নারীর অগ্রযাত্রা বিরোধী বক্তব্য এবং নারী সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করায় হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে নিউ ইয়র্কে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন প্রবাসী নারীরা।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকালে নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
সমাবেশে
বক্তারা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে
জেগে ওঠা গণজাগরণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাওয়া হেফাজতে ইসলামের বক্তব্যে
প্রবাসী বাংলাদেশি নারীরা চরম ক্ষুব্ধ।
ধর্মীয় জিকির তুলে উগ্রবাদী এ গোষ্ঠী স্বাধীনতা, সংবিধান ও নারীর সব অর্জন মুছে ফেলার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
বক্তারা বলেন, ধর্মান্ধ হেফাজতীদের শক্তহাতে প্রতিহত করা সম্ভব না হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে না।
সমাবেশে
অভিনেত্রী ও আবৃত্তিকার লুৎফুন্নাহার লতা, সমাজকর্মী সেলিনা মোমেন,
মুর্শেদা জামান, ফরিদা ইয়াসমীন, সবিতা দাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এদিকে,
যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার
জাতিসংঘের সামনে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে ইউএস কমিটি ফর সেক্যুলার
ডেমক্র্যাটিক বাংলাদেশ।
গ্রেপ্তার ব্লগারদের মুক্তি এবং হেফাজতে ইসলামের তৎপরতা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানিয়েছে তারা।
এসব
দাবিতে আগামী ২১ এপ্রিল পাঁচ মহাদেশের ৬০টি শহরের গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠকদের
মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে প্রবাসীদের এই সংগঠন।
মঙ্গলবার সকালে নিউ ইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা।
সংবাদ
সম্মেলনে বলা হয়, ‘কথিত হেফাজতে ইসলামের সাথে জামায়াতে ইসলামীর ৩০০ কোটি
টাকার লেনদেন হয়েছে এবং সে অর্থেই জামায়াত-শিবিরের লোকজন হেফাজতের
ব্যানারে দেশব্যাপী তাণ্ডব শুরু করেছে।”
তারা বলেন, হেফাজতের ১৩ দফার প্রতিটি দাবিই রাজনৈতিক। তাই তারা কখনোই ধর্মীয় বা অরাজনৈতিক কোনো সংগঠন হতে পারে না।
যুক্তরাষ্ট্রে
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সম্প্রতি
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে ইউএস কমিটি ফর সেক্যুলার
ডেমক্র্যাটিক বাংলাদেশ গঠিত হয়।
নিউজার্সী অঙ্গরাজ্যের একটি শহরের কাউন্সিলর ড. নূরন্নবীকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন