সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৩

সাংবাদিকদের যথেচ্ছ পিটিয়ে এখন দুঃখ প্রকাশ হেফাজতের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আমাদের সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক নেই বলে দাবি করলেও আবার ১৮ দলীয় জোটের জামায়ত মদদপুষ্ট নেতাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করল হেফাজতে ইসলাম। আর সংবাদ সম্মেলনে হেফাজত নেতারা শনিবারের মহাসমাবেশের সময় নাদিরা শারমিনসহ যে সকল সংবাদকর্মীর ওপর হামলা, শারীরিক নির্যাতনের দায় অস্বীকার করলেন। তাদের দাবি, আমাদের মনে হয় মহাসমাবেশে পাঞ্জাবি-পায়জামা এবং টুপিওয়ালা কিছু দুষ্কৃতিকারী সরকারী সহযোগিতায় এ হামলা করেছে। এ হামলাকারীদের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। তবে ঘটনার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।

রবিবার বিকেলে রাজধানীর লালবাগের শাহী মসজিদে এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা নূর হোসেন কাসেমী এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের ব্যানারে সক্রিয় ১৮ দলীয় জোটের উগ্রবাদী দলগুলোর অনেক নেতা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা ফয়জুল্লাহ, হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা সামছুল ইসলাম হামেদী, ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মোস্তফা আজাদ, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা আবুল হাছনাত আমিনী প্রমুখ। মাওলানা নূর হোসেন কাসেমী বলেন, আমাদের মহাসমাবেশে পাঞ্জাবি-পায়জামা এবং টুপিওয়ালা কিছু দুষ্কৃতিকারী সরকারী সহযোগিতায় এ হামলা করেছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। মহাসমাবেশের সংবাদ পরিবেশন ও সহযোগিতা করার জন্য সংবাদকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি। কাসেমী বলেন, তসবি ও জায়নামাজ হাতে নিয়ে সোমবার রাজপথে শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করবেন হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। আল্লাহ ও রাসুলের কটূক্তিকারীদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি এবং লংমার্চে বাধাদানের প্রতিবাদে হরতাল হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এ হরতালে আমরা কোন গাড়ি ভাংচুর, গাড়িতে আগুন বা দোকানপাট ভাংচুর করব না। সারাদেশে আমাদের অবস্থান থাকবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। আমাদের হরতালে যদি কোন অপ্রীতিকর বা সহিংস ঘটনা ঘটানো হয়, এর দায় সরকারকে নিতে হবে। পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের উদ্দেশে নূর হোসেন কাসেমী বলেন, ইমানী দায়িত্ব থেকে হরতালে আপনারা গাড়ি বন্ধ রাখবেন। রাস্তায় গাড়ি নামালে যদি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ হয় তাহলে এর দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। লঞ্চ, ট্রেন বন্ধ রেখে হরতাল পালনে সহযোগিতার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান কাসেমী। একই সঙ্গে তিনি ইমানী দায়িত্ব থেকে অহিংস হরতাল পালনে সহযোগিতার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শনিবারের মহাসমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে সরকার দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের নানাভাবে হয়রানি, গ্রেফতার ও নির্যাতন করেছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনার জের ধরে শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দুটি মাদ্রাসা আগুন দিয়ে পুড়ে দিয়েছে। এদিকে সোমবার (আজ) শান্তিপূর্ণ হরতাল দাবি করলেও রবিবার সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীতে গাড়ি ভাংচুর শুরু করেছে হেফাজত কর্মীরা। তাদের সঙ্গে আছে শিবির ও জামায়াত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন