ঢাকাঃ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি, সাক্ষীদের নিরাপত্তা
নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালকে সাংবিধানিকভাবে স্থায়ী রূপ
দেওয়ার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সন্তানদের সংগঠন ‘প্রজন্ম
৭১’। আজ রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘প্রজন্ম ৭১’ আয়োজিত এক সংবাদ
সম্মেলনে এসব দাবি তোলা হয়। একই সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ
করারও দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সভ্যতার দাবি ও লাখো শহীদের রক্তস্নাত বাংলাদেশকে দায়মুক্ত করার জন্য এই অপরাধীদের বিচার এবং সর্বোচ্চ শাস্তির কোনো বিকল্প নেই।
সংবাদ সম্মেলনে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া, ট্রাইব্যুনাল ও গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরূপ, মনগড়া ও অশ্রদ্ধাপূর্ণ উক্তির সমালোচনা করা হয়। খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডারের স্ত্রী, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহনকারী’ দলের চেয়ারপারসন। তিনি কেমন করে এত নগ্ন ও ন্যক্কারজনকভাবে মানবতার বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের পক্ষাবলম্বন করেন?
খালেদা জিয়ার বক্তব্য শহীদদের প্রতি চরম অবমাননাকর উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, একাত্তরের অপরাধীদের প্রতি সমর্থন, ট্রাইব্যুনাল ও গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করার যে হুমকি তাঁর দলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে, তা দেশের প্রতি অবজ্ঞা।
সংবাদ সম্মেলনে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে এবং ইসলাম রক্ষার নামে জামায়াত-শিবিরের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সারা দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন্দির-বাসস্থানের ওপর হামলা, শহীদ মিনার অবমাননা, জাতীয় পতাকা পোড়ানো ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের হুমকি-হত্যার মাধ্যমে জামায়াত-শিবির গোটা রাষ্ট্রকেই চ্যালেঞ্জ করেছে। একাত্তরের জঘন্য অপরাধের পুনরাবৃত্তি করছে।
এই উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং জামায়াত-শিবিরের তরুণদের একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় নিজেদের কাঁধে না নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন, ‘প্রজন্ম ৭১’-এর সভাপতি শাহীন রেজা নূর। একাত্তরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রফিক আলম মৃদুল, আসিফ মুনির, শিবলি মহম্মদ, নাদিম কাদের, নুজহাত চৌধুরী, বশির আহমেদ, আমিনুর ইসলাম, জাহীদ রেজা নূর, শমী কায়সার প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন