শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৩

হেফাজত কেন মাহমুদুরের মুক্তি দাবি করবে: হানিফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, একটি পত্রিকার সম্পাদক তার নিজ কর্মকাণ্ডের জন্য গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু হেফাজতে ইসলাম কেন তার মুক্তি দাবি করবে? তবে টাকা-পয়সা লেনদেনের যে কানাঘুষা চলছে সেটা কি সত্যি?

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হানিফ বলেন, “হেফাজতে ইসলাম একটি ধর্মীয় সংগঠন। আমরা তাদের শ্রদ্ধা করি, যারা ধর্মের কথা বলবে। কিন্তু তারা রাজনীতি করুক কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করুক এটা মানুষ দেখতে চায় না।”

তিনি বলেন, “হেফাজতের দাবি থাকতে পারে। আমরা বলেছি তাদের দাবি মধ্যযুগীয়। আমর‍া এটাকে খুব একটা সমর্থন করি না।”

বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশে বিএনপি নেতাদের দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে হানিফ বলেন, “ফটিকছড়িতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীদের শান্তিপ‍ূর্ণ শোভাযাত্রায় হামলা করে ৫ জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অথচ বিএনপি এর কোনো প্রতিবাদ জানায়নি। তারা এ ঘটনায় আরো সাহসিকতার জোগান দিয়েছে।”

বিএনপি নেতাদের রাজনীতিক ট্রেডে সন্ত্রাসীদের খতায় নাম লেখার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, “যারা এ ধরণের কথা বলেন এবং কাজ করেন তাদের জনগণ রাজনীতিবিদ নয় সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করবে। আপনারা হয়তো মতাদর্শ পরিবর্তন করুন, না হয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করুন। মানুষ আপনাদের জন্য দেশের সব রাজনীতিবিদকে ঘৃণা করে।”

হানিফ বলেন, “নির্বাচন যদি আপনাদের লক্ষ্য হয় তাহলে আমরা কেন এক সঙ্গে সামনের দিকে এগুচ্ছি না। আপনারা বলেছেন, আমাদের ওপর আপনাদের আস্থা নেই, কিন্তু কেন? আমরা তো এমন কোনো কাজ করিনি যে আস্থাহীনতার সৃষ্টি হবে। বরং আপনারা এমন কাজ করছেন আপনাদের ওপর আমাদের আস্থা থাকার কথা নয়।”

তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের মানুষ আর চায়না মন্তব্য করে হানিফ বলেন, “আসলে আপনারা কারচুপি করতে করতে মানুষিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এজন্য আপনারা কারো প্রতি আস্থা রাখতে পারছেন না। আগামী ৫ মে মালয়েশিয়ায় নির্বাচন হবে। সেখানে গিয়ে দেখুন, নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তারানা হালিমের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, অভিনেতা পিযুষ বন্দোপাধ্যায়, এটিএম শামসুজ্জামান, সৈয়দ হাসান ইমাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদ শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কুতিক জোটের সহ-সভাপতি মোবারক আলী সিকদার প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন