বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
রাবি: রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন বিনোদপুরে শিবির নিয়ন্ত্রিত মহানন্দা
ছাত্রাবাসে পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক বই, নথি,
ক্যাসেট, সিডিসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগরীর বিভিন্ন অঞ্চলের নেতা-কর্মীদের
তালিকা উদ্ধার করেছে।
সোমবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী জোনের পুলিশ কমিশনার এস এম মনির-উজ-জামান নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা এ তল্লাশি অভিযান চালায়।
পুলিশ জানায়, মহানগরীর বিনোদপুর এলাকায় রোববার গভীর রাতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম করে হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় জামায়াত-ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিবির নেতা-কর্মীদের আটক করতে মহানগরীতে র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিনোদপুর এলাকার শিবির নিয়ন্ত্রিত মহানন্দা ছাত্রাবাসে পুলিশ ও র্যাব অভিযান চালায়।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযানে ওই ছাত্রাবাস থেকে বিপুল সংখ্যক শিবিরের বই, ক্যালেন্ডার, বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব, ইয়ানত আদায়ের রশিদ, গুরুত্বপূর্ণ নথি, কম্পিউটার, সিডি, ক্যাসেট, ফিল্ম, বিভিন্ন সভা-সমাবশের ব্যানার, কাগজপত্র, লিফলেট, ভবিষৎ পরিকলল্পনাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল ও রাজশাহী বিভিন্ন অঞ্চলের দায়িত্বশীল নেতা-কর্মীদের নামের তালিকা উদ্ধার করে।
পরে পুলিশ ওই মেসটি সিলগালা করে দেয়।
অভিযান চলাকালে ওই ছাত্রবাবাসে শিবিবের কোনো নেতা-কর্মীকে পাওয়া যায়নি। এ সময় পুলিশ কাউকে আটক বা কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করতে পারেনি।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার এস এম মনির উজ-জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, নাশকতা তৈরির লক্ষ্যে শিবির নেতা-কর্মীরা ওই ছাত্রাবাসে অবস্থান করে বিভিন্ন পরিকল্পনা করছিল। পুলিশের বিশেষ অভিযানে সেখান থেকে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, রোববার গভীর রাতে জামাত-শিবিরের হামলায় নগরীর ৩০নং ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শহীদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য, মির্জাপুর নাজমুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইনুল হোসেন ও ৩০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রুহুল আমিন গুরুতর আহত হয়। তাদের হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। এদের মধ্যে শহীদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় সোমবার ভোর তিনটার দিকে বিনোদপুর মির্জাপুর এলাকার শিবির নেতা আলমগীরের বাড়িতে আগুন দেয় শহিদুলের সমর্থকরা।
শিবির নেতা আলমগীরের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাত তিনটার দিকে একদল লোক তাদের বাড়িতে ঢুকে এবং নাম ধরে গালিগালাজ করতে থাকে। ঘটনার এক পর্যায়ে তারা বাড়ির সব কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভয় পেয়ে বাড়ি সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং পার্শবর্তী এলাকায় আশ্রয় গ্রহণ করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আলমগীরের ৫ কক্ষ বিশিষ্ট বাড়ির সব কক্ষই পুড়ে গেছে এবং গৃহপালিত পশুগুলো অর্ধপোড়া অবস্থায় মরে পড়ে আছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার জানান, এলাকাবাসীর নিরাপত্তায় সব ধরণের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী জোনের পুলিশ কমিশনার এস এম মনির-উজ-জামান নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা এ তল্লাশি অভিযান চালায়।
পুলিশ জানায়, মহানগরীর বিনোদপুর এলাকায় রোববার গভীর রাতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম করে হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় জামায়াত-ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিবির নেতা-কর্মীদের আটক করতে মহানগরীতে র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিনোদপুর এলাকার শিবির নিয়ন্ত্রিত মহানন্দা ছাত্রাবাসে পুলিশ ও র্যাব অভিযান চালায়।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযানে ওই ছাত্রাবাস থেকে বিপুল সংখ্যক শিবিরের বই, ক্যালেন্ডার, বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব, ইয়ানত আদায়ের রশিদ, গুরুত্বপূর্ণ নথি, কম্পিউটার, সিডি, ক্যাসেট, ফিল্ম, বিভিন্ন সভা-সমাবশের ব্যানার, কাগজপত্র, লিফলেট, ভবিষৎ পরিকলল্পনাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল ও রাজশাহী বিভিন্ন অঞ্চলের দায়িত্বশীল নেতা-কর্মীদের নামের তালিকা উদ্ধার করে।
পরে পুলিশ ওই মেসটি সিলগালা করে দেয়।
অভিযান চলাকালে ওই ছাত্রবাবাসে শিবিবের কোনো নেতা-কর্মীকে পাওয়া যায়নি। এ সময় পুলিশ কাউকে আটক বা কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করতে পারেনি।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার এস এম মনির উজ-জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, নাশকতা তৈরির লক্ষ্যে শিবির নেতা-কর্মীরা ওই ছাত্রাবাসে অবস্থান করে বিভিন্ন পরিকল্পনা করছিল। পুলিশের বিশেষ অভিযানে সেখান থেকে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, রোববার গভীর রাতে জামাত-শিবিরের হামলায় নগরীর ৩০নং ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শহীদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য, মির্জাপুর নাজমুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইনুল হোসেন ও ৩০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রুহুল আমিন গুরুতর আহত হয়। তাদের হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। এদের মধ্যে শহীদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় সোমবার ভোর তিনটার দিকে বিনোদপুর মির্জাপুর এলাকার শিবির নেতা আলমগীরের বাড়িতে আগুন দেয় শহিদুলের সমর্থকরা।
শিবির নেতা আলমগীরের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাত তিনটার দিকে একদল লোক তাদের বাড়িতে ঢুকে এবং নাম ধরে গালিগালাজ করতে থাকে। ঘটনার এক পর্যায়ে তারা বাড়ির সব কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভয় পেয়ে বাড়ি সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং পার্শবর্তী এলাকায় আশ্রয় গ্রহণ করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আলমগীরের ৫ কক্ষ বিশিষ্ট বাড়ির সব কক্ষই পুড়ে গেছে এবং গৃহপালিত পশুগুলো অর্ধপোড়া অবস্থায় মরে পড়ে আছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার জানান, এলাকাবাসীর নিরাপত্তায় সব ধরণের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন