সিলেটঃ সকল যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি ও জামায়াত শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে মঙ্গলবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজাগরণ মঞ্চের মহাসমাবেশ হয়েছে।
বিকাল ৪টায় শুরু হওয়া এ মহাসমাবেশে জমায়েত হয় সর্বস্তরের মানুষ।
বেলা ৩টা থেকেই শহীদ মিনারে এসে জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ও শিক্ষকরা।
বিকাল ৪টায় শুরু হওয়া এ মহাসমাবেশে জমায়েত হয় সর্বস্তরের মানুষ।
বেলা ৩টা থেকেই শহীদ মিনারে এসে জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ও শিক্ষকরা।
এ সময় দাবি আদায়ের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে শহীদ মিনার এলাকা। একইসঙ্গে চলতে থাকে জাগরণের গান ও কবিতা।
সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষাবিদ ও লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, দেশকে আবর্জনামুক্ত করতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছিল জাতি। এর মধ্যে কোনো প্রতিহিংসা ছিল না। কিন্তু এ বিচার শুরুর সঙ্গে সঙ্গে জামায়াত-শিবির প্রতিহিংসায় মেতে উঠেছে।
জাফর ইকবাল বলেন, তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। দেখেনি রাজাকার আলবদরদের বর্বরতা, নির্বিচারে মানুষ হত্যা। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিশাল তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধকে গ্রহণ করেছে।
গণজারণ মঞ্চের কর্মী দেবাশীষ দেবুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সুশান্ত কুমার দাস, ব্যারিস্টার আরশ আলী, এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, আব্দুল করিম কিম, শ্রীবাস মোহালী প্রমুখ।
এখান থেকে আগামী এক মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) শোভাযাত্রা, ১৯ এপ্রিল খাদিম নগর চা বাগানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের উদ্যেশে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সমাবেশ।
পহেলা মে মহান মে দিবসে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রমিক-ছাত্র-জনতা সমাবেশ।
সিলেটের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে গণজাগরণ মঞ্চ। যার তারিখ পরবর্তিতে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয় গণজাগরণ মঞ্চের এই মহাসমাবেশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন