি বলেন, “আমরা এখনও শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই। কিন্তু যদি আমাদের ওপর হামলা আসে, তবে আমাদের হাতে যে লাঠি উঠে এসেছে, তা দিয়ে আমরা প্রতিহত করবো। তখন আমাদের আন্দোলন আর অহিংস থাকবে না।”
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফার সমালোচনা করে ডা. ইমরান বলেন, “হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধানের পরিপন্থি। হেফাজতে ইসলাম আমাদের দেশকে তালিবানি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। কিন্তু, তরুণ সমাজ তা কোনো দিনও হতে দেবে না।”
জামায়াত-শিবির ও উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীকে রাজপথে প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে ডা. ইমরান বলেন, “বাংলাদেশে নারীর অগ্রসরমানতা বিশ্বে মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু মৌলবাদী গোষ্ঠী তা বাধাগ্রস্ত করতে চায়। মধ্যযুগীয় ব্যবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চায়। কিন্তু আমরা রাস্তায় থেকেই তার জবাব দিতে চাই। রাস্তায় থেকে তা প্রতিহত করবো।”
তিনি জানান, আগামী ১৪ এপ্রিল মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল থেকেই গণজাগরণ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। এছাড়া ১০ এপ্রিল বিকেল ৪টায় গণজাগরণ মঞ্চে বুকপকেট শিরোনামে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে নতুন প্রজন্মের চিঠি পাঠ করা হবে।
এসব কর্মসূচিতে সবাইকে অংশ নিতে সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন