শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৩

গণজাগরণ মঞ্চে দফায় দফায় হামলার চেষ্টা: আটক ৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: হেফাজত ইসলামের লংমার্চ ও মহাসমাবেশ থেকে শাহবাগের গণজাগরণ চত্বরে দফায় দফায় হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে গণজাগরণ কর্মী ও পুলিশের যৌথ চেষ্টায় তা করতে পারেনি হেফাজতের লোকজন।
গণজাগরণ কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, হেফাজত ও শিবির ক্যাডাররাই এ হামলা চেষ্টার সঙ্গে জড়িত।
গণজাগরণ কর্মী ও হেফাজত কর্মীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার বিকেল ৫টা থেকে প্রায় ৬টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এই হামলা চেষ্টার সঙ্গে জড়িত পাঁচ শিবিরকর্মীকে আটক করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও গণজাগরণ কর্মীরা জানান, বিকেল ৫টার পর পর হেফাজতে ইসলাম ও শিবিরের একটি দল পল্টন থেকে শাহবাগের উদ্দেশে মিছিলসহ রওনা হয়। প্রেসক্লাবে পুলিশের ব্যারিকেড থাকা সত্ত্বেও ফুটপাত হয়ে তারা হাইকোর্টের রাস্তা দিয়ে শাহবাগের দিকে আসতে থাকে। তারা মৎস্য ভবনে পুলিশের বাধা মুখে সিঁড়ি পার হয়ে রমনা পার্কের ভেতরে প্রবেশ করে।

সেখানে সংগঠিত হয়ে মূল রাস্তায় এসে হাতে লাঠিসোটা নিয়ে শাহবাগের দিকে আসতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে টেনিস কমপ্লেক্সের সামনে এসেই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় গণজাগরণ কর্মীরা তা দেখতে পেয়ে তারাও হাতে লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশ হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের প্রতিহত করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়লে পিছু হটে তারা। এক পর্যায়ে রমনা পার্কের ভেতরে ঢুকে যায় তারা।

একটু পর হেফাজতের কর্মীরা আবারও সংগঠিত হয়ে রমনা পার্ক থেকে বেরিয়ে গণজাগরণ কর্মীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও ধাওয়া দেয়। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা কিছুটা পিছু হটলেও পরে আবারও প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পুলিশ হেফাজত কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে আবারও রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল মারতে থাকে। পরে অতিরিক্তি আরো পুলিশ ও র‌্যাব হেফাজত কর্মীদের ধাওয়া করলে তারা রমনা পার্কের মধ্যে ঢুকে যায়। এ সময় মৎস্যভবন থেকে একদল পুলিশ রমনা পার্কের ভেতরে ঢুকে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করতে থাকে। এভাবে চলতে থাকে প্রায় এক ঘণ্টা। ‌এরই এক পর্যায়ে হেফাজত ও শিবির কর্মীরা রমনা পার্কের বিভিন্ন গেট দিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে সেখানে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা ৫ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।

আটক ব্যক্তিরা হচ্ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ধানমন্ডি শাখার আইন বিভাগের ছাত্র ও শিবির কর্মী জাকির হোসেন (২০), শিপন (২২), নবী হোসেন (২০), সোহেল (২০) এবং নাজমুল হোসেন (২২)।

এদিকে হেফাজত ও শিবির কর্মীদের হামলার চেষ্টার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা। তারা বলেন, “পুলিশ প্রথমেই তাদের প্রতিহত করতো পারতো। কিন্তু পুলিশ তা করেনি।”

পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হাসান বাংলানিউজকে বলেন, “মিছিলটি মৎস্যভবন, কাকরাইল হয়ে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মী রমনা পার্কের ভেতরে ঢুকে শাহবাগের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে তাদের প্রতিহত করা হয়েছে।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন