বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৩

গণজাগরণ এবং তাজউদ্দিনের দুঃস্বপ্ন

আবু হাসান শাহরিয়ার | আমাদের সময়
শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর থেকে আসা নৈঃশব্দ্যের ডাকে সারা দেশ ৩ মিনিটের জন্য অপরূপ মৌনব্রত পালন করছে, ওই চত্বর থেকে আসা প্রদীপ প্রজ্বালনের ডাকে গোটা বাংলাদেশ আলোর ঝর্ণাধারায় রূপান্তরিত হচ্ছে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সোচ্চার তারুণ্যের সঙ্গে শ্রেণী-পেশা-লিঙ্গ-বয়স নির্বিশেষে অগণন মানুষ প্রতিদিন সংহতি প্রকাশ করছে— এগুলো খুব বেশিদিন আগের ঘটনা নয়। বাঙালি জাতির ৪২ বছরের ঘুম ভাঙিয়ে দিয়ে গেছে দিন-রাত্রি চব্বিশ ঘণ্টা জেগে থাকা এক অন্যরকম শাহবাগ। চোখ খুলে দিয়ে গেছে শিশু-কিশোরদেরও। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের বুকে বপন করে দিয়েছে অফুরন্ত দেশপ্রেম। 

যাদের ফাঁসির দাবিতে এই গণজাগরণ, বিষয়টিকে তারা যে ভালো চোখে দেখবেন না, সেটাই স্বাভাবিক। তাই প্রজন্ম চত্বরসৃষ্ট অহিংস গণজাগরণের পর দেশজুড়ে নেমে এল জামায়াত-শিবিরসৃষ্ট সহিংস নৈরাজ্য। জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষিত হওয়ার দিন থেকে এর শুরু। প্রজন্ম চত্বরের এক ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা, বাসে-ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘু পরিবারের ঘর-বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, মন্দির ভাঙচুর, পুলিশহত্যা, শহীদ মিনার ভাঙচুর, জাতীয় পতাকা পোড়ানো— নাশকতার কিছুই বাদ যায়নি। এ সময় আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীও ছিল মারমুখী। ফলে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে পুলিশসহ শতাধিক মানুষের প্রাণনাশ।
যা না-বললেই নয়, সহিংসতাকে উস্কে দিতে পরিকল্পিতভাবে ধর্মকে ব্যবহার করেছে জামায়াত। একাত্তরেও একই কাজ করেছিল দলটি। প্রজন্ম চত্বরের ব্লগার রাজীবহত্যা দিয়ে এর শুরু। শত্রুপক্ষের কাউকে আগে কুপিয়ে মারো, তারপর মহানবী (সা.) কে জড়িয়ে অপপ্রচার চালাও, উস্কে দাও ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষকে, চাঁদে সাঈদীকে দেখতে পাওয়া গেছে মর্মে জেহাদি উন্মাদনা জুগিয়ে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করো নিরীহ জনসাধারণকে— দলের যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে এমন  নীলনকশাই এঁটেছিল জামায়াত। তাতে অনেকখানি সফলও হয়েছে দলটি। তবে সাঈদীকে চাঁদে দেখতে পাওয়ার গুজবের পর থেকে মানুষ একটু-একটু করে বুঝতে শুরু করেছে সব। ইতোমধ্যেই বিবেকবান লোকজন বলতে শুরু করেছেন, অভিযুক্ত ব্লগার যদি সত্যি-সত্যিই ওইরকম কিছু করে থাকেন, তার ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদ করা যেত। তা না-করে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হল কেন? একইরকম একটি হত্যাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল চট্টগ্রামের ১০ শীর্ষ আলেমের বিরুদ্ধেও। পরিকল্পনাটি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর ক্ষোভে-প্রতিবাদে আলেমরা রাজপথে নেমে আসেন। শুরুতে তারা জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকলেও এখন ধর্ম-অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর। তাতে দোষের কিছু দেখি না। ব্লগার রাজীব যদি ধর্ম-অবমাননাকর কোনও কাজ করে থাকেন, তার শাস্তি আলেমরা দাবি করতেই পারেন। তাই বলে প্রজন্ম চত্বরের সবাইকে নাস্তিক বলা কি ঠিক? ওই চত্বরে গিয়ে তো অনেক অনেক আলেমও সংহতি প্রকাশ করে এসেছেন। তারাও নাস্তিক?
দুই.
শান্তির ‘ইসলাম’-এর সঙ্গে ‘ইনসাফ’-এর সম্পর্ক খুবই নিবিড়। বিনা প্রমাণে কাউকে নাস্তিক-কাফের বলা ইসলাম সমর্থন করে না। বিনা বিচারে কাউকে কুপিয়ে হত্যা করা তো নয়ই। বরং বিধর্মীকেও হেফাজত করার কথা বলা হয়েছে ইসলামে।
মাওলানা আব্দুল জব্বার (কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের মহাসচিব), মাওলানা আবুল ফাতাহ মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, মুফতি মাহফুজুল হক (শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের ছেলে), লেখক-শিক্ষাবিদ মাওলানা মুহম্মদ যাইনুল আবেদীনের মতো কওমির অনেক গুণী আলেমকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তাদের আমন্ত্রণে বেফাকের ‘ভাষা-সাহিত্য-সাংবাদিকতা কোর্স’-এ প্রশিক্ষক হিসেবেও গেছি একাধিকবার। সেই সুবাদে কওমি মাদরাসার  অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আমাকে ‘ওস্তাদ’ সম্বোধনও করেন। আমার বিশ্বাস, শান্তির ‘ইসলাম’কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সহিংসতায় ব্যবহূত হতে দেখলে তারাও আমার মতো আহত হন।  
তিন.
আগেই বলেছি, সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার দিন জামায়াত-শিবিরের প্রাণঘাতী নৈরাজ্যের শুরু। প্রথম দিনের সহিংসতাতেই প্রায় অর্ধশত মানুষের প্রাণহানি ঘটে। নিহতের তালিকায় সাধারণ মানুষের সংখ্যাই বেশি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু কী দেখল দেশবাসী? শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পরও না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, না সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কেউ কোনও বক্তব্য বা বিবৃতি দিয়ে আতঙ্কিত মানুষকে অভয় দিচ্ছেন।
এইসময় বিরোধী দলীয় নেত্রী হঠাত্ বিদেশসফর থেকে ফিরেই সংবাদ সম্মেলন ডেকে বসলেন। দেশে ‘গণহত্যা চলছে’ মর্মে এক জ্বালাময়ী বক্তব্য দিলেন তিনি সেই সম্মেলনে। সে-বক্তব্যের সারকথা এই ছিল যে, কোনও  দল দেশজুড়ে নৈরাজ্য-নাশকতা চালায় চালাক, আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কাজ তা চুপচাপ দেখে যাওয়া। বিরোধী দলীয় নেত্রীর এমন বক্তব্যে নাশকতা আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। বগুড়াসহ দেশের কোথাও-কোথাও তা একাত্তরের ভয়াবহতাকেও ছাড়িয়ে যায়। 
চার.
যদ্দুর জানি, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা চারটি বলয়ে বিন্যস্ত— এক. বহির্দেশীয় শত্রু থেকে দেশকে রক্ষা, দুই. সীমান্তবর্তী নিরাপত্তা, তিন. অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, চার. কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। জামায়াত-শিবিরসৃষ্ট নৈরাজ্য-নাশকতার পেছনে কোনও বিদেশি ষড়যন্ত্র যদি থাকেও তা কোনও বহির্দেশীয় শত্রুর আক্রমণ ছিল না। সীমান্তবর্তী কোনও দেশও এর জন্য দায়ী নয়। এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সংকট। জাতীয় নিরাপত্তাজনিত যে কোনও সংকটে কেন্দ্রকে সুরক্ষিত রাখাই আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর প্রথম কর্তব্য। কেন্দ্র মানে রাষ্ট্রের প্রধান তিন খুঁটি— আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগ। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীবর্গ, স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেত্রী, সংসদ সদস্যগণ, প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতিগণ, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বলয়ে অবস্থান করেন। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহও কেন্দ্রের অধীন। জামায়াত-শিবিরসৃষ্ট নৈরাজ্য-নাশকতাকালে কেবল কেন্দ্রেরই সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পেরেছিল আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। সে কারণেই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটলেও শাসকবর্গের গায়ে ফুলের টোকাটি পর্যন্ত লাগেনি। এখানেই উল্লেখ করা ভালো, গণমাধ্যমও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বলয়ের অংশ হওয়া সত্ত্বেও সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তায় এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রের কোনও কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়েনি।  নিরাপত্তার জন্য পুলিশ চেয়েও পায়নি অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রের নিরাপত্তারই যখন এই অবস্থা, তখন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আর কতটাই বা জোরালো হতে পারে? সে-কারণেই অতিমাত্রায় নৈরাজ্য-নাশকতা চালাতে পেরেছে জামায়াত। সে কারণেই এত প্রাণহানি। যথাসময়ে যথাব্যবস্থা নিলে হয়তো জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানো যেত। প্রশ্ন এই যে, সেই নিরাপত্তা কি পরবর্তী সময়েও নিশ্চিত করা হয়েছে? তবে যে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার কথা বলা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে? আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী আছে কী জন্য? সরকারের পাল্টাপাল্টি বিএনপিও একই ধরনের কমিটিগঠনের কথা বলছে। যেহেতু নৈরাজ্য-নাশকতার হোতা জামায়াতের সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি, সেহেতু ধরে নেওয়া যায়, সামনে আরও ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে। সে-ভয়াবহতা থেকে শাসকগণ রেহাই পাবেন তো? বিরোধী দলীয় নেত্রীরও সুরক্ষা হবে তো? এর উত্তর মধ্যযুগের কবি ভারতচন্দ্রই দিয়ে গেছেন— ‘নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়’।
পাঁচ.
যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালে সরাসরি পাশে না-পেলেও অপপ্রচারের মাধ্যমে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে শাহবাগসৃষ্ট গণজাগরণের  বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও উস্কে দিতে সক্ষম হয়েছে জামায়াত। ভোট ও জোট বন্ধু বিএনপি এখন প্রকাশ্যেই দলটির পাশে আছে। এ কারণে নতুন করে নৈরাজ্য সৃষ্টির আগে একটু জিরিয়ে নিতে পারছেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এর মধ্যে তাদের অনেককেই আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিকে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠছে জোরেশোরে। এত প্রতিকূলতায় জামায়াত-শিবিরকর্মীদেরও তো আত্মরক্ষার উপায় খুঁজতে হবে, নাকি? তাই সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে জোরালো বিরোধ বাঁধিয়ে নতুন করে দল গোছানোর বা নতুন নামে আত্মপ্রকাশের পরিকল্পনা আঁটছে তারা— গণমাধ্যমে এ খবরও এসেছে। জামায়াতের সেই পরিকল্পনা সরকারই  বাস্তবায়ন করেছে গত ১১ মার্চ— বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি তাণ্ডব চালিয়ে। এটা মোটেও গণতান্ত্রিক আচরণ নয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের বন্ধ ঘরের দরজা যেভাবে হাতুড়িপেটা করে ভাঙা হয়েছে, তা-ও কোনও বিবেকবান মানুষ সমর্থন করতে পারেন না। অথচ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেই হামলাকে যৌক্তিক বলেছেন (ধন্যবাদ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফকে, ঘটনাটিকে তিনি সমর্থন করেননি)।
পাদটীকা:
৬২ বছর আগের কথা। মুক্তিযুদ্ধের মহান সংগঠক তাজউদ্দিন আহমদ একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন। স্বপ্ন না বলে দুঃস্বপ্ন বলাই ভালো। ২ খণ্ডে প্রকাশিত ‘তাজউদ্দিন আহমদের ডায়েরী’ বইয়ের প্রথম খণ্ড থেকে উদ্ধার করা যাক সেই দুঃস্বপ্নের কথা—  
৪/৯/৫০ তারিখ রাতে স্বপ্ন দেখলাম : তিন জনের একটি দলের একজন তার অন্য ২ জন সঙ্গীর গলায় ছুরি চালিয়ে তারপর নিজের গলায় ছুরি চালিয়েছে। তিনজনই মাটিতে পড়ে আছে। কেউ মরেনি, কিন্তু রক্তপাত হচ্ছে এবং তারা হাত-পা ছুড়ছে।      
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঘিরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন যে সাংঘর্ষিক অবস্থা বিরাজ করছে, সেখানে সরাসরি পক্ষে-বিপক্ষে আছে তিনটি রাজনৈতিক দল— আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত। ভোটের রাজনীতির স্বার্থে শুধু বিএনপিই নয়, আওয়ামী লীগও জামায়াতকে প্রশ্রয় দিয়েছে একসময়। তারুণ্যসৃষ্ট গণজাগরণের পর দল তিনটি এখন এক রক্তাক্ত প্রান্তরে এসে দাঁড়িয়েছে। পরবর্তী দৃশ্য কি তবে তাজউদ্দিনের দেখা সেই দুঃস্বপ্নেরই বাস্তব রূপ?  
দিনলিপিতে শুধু দুঃস্বপ্নের কথাই লেখেননি মুক্তিযুদ্ধের অনন্য সংগঠক তাজউদ্দিন আহমদ। বােল দিয়েছেন সংকট থেকে উত্তরণের পথও— 
বিচ্ছিন্নভাবে কোনও আন্দোলন সম্ভব নয়। এতে ঘটনার পর ঘটনা জড়িয়ে আন্দোলন নিস্তেজ হয়ে যায়। সমাজের কাঠামো এবং ব্যবস্থার যে কোনও নির্দিষ্ট অংশ থেকে অন্যায় নির্মূল করার চেষ্টা সমস্যাটিকে আরও জটিলতার দিকে নিয়ে যায়। এতে সংস্কারকরা কয়েকজনের দ্বারা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত হন। তাই একই সাথে জোরালো আঘাত এবং আমূল পরিবর্তন এই অবস্থার সমাধান বলে মনে হয়। [২৫ মে, ১৯৫০, বৃহস্পতিবার]  
অভূতপূর্ব গণজাগরণের রচয়িতা শাহবাগের তারুণ্য এখন ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের শিকার’। তাদের লক্ষ্য করে চতুর্দিক থেকে ছুটে আসছে ষড়যন্ত্রকারীদের বিষাক্ত তীর-বল্লম-বর্শা। আবার বুকে-বুকে অনেক জাগরণ মঞ্চও তৈরি হয়ে আছে তাদের জন্য। সব বাধা অতিক্রম করে জাগ্রত তরুণরা তাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন তো? পারতে হলে ছাড়তে হবে অনেক কিছু। বিনা ত্যাগে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় আসেনি। বিনা ত্যাগে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তিও কার্যকর হবে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন