রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৩

গাইবান্ধায় জামায়াত শিবিরের হামলায় নিহত শরিফুলের ভাইকে হত্যার চেষ্টা

গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার গংসারহাটে গত ১ মার্চ শুক্রবার জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত শরিফুল ইসলামের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম (৩১) শনিবার হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে ওই হত্যা মামলার আসামিরা।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, শনিবার দুপুরে নিহত শরিফুলের ছোট ভাই শফিকুল গরুর জন্য ঘাস কাটতে বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিমে মহিষবান্দির বিলে গেলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ওই হত্যা মামলার আসামি আব্দুর রাজ্জাক, আজাহার আলীসহ ৯ জনের একটি দল তাকে ঘেরাও করে। তারা শরিফুল হত্যা মামলা তুলে নেয়ার জন্য শফিকুলকে হুমকি দেয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামিরা শফিকুলকে বেদম মারপিট শুরু করে। তার চিৎকারে মামা মফিজল হকসহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসতে শুরু করে। এ সময় ক্ষিপ্ত আসামীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শফিকুলকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে মামা মফিজল হক আহত হয়। শফিকুল ইসলাম ও মফিজল হককে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী সমর্থকরা সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সহিংস তাণ্ডব সৃষ্টি করে। এতে ৪ পুলিশসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়। ওই দিন বিকেলে শান্তিরাম ইউনিয়নের পরাণ গ্রামের গংসারহাটে শরিফুলের বড় ভাই নুরুন্নবীর দোকান ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। পর দিন ১ মার্চ সকালে শরিফুল ইসলাম ভাঙ্গা দোকান থেকে মালামাল সরিয়ে আনার জন্য গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে পিটিয়ে তার জিভ কেটে চোখ তুলে হত্যা করে। এ ব্যাপারে ২৯ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। শরিফুলের মামা মফিজল হক জানান, মামলা দায়েরের পর থেকেই একটি চিহ্নিত মহল ওই পরিবারটিকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এদিকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের তা-বে ৪ পুলিশ সদস্য ও এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ শনিবার ৪ জামায়াত কর্মীকে আটক করেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন