সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৩

হরতালের প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চের জাতীয় পতাকা মিছিল

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম: হেফাজতের প্রত্যাখ্যান করে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করেছে চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চ। পতাকা মিছিলের পর হরতালে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হেফাজতের হামলা, ভাংচুরসহ সহিংস তান্ডবের প্রতিবাদে লাঠি মিছিলও করেছে তারা।
সোমবার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে স্থাপিত গণজাগরণ মঞ্চ থেকে এ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে প্রত্যেকের হাতে ছিল লাল-সবুজের পতাকা। কণ্ঠে ছিল ছিল যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবি।

মিছিলটি জামালখান থেকে চেরাগী পাহাড় মোড় হয়ে শহীদ মিনারে যাওয়ার কথা থাকলেও পুলিশের অনুরোধে চেরাগি পাহাড়েই তা শেষ হয়।
এর আগে বিকেল পৌনে ৩টা থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা গণজাগরণ মঞ্চে এসে জমায়েত হন। সেখানে অবস্থান নিয়ে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সোমবারের কর্মসূচি শুরু হয়। জাগরণের গান, কবিতায়, কথামালা এবং স্লোগানে দাবি উঠে আসে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের।
গণজাগরণ মঞ্চ আয়োজিত পতাকা মিছিলে সংহতি জানিয়ে ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশন, যুবলীগ, যুব মৈত্রী, সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী, আবৃত্তি সংগঠন প্রমা, বোধন, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী তরুণ উদ্যোগসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেন।
এদিকে পতাকা মিছিল শেষে গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা নগরীর চেরাগি পাহাড় এলাকা থেকে লাঠি মিছিল বের করে। তারা লাঠি মিছিল নিয়ে ডিসি হিল মোড় হয়ে নিউমার্কেটে গিয়ে কর্মসূচী শেষ করেন।
নিউমার্কেট মোড়ে গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক ও সাবেক ছাত্রনেতা মফিজুর রহমান, গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়কারী শরীফ চৌহান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফারহান আহমেদ, হাসান মুরাদ, যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক কায়সার আলম, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল হোসেন, আবু তোরাব পরশ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশ পরিচালনা করেন আবৃত্তি শিল্পী ও গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক রাশেদ হাসান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন